প্রেমডোর

মিশকা আপুর গল্প মানেই টক ঝাল মিষ্টি। আবেগের বশে যে অনুভূতি অনুভব হয় সেটা খুব সহজে পেয়ে গেলে কদর কমে যায়। আহনাফ ও কুয়াশার মধ্যে একই ঘটনা ঘটে। নাইনে পড়ুয়া কুয়াশা নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আহনাফকে পেয়ে তাকে টক্কর দিতে গিয়ে ভালোবেসে ফেলে। ভার্সিটি দূরে থাকায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। ফলে একে অপরের থেকে বিতৃষ্ণা চলে আসায় সম্পর্কের ইতি টানে। কিন্তু বিধির লিখন যায় না খণ্ডন। নিজেদের অজান্তেই পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়। এরপর মান অভিমান ভুলে তারা এক হয় এই নিয়ে প্রেমডোর। গল্পটা খুব সাধারণ হলেও অসাধারণ বার্তা রয়েছে। হারামে নেই আরাম। স্কুল জীবনের কাটানো সময়গুলো বেশ মজার ও সুন্দর হয়। প্রকৃত বন্ধুত্ব থাকলে জীবন সুন্দর হয়। আহনাফ ও কুয়াশার বাবা মায়ের ভূমিকা একদমই মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। সন্তানের ভালোর জন্য না হয় মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। তবে আপু যেভাবে রোমান্টিক গল্প বলেছিল সেইটা আমি অবাক হয়ে ছিলাম। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এইগুলো আসলেই রোমান্টিক। এত্ত সাধারণ ঘটনায় ভালোবাসা আবদ্ধ থাকে তা বলে বোঝানো যাবে না। ঝগড়ায় রোমান্টিক ভরপুর। লেখিকার জন্য শুভ কামনা রইল আর ভালোবাসা নিবেন।

সেই হইছে আপাই🥰