বন্ধুর প্রেমপত্র লিখে দিতে গিয়ে বাবার কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার শাস্তি হিসেবে বিয়ে করতে হয় জারিফকে। তাও আবার এমন একজনকে, যার সাথে ছেলেবেলা থেকেই ওর দা-কুমড়া সম্পর্ক। তবুও যখন আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল সম্পর্কে সব ঠিকঠাক, অনুভূতি উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, তখনই জারিফ পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে। নিজের জীবনকে খুঁজে পেতে, জীবনের নির্যাস উপভোগ করতে। তারপর... সে কী ফিরে আসবে? ফিরে এলেও পৃথা তাকে গ্রহণ করতে পারবে নিজের জীবনে? আবার যদি কখনো দেখা হয়, সম্পর্কের জটিল সমীকরণের ফলাফল শূন্য হবে নাকি অন্যকিছু?
জারিফ প্রচন্ড স্বার্থপর একটা চরিত্র। আমাদের কাজের প্রভাব, পরিবারের অন্যদের ওপর কি প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা আমরা বোঝার চেষ্টা করি নাহ। গল্পে পৃথার চারিত্রিক দৃঢ়তা পছন্দ হয়েছে।
Read all reviews on the Boitoi app
পুঁথি আর জিরাফ থুক্কু পৃথা আর জারিফের দুষ্টু মিষ্টি গল্প!
অসাধারণ গল্প। খুনসুটি আর ভালোবাসার একটি চমৎকার মিশ্র গল্প।
গল্পটির প্লট খুবই সাধারণ ও পরিচিত ধরনের। ছোট একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে জীবনে কত বড় পরিবর্তন আসতে পারে, সেটা গল্পটিতে দেখানো হয়েছে। লেখিকা আপু খুব সহজ ভাষায় জীবনের টানাপোড়েন, ভুল সিদ্ধান্ত, অনুশোচনা আর ভালোবাসার অনুভূতিগুলো তুলে ধরেছেন। যদিও গল্পটা খুব নতুন কিছু না, তবুও শেষের দিকে কিছু emotional moment ছিল যা মন ছুঁয়ে যায়। চরিত্রগুলোর আবেগ আর সম্পর্কের টানাপোড়েন অনেক বাস্তব মনে হয়েছে। যাদের emotional, family type গল্প পড়তে ভালো লাগে, তাদের জন্য একবার পড়ার মতো
"যদি দেখা হয় আবার" পড়লাম। গল্পটা আরো গুছানো এবং আরো ভালো হওয়া উচিত ছিল। গল্পের কাহিনীর মধ্যে কোন নতুনত্ব খুঁজে পেলাম না। নুসরাত জাহান লিজা আপু অনেক ভালো লিখেন। তার লেখাও আমার অনেক পছন্দের, কিন্তু সেই একই বাড়ির উপর তলা, নিচ তলার ছেলেমেয়ের মধ্যে সম্পর্ক, বিয়ে থেকে বের হওয়া হলো না। জারিফ যতদিন বাড়ির বাইরে ছিল, তখন সে বাড়ির কোন খোঁজ রাখেনি দেখে সে জানতেও পারেনি তার বাবার কথা, পরিবারের কথা। কিন্তু সে জনপ্রিয় গায়ক হওয়ার পরেও টিভি, ইন্টারনেট, নিউজপেপার - কোন মাধ্যমেই তার পরিবারের কোন সংবাদ কেন আসেনি, বুঝলাম না। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে আমরা দেখি যে সাংবাদিকরা ঠিকই জনপ্রিয় তারকার অতীত খুঁজে বের করে। আর মিডিয়ায় যদি জারিফের খবর, তার পরিবারের খবর বের হতো, তাহলে যেকোন একভাবে জারিফ তার বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে যেত, এবং তখন পুরো পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। আমার মনে হয়েছে যে, গল্পটায় বেশি তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। এটাকে আরেকটু সময় দিলে ভালো হতো।
এত্তো সুন্দর এত্তো সুন্দর। একটানা পড়ে শেষ করছি। পৃথা আর গিয়াসউদ্দিন এই দুইজনকে বেশি ভালো লেগেছে। পৃথা চরিত্রা চমৎকার। জারিফের জন্য কিছু বলার নেই আসলে। তার ভুলের শাস্তি সে পাচ্ছে।
ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক দিন পর প্রায় নির্ভুল একটা ই বুক পড়লাম। পৃথা চরিত্রটা অনেক দৃঢ় ও আত্নবিশ্বাসী মনে হয়েছে, সেই হিসাবে জারিফ অনেক বাচ্চামো করেছে। শেষটা কাঙ্খিত হলেও, মনের খচখচানিটা কমে নি একজনের কারণে। গিয়াসউদ্দিন সাহেব! চরিত্রটা অনেক ভালো লেগেছে এবং আফসোসও হয়েছে উনার পরিনতির জন্য। সবমিলিয়ে সুখপাঠ্য ছিলো।
জারিফ-পৃথার গল্পটা পড়া শুরু করেই চট করে শেষ হয়ে গেলো। একজন মানুষ নিজের চিন্তাধারাকে সঠিক জেনে যে সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্য মানুষগুলোর জীবন যে এলোমেলো হয়ে যায়, সময় পার হবার পর সেটা বুঝেই বা আর কতোটুকু লোকসান পোষানো যায়? কিছু হঠকারিতার কোন ক্ষমাও হয়তো হয় না। তবে সত্যিকথা বলতে পৃথার সবগুলো চিঠি একদম পুড়িয়ে ফেলাটা আমার কাছে একটু আনএক্সপেকটেডই ছিলো। কোন স্পয়লার দিতে চাইনা, তাই বেশি কিছু লিখছি না। এতো কিছু ঘটে যাবার পরে শেষটা খুব সাবলীল আর স্বাভাবিক হয়েছে। জোর করে অন্যরকম কিছু হলেই বরং গল্পটা হালকা হয়ে যেতো। লেখককে সাধুবাদ জানাই সেজন্য। নুসরাত জাহান লিজার জীবনবোধ তরুণ বয়সেই খুব গভীর এটা আমি সবসময়েই বলি। অনেক ভালোবাসা লেখকের জন্য।❤️❤️
কি বলব বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা! এত্ত সুন্দর গল্পটা আপু! জারিফ এর প্রতি অনুভূতি টা ঠিক বলো বোঝানো যাচ্ছেনা। জারিফ তার অন্যায় এর শাস্তি পেয়েছে। একদিন হয়তো আবার পুঁথি-জিরাফ আগের মতো প্রানবন্ত হয়ে উঠবে! 🖤