"এই বই টার জন্য কত অপেক্ষা করছি অবশেষে পেলাম । কলরব আর পারিজাত এত ভালো লাগে ২ টা কে উফফ কি বলবো যত পড়ি তত ভালো লাগে ❤️❤️"
কলরব ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। পারিজাত তাকে গালি দিয়েছে—এতটুকু সে নিশ্চিত। কিন্তু এই খেক শেয়ালটা আবার কী! তাকেই কি খেক শেয়াল বলে সম্বোধন করেছে? কলরব দ্রুত ফোন হাতে নিল। গুগলে সার্চ করে খেক শেয়াল-এর অর্থ উদ্ধার করেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল তার। সে কবে থেকে এরকম দেখতে! কলরব ফোন পকেটে গুঁজে গমগমে গলায় বলল, “লিসেন, আর কখনো আমাকে এই বিশ্রী পশুর নামে ডাকবে না। এসব ইনসিভিলিটি বিহেভিয়ার আমি মোটেও টলারেট করবো না।” “আরে বাবা! ভয় পেয়েছি আমি। আপনার হুমকিতে বিছানার নিচের সবক'টা ইঁদুর অজ্ঞান হয়ে গেছে। শুনুন মি.—আপনার মতো এমন দু-চারটা সমস্যা আমাদের গ্রামের বাচ্চারা সকালে মূত্রত্যাগের সাথে বের করে দেয়। আর আপনি আমাকে হুমকি দিচ্ছেন! নায়েষ!” দেলোয়ার খান সুযোগ বুঝে সরে পড়েছেন। পারিজাতের ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিমা দেখে কলরবের মেজাজ আরও খারাপ হলো। মূত্রত্যাগ শব্দটার অর্থ উদ্ধার করতে পুনরায় গুগল বাবার দ্বারস্থ হতে হলো তাকে। কয়েক সেকেন্ডেই রাগে লাল হয়ে গেল সে। কত বড় অসভ্য হলে এমন ননসেন্স কথা বলতে পারে—কলরব ভেবে পেলো না। ক্ষিপ্ত পায়ে এগিয়ে গেল পারিজাতের দিকে। পারিজাত ভড়কে গেলেও নড়লো না। ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো নিজের জায়গায়। কলরব প্রথমেই দরজা বন্ধ করলো। পারিজাতকে কিছু ভাবার সময় না দিয়েই চেপে ধরলো নিজের সাথে। “খুব কথা বলছো দেখছি! সেই রাতের কথা ভুলে গিয়েছ? কেমন হাত জোর করে অনুরোধ করেছিলে মনে আছে? আমাকে রাগিয়ো না, পারিজাত। রাগলে আমি টিপিক্যাল বাঙালিদের মতো বউ পিটাই না—আদর করি। তোমার তো অভিজ্ঞতা আছে, জানোই তো সব। ভুলে গেলে বলো, প্র্যাক্টিক্যালি মনে করিয়ে দিচ্ছি। হাজার কাদলেও ছাড় কিন্তু পাবে না।” কলরবের কথা শুনে পারিজাতের কান শিরশির করে উঠলো। শক্ত বাহুবন্ধনী থেকে বের হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সে। সেই রাতের কথা কিছুতেই আর মনে করতে চায় না। “ছাড়ুন আমাকে! আমি কিন্তু চিৎকার করবো।” “করো। বিবাহিত মেয়ের ঘর থেকে অসময়ে চিৎকার শুনে মানুষ ভুল বুঝতে পারে। ভাববে—রাতের কাজ দিনে সারছি।” পারিজাত ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের নখ দিয়ে আক্রমণ চালালো। কলরবের বুকের কাছটায় খামচে ধরলো শক্ত করে। সর্বশক্তি দিয়ে নিজের সবক'টা নখ গেঁথে দিয়ে তবে ক্ষান্ত হলো। কলরব দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করলো, কিন্তু নিজের হাত আলগা করলো না। এই জেদি মেয়েটার এখনো শিক্ষা হয়নি। এখনো সেই আগের মতো জংলি থেকে গেছে। পারিজাতের হাত থেমে গেছে। কলরবের অতর্কিত আক্রমণে বিমূঢ় হয়ে গেছে সে। কলরব ওষ্ঠের স্পর্শ নিজের অধরে পেতেই ছাড়া পেতে মরিয়া হয়ে উঠলো। কলরব তৎক্ষণাৎ ছাড়লো না। নিজের ইচ্ছেমতো চুম্বন পর্ব শেষ করে তবেই ছাড়লো সে। পারিজাতের চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। “আগেই বলেছিলাম, আমি বউ পিটাই না। আদর করি। পরের বার ভেবেচিন্তে আক্রমণ করবে। এবারের মতো অল্পতে ছাড় পাবে না।” পারিজাতকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পকেটে হাত গুঁজে কলরব বের হয়ে গেল। পারিজাতের ইচ্ছে হলো নিজের ঠোঁটগুলো কেটে ফেলতে। লম্বা শ্বাস নিয়ে নিজেকে সামলে, ঝটপট নিজের কাপড়সহ প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে মিষ্টির রুমে চলে গেল। এই খেক শেয়াল-এর সাথে থাকার প্রশ্নই আসে না। মান-অভিমানের এই সম্পর্কের শেষ পরিণতি জানতে হলে পড়তে হবে "পারিজাত ২"।
খুব খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখা পড়ে, টাকা উসুলহইসে।
Read all reviews on the Boitoi app
২য় খন্ড অনেকটাই প্রথম খন্ডের হতাশা দূর করেছে! পারিজাত এর অনুভূতি টার আরেকটু ডেভেলপমেন্ট দেখালে ভালো হতো! সেক্ষেত্রে কলরব এর চরিত্রের বিস্তৃতি অনেক! ও ঠিকঠাক ভাবে চরিত্রায়ন হয়েছে!
দারুন হয়েছে।
অনেক সুন্দর হয়েছে গল্পটা❤
সুন্দর গল্প ভালো লাগলো আপু 💖
Onek opekkar por porlam,valo lagese.
খুব সুন্দর ছিলো। ৯/১০ দিবো আমি।
onk oppekhar por pelam...
এই বই টার জন্য কত অপেক্ষা করছি অবশেষে পেলাম । কলরব আর পারিজাত এত ভালো লাগে ২ টা কে উফফ কি বলবো যত পড়ি তত ভালো লাগে ❤️❤️
অপেক্ষায় ছিলাম। অনেক সুন্দর হয়েছে