গল্পটা একজন অ্যাডমিশন ক্যান্ডিডেটের। জুঁই নামের মেধাবী মেয়েটার এক লড়াইয়ের গল্প। জীবনের বিনিময়ে মেডিকেলের একটা সিট দখলের গল্প। কি হয় সেই যুদ্ধে? জুঁই কি পারে বাবা মায়ের আশা পূরণ করতে? নাকি তার নাম যোগ হয় সমাজ কর্তৃক তৈরি ব্যর্থদের কাতারে?
"আসসালামু আলাইকুম। বইটা পড়তে পড়তে কয়েকবার কান্না করেছি।পড়া শুরু করার পর মনে হচ্ছিল একটা ট্রাজেডি পড়তে যাচ্ছি, কিন্তু নাহহ।মাশাআল্লাহ, লেখিকার প্রশংসা করতেই হবে। জুঁইয়ের সাথে যদিও নিজের জীবন রিলেট করতে পারি নি তাই বলে পড়া শুরু করেছিলাম নিতান্তই অনাগ্রহ নিয়ে।কিন্তু কয়েকটি চ্যাপ্টার পড়ার পর আমি টানা শেষ না করে উঠতে পারি নি।শেষটা ভীষণ ভীষণ পছন্দ হয়েছে। লেখিকার সব গল্পই আমার পড়া।যদিও সবগুলোই ভালো লাগে তবে নিঃসন্দেহে এটা বেস্ট।"
বুক রিভিউ: কৌমুদী লেখিকা: বিনতে ফিরোজ সবাই যেমন সুন্দর করে গোছানো আকারে বইয়ের রিভিউ লিখে আমি সেরকম কিছু পারি না।এটা ঠিক রিভিউ বলছি না, বইটা পড়ার পর একান্তই আমার অনুভূতি। •গল্পের বিভিন্ন অংশ আমাদের বাস্তব জীবনেরই প্রতিনিধিত্ব করছে।গল্পটা রেজাল্ট সর্বস্ব ভাবনার মা-বাবার অত্যধিক আশায় পিষ্ট হয়ে সৌন্দর্য হারাতে বসা এক ফুলের,নাম তার জুঁই।আপ্রাণ চেষ্টা করে যাওয়ার পরেও একটু ভরসার হাত, মানসিক চাপের মুখে পড়ে অসুস্থ শরীরের মায়ের একটু মমতামাখা ছোঁয়া, একটা সুস্থ পরিবার আর জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে বারবার জীবন দিতে চাওয়া এক ফুল... কীভাবে পুনরায় সজীব হয়ে তার সুগন্ধি ছড়িয়ে দিয়েছে কিংবা আদৌ সজীবতা ফিরে পেয়েছে না কি খবরের কাগজের শিরোনাম হয়েছে - তা জানতে হলে হলে একবার "কৌমুদী" পড়তে হবে।আমার মনে হয় না একবার পড়ে কেউ তুষ্ট হতে পারবে। চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গেলে আমি অল্পকথায় শেষ করতে পারব না।কারণ আপুর লেখার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে না বলেও অনেক কিছু বলে ফেলা।একেকটা চরিত্রগভীরভাবে ভাবনা করারমত।গল্পের যে বিষয় গুলো আমারকাছে ধরা পড়েছে সেগুলোই বলি- • মা-বাবার দেয়া মানসিক সাপোর্ট একজন স্টুডেন্টএর ভালো রেজাল্টের প্রোমোটিং ফ্যাক্টর হতে পারে। এবং মানসিক সাপোর্ট এর অভাব আর মাত্রাতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ এর বিপরীত ঘটানার কারণ হতে পারে। •সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্ক আর পারিবারিক বন্ধন সন্তানের মানসিকতায় প্রভাব ফেলে।সন্তানের নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয় বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে ( আরিফের আচরণে এটা দেখা যায়) •মা-বাবার কাছ থেকে টুকরো টুকরো এপ্রিসিয়েশন ও অনেক দামী (জেসমিন আর আনোয়ারের কাজকর্ম থেকেই এমন অনেক কিছু বোঝা যায়। তাদের দুজনের অনেক গুণও প্রকাশ পেয়েছে সেটা অবশ্যই স্বীকার করতে হয়।কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত বেশ যৌক্তিক) •টাকা আর সম্মানের জন্য ক্যারিয়ারের পিছনে ছোটা মুমিনের বৈশিষ্ট্য হয় না। ক্যারিয়ারের নাম করে পুরুষদের সাথে টেক্কা দেয়ার প্রতিযোগিতা নারীর নিজের, তার দাম্পত্য, পরিবার আর সন্তানের উপর ভালো কোনো প্রভাব ফেলে না • একজন মুমিনের আখলাকই এমন যে সে যেখানে যায় আতরের মত দ্বীনের সুগন্ধি ছড়িয়ে আসে। ফারিহা মেয়েটা এর উদাহরণ • নারীর পূর্ণতা তার নারীত্বসুলভ আচরণে।একজন মায়ের মায়া আর দক্ষতার সাথে সাজানো এক সংসার কেমন সুন্দর হতে পারে তার উদাহরণ নাফিসদের পরিবার।প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে যে বন্ধন- মন ভরে যায় দেখে।ঘরেই যদি শান্তি না থাকে তাহলে কোটি টাকা ইনকাম করেও কীইবা লাভ হবে? •আমার খুব পছন্দের একটা চরিত্র হুমায়রা।বরাবরের মত আপুর গল্পে একজন দাঈ চরিত্র থাকে। হুমায়রার বোঝানোর ধরন,সমস্যা বুঝতে পারা, সহজ ভাষায় গুছিয়ে কথা বলা এসব কিছু মুগ্ধ করার মত। • নাফিস চরিত্র থেকে একটা বিষয় খেয়াল করেছি- নজরের হেফাজত।যদিও সে পুরোপুরি করতে পারে না, কিন্তু তার মধ্যে এই বোধটুকু আছে যে কাজটা ঠিক হচ্ছে না যা অনেকেরই থাকে না।সেই সাথে জুঁইয়ের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার প্রয়াস,জুঁইকে সাপোর্ট করা(বই প্রকাশ), দায়িত্ববোধ আর সচেতনতা ( বিদেশ যাওয়ার আগে নোমানের সাথে দেখা করা)- খুব ভালো লেগেছে। • গল্পের আরেকটা মুগ্ধ করা চরিত্র বেলী।অল্প উপস্থিতি দিয়েও মন কেড়ে নিয়েছে নোমান,শামসু মিয়া,সফুরা বেগম, রিকশাওয়ালা, বড়মা,ফারিহা। এই যা,অনেক কথা বলে ফেললাম।আসলে গল্পটাই এমন যে ভাবতে গেলে অনেক ভাবনার বিষয় সামনে আসে।এটা আপুর লেখনীর একটা বৈশিষ্ট্য বলা চলে।খুব ছোট ছোট বিষয় কিন্তু গভীরতা অনেক। বারাকাল্লাহু ফিক
Read all reviews on the Boitoi app
খুবই পছন্দ হয়েছে ইবুকটি আমার😍
মা শা আল্লাহ, অসম্ভব সুন্দর একটা গল্প।
মা শা আল্লাহ, দুর্দান্ত হয়েছে। শেষটাও চমৎকার ছিল। প্রত্যেক জুইয়ের মা যদি সময় শেষ হওয়ার আগেই ভুল বুঝে ফিরে আসত!
আপুর অল্পকিছু লেখা পড়েই ভক্ত হয়ে গেছি। এই ইবুকটাও কিনেছিলাম আপুর লেখনীর উপর ভরসা থেকেই। ইন শা আল্লাহ সারাজীবন আপুর পাঠক হয়ে থাকবো। আপু এরকম সুন্দর সুন্দর লেখা আরও লিখবেন ইন শা আল্লাহ। আপনার লেখায় আল্লাহ ভরপুর বারাকাহ দান করুক🤲 আমিন🤍
আমি এখন পর্যন্ত "জীবনে" নামে দুটি ইবুক কিনেছি— প্রথমটা আরেকজনের কাছ থেকে, আর দ্বিতীয়টা আপনার লেখা। সত্যি বলতে, আপনার লেখার ধারা বারবার আমাকে মুগ্ধ করে। প্রতিটি গল্পেই থাকে এক ভিন্ন ছোঁয়া, এক আলাদা শক্তি। বারাকাল্লাহু ফিক। "কৌমুদী "—এই গল্পটি নিছক একটি গল্প নয়, বরং এক সাধারণ শিক্ষার্থীর অসাধারণ লড়াইয়ের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। একটি মেয়ে, যার একমাত্র স্বপ্ন—মা-বাবার মুখে হাসি ফোটানো। আপনার লেখায় সেই সংগ্রাম, সেই চাপ, সেই নিরব কান্না যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে। আমাদের সমাজে আজও এমন কত শত মা-বাবা আছেন, যারা সন্তানের পড়ালেখার জন্য প্রাণপণে চেষ্টার শেষটুকু করে যান— কিন্তু সেই সন্তানের মন মতো রেজাল্ট না হলে— চাপ, হতাশা, সমাজের কথা—সব মিলে তাকে ঠেলে দেয় অন্ধকার এক পথে। কিন্তু কেউ দেখে না সেই শিক্ষার্থীর একাকী যুদ্ধ। আপনি সেই না দেখা গল্পটাকেই অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন—এই গল্পের রেটিং কত দেব? আমি বলব—১০০/১০০। কারণ প্রতিটি চরিত্র এত নিখুঁতভাবে আঁকা, মনে হয় তারা যেন আমার চোখের সামনে বেঁচে আছে, হাঁটছে, কাঁদছে, হাসছে। এভাবেই এগিয়ে যান। আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া, সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার দিয়ে যান— ইন শা আল্লাহ।
