'কানীন' এক কুমারী মায়ের ছোট্ট ছেলে রিদমের গল্প। যাকে তার কিশোরী মায়ের কাছ থেকে জন্মের পরপরই কেড়ে নেওয়া হয়। যার জন্মদাতা পিতা অজ্ঞাত তার জন্ম সম্পর্কে। যেখানে আস্তাকুড়ে পাওয়া যায় জন্ম পরিচয়হীন নবজাতকের ছিন্নভিন্ন দেহ, সেখানে কী হয়েছিল রিদমের ভাগ্যে? তার ভাগ্যও কী সেই নোংরা আবর্জনার স্তুপ, নাকি কোনো সুন্দর ভবিষ্যৎ? কী হবে যখন তার জন্মদাতা জানবে তার সন্তানের কথা? অস্বীকার না, কাছে পাওয়ার আকুতি? নাকি সময়ের ভুল বলে সব স্মৃতি মুছে ফেলার পায়তারা! কিশোরী মা কী পারবে সেই সন্তানকে খুঁজে বের করতে? জানতে হলে পড়ুন আমার প্রথম ই-বই 'কানীন'।
কানীন এক কুমারী মায়ের সন্তানের গল্প।যার জন্ম হওয়ার পর পরই সে মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।এই গল্পের ২টা মূল বিষয় নিয়ে একটু বলতে চাই। ১.গল্পটা আমার মনে হয় টিনেজার বয়সি ছেলে মেয়েদের জন্য বেশি ভালো হবে।কারণ রুশিকা তার টিনেজার বয়সে এসে যে ভুল গুলো করেছে তা আমাদের সমাজ থেকে নেয়া হাজার লক্ষটা রুশিকে দেখায়।মা মরা মেয়ে বাবার আদরের দুলালি,সে কাছের মানুষ বলতে ৩/৪ টা মানুষকেই চিনেছে।তার মাঝে অবাদ হলো প্রায় তার খেলার সাথিই বলতে গেলে।যদিও তাদের বয়সের পার্থক্য অনেক।৭/৮ বছরের বাচ্চা মেয়ে বছরের পর বছর অবাদকে নিজের কাছে পেয়েছে।যে তার বাবার পর তার কাছে ২য় পুরুস। সে ছোট থেকেই যে আদরের স্নেহের যন্তটি পেয়েছে সে অবাদ ছিল।ছোট ছোট আবদার থেকে কখন অবাদ আর রুশি একে অপরের এতোটা কাছে এসেছিল হয়তো রুশি বুঝতেও পারেনি। বান্ধবী থেকে তাদের বয়ফ্রেন্ড সম্পর্কে শুনে হয়তো রুশি অবাদ ব্যাতীত আর কাওকে কল্পনাও করতে পারেনি।রুশি পুরুষ দেখেছেই তার বাবা আর অবাদকে। বড় হলে যে ছোট বেলার আর বড়বেলার মাঝে অবাদ আর তার সম্পর্কের মাঝে যে পার্থক্য থাকার প্রয়োজন ছিল,তা রুশি বুঝতেই পারেনি। কারণ ছেলে মেয়ে বন্ধত্বের যে সীমা থাকে তার রুশিকে বুঝানের কেউ ছিল না।ফলে বয়স হওয়ার দরুন রুশি নিজেকে গরতেই পারে নি।মাই মেয়েদের ভালো মন্দ, সম্পর্কের সমীকরন শিখায়।বাবার ব্যাস্ততায় রুশি সবচেয়ে কাছে সব সময় অবাদকেই পেয়োছে।ফলে তারা নিজেরা একটার পর একটা ভুল করেছে। বর্তমানে দেখা যায় ক্লাস 6/7 এর মেয়েরাও রুশির মতই হয়।রাস্তায় কোন ছেলে কিছু বললে তারা খারাপ লাগার বদলে বিষয়টাকে এনজয় করে।তাদের মা বাবা সব থাকার পরেও সবটা জানার পরেও রুশির মত ভুল গুলো করে।রুমডেট শব্দটা এখন অনেকটাই হরহামেশা শুনার মতো শব্দ হয়ে গেছে।ভালোবাসার অগ্নিপরীক্ষা দেয় তারা রুমডেটে যেয়ে।অথচ তাদের ভয় হওয়া উচিত ছিল বাবা মার পার্মিশন না নিয়ে পরিচিত রাস্তার বাহিরে হাটতে।লজ্জা, ভয়, বাবা মার মান সম্মানের ভয় পাওয়া উচিত ছিল।