আকমল চৌধুরী, একজন তেজদীপ্ত ব্যারিস্টার, যাকে জীবন বড্ড জাঁকজমকভাবে ধাক্কার স্রোতে সামিল করেছিল অতি অল্প বয়সে। যেখানে মানুষের সাথে মানুষের টিকে থাকার লড়াই, মৃত্যু থেকে জীবন বাঁচানোর তাগিদ, ভয়াল রূপ থেকে মুক্তির প্রয়াস। সবটা নিয়েই জীবন, তবুও সবটা কাটিয়ে ওঠা হয় কি এই সংকটময় সত্তার? অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষেরা মনে করতে পারেন, হয়ত সাকসেসফুল একটি লাইফ পেতে হলে স্ত্রীকে জয় করা জরুরি নয়। স্বামীর নিয়ম করে ভালোবাসা, ভরণপোষণ, খাদ্য ও বাসস্থানের নিরাপত্তা দিলে একজন স্ত্রীর জন্য ঢের বেশি। এর চেয়ে বেশি কিছুই লাগে না বিবাহিত একটি মেয়ের জীবনে। তা-ই কী? তুখোড় আইনজীবী ব্যারিস্টার আকমল চৌধুরী জিদ্দি, বেপরোয়া, আপন মর্জিতে চলা একজন দাম্ভিক পুরুষ, নিজেকে ডুব দেন। গভীরভাবে উপলব্ধি করেন, বিয়ে এবং সংসার নামক অস্তিত্বের সঙ্কটে সে আসলে ঠিক কোন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছিল। আজ বাবা নেই। সাল ২০২৪-এর রক্তক্ষয়ী জুলাইতে কী ঘটেছিল তার জীবনে, স্মরণ করেন আকমল চৌধুরী, যে কিনা তাবৎ পৃথিবীতে সবচাইতে সুন্দর পুরুষ, কেউ বলেছিল তাকে। নীলজল! নীলজল বদলে দিয়েছিল দাম্ভিক বেপরোয়া পুরুষটিকে। আর এই পুরুষটিকে গড়েপিঠে মানুষ করার পেছনে বাবা আশরাফ চৌধুরীর অবদানই সর্বোচ্চ। ছেলেকে গড়েছেন, ছেলের বৌকে গড়েপিঠে সাজিয়েছেন পুত্রের সংসার তিলে তিলে। কিন্তু কীভাবে? বারংবার অস্তিত্বের সঙ্কটে পতিত হওয়া বেপরোয়া দাম্ভিক পুরুষটি আসলে কার অস্তিত্বে মিশে গিয়ে নিজের সঙ্কটপূর্ণ লাইফস্টাইলের অভ্যস্ততাকে উৎরে গিয়ে আজ এতগুলো বছর পর এসে একজন সফল পুরুষের যাবতীয় সাফল্য নিয়ে দাঁড়িয়েছে? রিশা, সলজ্জ নাকি সিন্থি পেরেছিল পুরুষটির অস্তিত্বের সঙ্কট দূর করতে? নাকি ডুবে গিয়েছিল আদালত প্রাঙ্গণ দাপিয়ে বেড়ানো এক স্বনামধন্য পাবলিক প্রসিকিউটর সামান্য দু'ফোটা টলটলে অশ্রুর নীলজলে? অশ্রু! তাও বুঝি এত দামী? 'অস্তিত্বের সঙ্কটে' বুঝিয়ে দেবে হয়ত, দু'ফোটা নীলজল অশ্রুর মূল্য কতখানি।
"অসম বয়সী দু'জন মানুষের জীবন বোধ,অনুভূতি নিয়ে গল্প।জন্ম, মৃত্যু বিয়ে পর্যন্ত মানুষ অস্তিত্বের সংকটে থাকে। অসম বয়সী এই জুটি বাস্তবতার নিরিখে বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছে। ভালোবাসায় একে অপরের ঢাল হয়ে একজন আর একজন কে ভরিয়ে দেবে সকল পূর্ণতায় অস্তিত্বের সংকট কাটিয়ে।।"
অনলাইনে পড়েছিলাম, ই বুকে আবারো পড়লাম। ভালো লেগেছে। লেখিকাকে ধন্যবাদ।
Read all reviews on the Boitoi app
"অস্তিত্বের সঙ্কটে" একটি অসম বয়সী প্রেমের কাহিনী।যেখানে ব্যারিস্টার আকমল চৌধুরী বার বার নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে ফেরে সঙ্কটের দাঁড় গোড়ায়। শেষে কিনা তার তিন কবুল বলা নীলজলের দু'ফোঁটা অশ্রুই তাকে তার অস্তিত্বের সংকট থেকে মুক্তি দিল, বদলে দিল তার সব কিছু। উপন্যাসটি নিশ্চয়ই ভালো লাগবে সবার। হ্যাপি রিডিং....মাত্রই পড়া শেষ করলাম।
অসম বয়সী দু'জন মানুষের জীবন বোধ,অনুভূতি নিয়ে গল্প।জন্ম, মৃত্যু বিয়ে পর্যন্ত মানুষ অস্তিত্বের সংকটে থাকে। অসম বয়সী এই জুটি বাস্তবতার নিরিখে বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছে। ভালোবাসায় একে অপরের ঢাল হয়ে একজন আর একজন কে ভরিয়ে দেবে সকল পূর্ণতায় অস্তিত্বের সংকট কাটিয়ে।।