ঈদ এর সালামি হিসেবে এক বড় বোন এর দেয়া প্রথম উপহার। তিনি কিভাবে যে জানলেন এই বইটা আমার জন্য বিশেষ হতে পারে। লেখিকা আপুকেও জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে তিনিই কি আসলে জুই? ওই আলোতে আপু কিভাবে কমুদ হলেন? আসলেই আল্লাহ যাকে ভালোবাসে,,ওই ব্যক্তির আর কি লাগে! in the end, the pure hearted get what they deserved
রিসেন্টলি এডমিশন ফেজ পার করলাম বলে জুঁই এর ঘটনা অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারছি। এই সমাজ সফলতার যেই ধরা বাধা সংজ্ঞা দিয়েছে, সেই সংজ্ঞা অনুসারে জুঁই ব্যর্থ। তবে আল্লাহর রহমতে তার কাছে এসেছিলো হুমায়রা এক আলোর পথের দিশারি হয়ে। আমাদের সমাজে হুমায়রাদের বড়ই অভাব, তবে খুঁজলে অনেক জুঁইকেই পাওয়া যাবে, নেতিয়ে পরা ফুল যারা।
এমন শত শত জুঁই বাস্তবে থাকলেও হুমায়রার মতো মানুষ কেন বাস্তবে নেই?হয়তো গল্প সত্যি হয় না বলেই।তবে একজন এডমিশন ক্যান্ডিডের বাস্তব চিত্রই তুলে ধরেছেন গল্পে।আল্লাহর বিধি-বিধান সম্পর্কে যেভাবে লিখেছেন সেটাও সুন্দর ছিল।জেসমিনের মতো মানুষ আসলে খারাপ নাহ।তারা নিজেদের নিয়ে বহু দূর এগিয়ে যাক।তবে সংসারের বেড়াজালে না পড়ুক।বাবা-মা যদি সন্তানের ভালো থাকা খাওয়ার চেয়ে মানসিক শান্তির জায়গা হয়,তাদের একটু বুঝতে পারে তাহলে তারা বহু দূর এগিয়ে যেতে পারবে।কোন সন্তানই কি চায় বাবা-মা র মাথা নিচু হোক?গল্পটা অসাধারণ ছিল।তবে শশীদের কলেজের অন্য নাম দিলে ভালো হোত,ঢাকা কলেজ ছেলেদের কলেজ হওয়ায় বিষয়টা একটু চোখে লেগেছে।আপনার লিখার মান মা শা আল্লাহ অনেক ভালো।আল্লাহ অনেক বারাকা দিক।
বিনতে ফিরোজ আপুর বই মানেই বাস্তবভিত্তিক আর শিক্ষামূলক লেখা। বই বের হওয়ার পর থেকেই কিনতে চাইছি,আপুর যেকোন বইই রিভিউ ছাড়াই নিশ্চিন্তে কিনা যায়,কিন্তু কিনতে পারিনি।তবে ইচ্ছা ছিলো যে কিনবো।অবশেষে কিনলাম পরেও শেষ করেছি মাশাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ অনেক অজানা জিনিস জানতে পারছি,অনেক জানা ব্যাপার ও নতুন করে জানতে পারছি,গল্পের প্রধান চরিত্র জুই মেয়েটার জীবনের লড়াই,মৃত্যুর পথ থেকে নতুন করে বাচার লড়াই,পাশাপাশি জুইয়ের বাবা মা চরিত্রের দুইজন খুব খারাপ না তারা মানুষ হিসেবে ভাল তবে মা বাবা হিসেবে খুবই স্বার্থপর। এছাড়া বাকি প্রতিটা চরিত্র অসম্ভব সুন্দর। যেখানে আজকাল প্রায় সব গল্পই প্রেম ভালোবাসা নিয়ে সেখানে এই ধরনের শিক্ষামূলক বই আমাদের জন্য উপহারসরূপ।অন্ততপক্ষে আমাদের মত এই কয়জন সাধারণ পাঠিকাদের জন্য হইলেও এরকম আরো বিনতে ফিরোজ আপুরা যেন থেমে না থেকে,লেখে যায় যেন,নাহলে এক সময় ভালো লেখা গুলো আর খুজে পাওয়া যাবেনা,সমাজ কলুষিত হয়ে যাবে।