রুম ডেটে কাটানো সময়ের পরের সময়গুলো নিয়ে ভয় হওয়া উচিত ছিল।রুশির পরিনতি দেখে রুম ডেট নিয়ে ফেন্টাসি দেখা মেয়ে বা ছেলে গুলোর মনে লজ্জা ভয় যদি আসে।যদি বুঝে সাময়িক আনন্দ কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। ২.কানীন মূলত এক কুমারি মায়ের সন্তানের গল্প নাম অনুযায়ী, তবে আমার মনে হয় রিদমের জন্ম থেকে তার মার কাছে ফিরে আসার সময়টা, রিদমের তার বয়সী বাচ্চাদের থেকে তার ভিন্নতা,রিদমকে রুশিকার খুঁজে বের করার যে চেষ্টাটা ছিল তা পুরো পুরি ফুটে উঠনি।রিদমের মত বাচ্চাদের অনেক অনেক কষ্ট না পাওয়া থাকে যা সময়ের সাথে বারতেই থাকে, রিদম যখন বড় হবে এবং নিজের জন্ম ও তার বাবার সম্পর্কে জানবে তখন তার নিজের একটা মতামত থাকবে।যা এই গল্পের সিকুয়েলে যদি হয়, তাতে ফুটে উঠতে পারে।রিদমকে নিয়ে বলার অনেক বিষয় আছে যা গল্পে স্পষ্ট ছিল না।তাই এটার সিকুলে হলে সুন্দর হবে যা একদম রিদমের নিজ জন্ম থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত নিজে যা বুঝতে পেরেছে তাই বর্ননা হবে।
Read all reviews on the Boitoi app
কানীন! এত সুন্দর নামকরণ। একদম সার্থক হয়েছে। কানীন যে হয় তার মানসিক বিকাশ কেমন হয় ? বাবা বা মা তার কাছে কি? অন্য সব বাচ্চাদের মতো কি সে যারা বাবার মতো বটগাছ ও মায়ের স্নেহের ছায়ায় বড়ো হয় ? তার ছোট ছোট আবদার কে শোনে? নাকি শোনার মতো কেউ থাকে না বলে সেই সব আবদার তার বুকের মাঝে জমা হতে থাকে,আর একসময় তাকে আবেগ অনুভূতিহীন করে দেয় ? *কানীন* পড়লে এই সবকিছুই আমরা দেখতে পাবো ? দেখতে পাবো যদি হঠাৎ সেই অসহায় শিশু হঠাৎ করে তার কাঙ্খিত বাবা ও মায়ের স্নেহ,আদর পেতে শুরু করে তখন তার জীবনটা কেমন হয় । তবে, রহস্য থেকে গেল । বেশি লিখব না, স্পয়লার হয়ে যাবে। মনটা অনেকদিন পর খুব কাঙ্খিত কিছু পেয়ে ভীষণ খুশি। জীবনে এগিয়ে যান ,সফল হন এই দোয়া করি। আরেকটি বিষয় যদি উল্লেখ না করি তাহলে মনটা আমার ছটফট করবে । অবাধের মায়ের চরিত্র মানে সাহিনা সুলতানা নামটা পছন্দ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার বেশ কিছু নিয়মিত পাঠকের নাম আপনি আপনার লেখনীতে তুলে ধরেন । তাদের মধ্যে আমিও একজন। ইবুক কেনার পরে আমি অনেকবার ঠকেছি। তবে কানীন পড়ে ভীষন ভালো লাগছে। প্রিয় লেখিকার ইবুক নিজের সংগ্রহে রাখতে পেরে ধন্য আমি।
প্রথম কিনতে পারি নি, প্রথম কমেন্ট করে গেলাম। আমি অনেক খুশি 😭😭😭 পড়া শেষ করলাম। তবে আরো অনেক কিছু অজানা থেকে গেলো। রিদমকে আরো পড়ার তৃষ্ণা রয়ে গেলো। তবে ভালো লেগেছে। আশা করি, লেখিকা আরো কিছু চমৎকার লেখা আমাদের উপহার দিবে।
সুন্দর, সাবলীল লেখিকার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি কামনা করছি💗