এরেঞ্জ ম্যারেজ—নির্বাক এক বন্ধন। জান্নাত এই বন্ধনে পা রাখে নির্ভরতার আশায়, নতুন এক জীবনের স্বপ্ন নিয়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভালোবেসে ফেলে তার স্বামী রাশেদকে। কিন্তু এই ভালোবাসার বিনিময়ে রাশেদ দেয় কেবল সন্দেহ, অবিশ্বাস আর মানসিক অত্যাচার। জান্নাতের প্রতিটি হাসি, প্রতিটি নীরবতাও তার চোখে দোষ হয়ে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে জান্নাত বুঝে যায়, সে ভালোবেসেছে এমন একজন মানুষকে, যে তাকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে প্রতিদিন, নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে। জান্নাত চেয়েছিল মুক্তি, একটু আলো, একটু বোঝাপড়া। কিন্তু পরিবার ও সমাজ—দু’টোই রাশেদের পাশে দাঁড়ায়। নারীর কষ্ট যেন এখানে গুরুত্বহীন, বরং তাকে-ই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। জান্নাত যখন মুক্তি চাইতে থাকে, তখন সমাজ তাকে শিখিয়ে দেয়—নারীর কাজ শুধু সহ্য করা। আর জান্নাত? সে তো আস্তে আস্তে মরে যাচ্ছিল। ভেতরে ভেতরে একা হয়ে পড়ছিল। একসময়… ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। "কি হয়েছিল জান্নাতের?" "সে কি পেয়েছিল মুক্তি?" "নাকি ভালোবাসার খাঁচায় তার ডানাগুলো চিরতরে থেমে গিয়েছিল?" এই গল্প শুধু এক নারীর নয়—এ এক সমাজের আয়না, যেখানে বিয়ে হয়েছে বলে নারীকেই সব কিছু সহ্য করতে হয়, মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু সব মেয়েরা কি সত্যিই পারে, চুপচাপ সবকিছু সহ্য করে বেঁচে থাকতে? "জানতে চান, কী হয়েছিল জান্নাতের?" ভালোবাসার খোলসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা নির্মম বাস্তবতার এই গল্পটি পড়ুন—এক নারীর নিঃশব্দ লড়াই আর শেষ চিঠির মতো করুণ পরিণতির কাহিনি।
অসম্ভব বাস্তব একটি গল্প পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল এরকম অনেক মেয়ে র জীবনের কাহিনী বিশেষ করে মেয়েদের বাবার বাড়ি র লোক দের বিষয় টা এত সত্যি keep up the good work
Read all reviews on the Boitoi app