ইসলামে মানসিক বুদ্ধিমত্তা (Emotional Intelligence) একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মানুষের নিজের ও অন্যের আবেগ বোঝার, নিয়ন্ত্রণ করার এবং যথাযথভাবে প্রকাশ করার সক্ষমতা। ইসলামী শিক্ষা আমাদের শেখায় কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়—যেমন, হাদিসে বলা হয়েছে, প্রকৃত বীর সেই, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ থেকেই বোঝা যায়, আবেগকে শান্তভাবে পরিচালনা করাই ইসলামের নির্দেশ। সহানুভূতিও ইসলামে মানসিক বুদ্ধিমত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মুসলমানদের একে অপরের দুঃখ-কষ্ট বোঝা এবং পাশে দাঁড়ানোর প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ক্ষমা করার মাধ্যমে মানুষ নিজের হৃদয়কে হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত রাখতে পারে, যা মানসিক শান্তি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়ক। তাছাড়া, কৃতজ্ঞতাও মানসিক বুদ্ধিমত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা আমাদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে এবং জীবনের প্রতি সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করে। এইভাবে, ইসলামের শিক্ষাগুলি আমাদের আবেগ পরিচালনার জ্ঞান দেয় এবং একে সুন্দরভাবে ব্যবহার করে একজন পরিপূর্ণ ও আত্মিকভাবে সমৃদ্ধ ব্যক্তি হয়ে ওঠার পথ দেখায়।