জন্ম থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপে নিজ অস্তিত্ব কে খুঁজে ফেরা, বারবার অস্তিত্বের সংকটে পড়া ও তা থেকে পরিত্রাণ... পেতে জীবনের সংগ্রাম!!! ★ বয়স কোন ব্যাপার না, বোঝাপড়াটা যদি ভালো হয়..! সবাই কি অর্ধাঙ্গিনীর বা অর্ধাঙ্গের মধ্যে নিজ অস্তিত্ব কে খুঁজে পায় বা খোঁজার চেষ্টা করে...!!? অনেকে তো সমঝোতার মাধ্যমে সংসার করে তো অনেকে হাল ছেড়ে দেয়.... কিন্তু তাঁকে মনের মধ্যে নিয়ে সারাজীবন ক'জনই বা আগলে রাখে বা রাখতে চায়...!??? তবে রিশা'দের মতো মেয়েরা খুব সহজেই নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেত এবং রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করতো.... নয় কি __!!?? ★ কবুল -- সে তো অনেক শক্তিধর একটি শব্দ....! না দেখেই কবুল বলার কতো জোর __!!! আর যদি সেখানে থাকে একরাশ দু'আ ___ তবে,,, ——“ এই ছোট্ট মেয়েটির জন্য দেখ আকমল একদিন আরও --- আরও বড় হবে। খ্যাতির চূড়া ছোবে আকমল ওঁর স্ত্রীর হাত ধরে।” এঁদের অস্তিত্ব কি এতই সহজ মেটানো __!??? তুখোড় ব্যারিস্টার তাঁর অস্তিত্ব কে খুঁজে পেল শেষ পর্যন্ত...!??আর তাঁর নীলজল..!?? এতো এতো বাঁধা অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত দু'জন কি এক হতে পারবে..., আকমলের ভালোবাসা কি পারবে মেয়েটিকে আগলে রাখতে..!?? আর নীলা...কি পারবে আকমলের মাঝে নতুন অনুভূতির জন্ম দিতে ___!??? জানতে হলে পড়ুন,, অসম্ভব রোমান্টিক কিন্তু বাস্তবতার আদলে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই কিভাবে লড়তে হয়... সত্যিকারের ভালোবাসলে কিভাবে আগলে রাখতে হয়...!!! বিঃদ্রঃ --- এ যেন একটুকরো দলিল,,, জুলাই অভ্যুত্থানের...! আমরা সবাই যখন কমবেশি নিজেদের অস্তিত্বের সংকটে পড়েছিলাম, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় লড়ছিলাম... কেউ শশরীরে, কেউ নামাজে দাঁড়িয়ে,কেউ কলম নিয়ে,,,, ঠিক সে সময়েরই এক টুকরো সাক্ষী হয়ে থাকবে চির অমলিন হয়ে....!!! মা শা আল্লাহ্!!!
অসম্ভব সুন্দর লেখা বরাবরের মতো। লেখিকার কলমে জাদু আছে মাশা আল্লাহ। সব্দ চয়ন চমৎকার। শুভকামনা রইল
নিজ অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান এক পুরুষের এক নিমিষেই সকল দ্বিধা কর্পূরের মতো উড়িয়ে দেয়ার জার্নিই যেন #অস্তিত্বের সংকট গল্পের মূলধারা। আকমল চৌধুরী নামক সেই পুরুষ বারে বার হাজার বার তার নীলজলের পদ্ম আঁখিতে ডুবেছে। প্রতিটি মুহূর্তের উপলব্ধি কি ভিষণ সুন্দর!! ছল-কপট সব কিছু পেরিয়ে এই এক নিদারুণ জিতে যাওয়ার গল্প!!✨
মানুষের জন্ম, পরিবারের পরিধি, ভালোবাসার আগমন, মৃত্যুর মিছিল— এই তো জীবন চক্র। #অস্তিত্বের_সঙ্কটে উপন্যাস সেই চক্রের গতিবিধি, একজন পরিণত পুরুষ এবং তার জীবনে আসা কিশোরীর স্রোতধারা। দুজনেই নিজ পরিসরে নিজেদের সত্তা কে টিকিয়ে রাখার যাত্রা পথ এক করেছে, তাতে সম্পর্কের সঙ্কট তৈরি হলো কি! আকমল- নীলার সম্পর্কের সমীকরণে জটিলতাকে সরিয়ে ভালোবাসার ভিত্তি গড়ে উঠল নাকি চারপাশের রিশা- সলজ্জদের মোহের ভিড়ে সত্তার মৃত্যু হলো। চোখের মোহেই তো কত শত মনের অস্তিত্ব ভেঙে টুকরো হয়ে কত আমীন তৈরি হয়, আবার হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের জুড়ে অগণিত আকমল- আশরাফের দেখা মেলে। মনের মধ্যে গড়া ভালোবাসা, তাকে হারানোর ভয় কি সামাজিক ভয়াল বাস্তবতা কে তোয়াক্কা করে!!, মনের মৃত্যুর কাছে শারীরিক মৃত্যুর মিছিল তো তুচ্ছ।স্বামীর ভালোবাসার সৌন্দর্যের জোয়ারে স্ত্রীর অস্তিত্ব, আর স্ত্রীর উপলব্ধিতে স্বামীর অব্যক্ত সুখের প্লাবনে স্রোতস্বীনি নীলজল কি মিললো আকমলের মোহনায়!!!! অসাধারণ শব্দ বুননের এই উপন্যাস অস্তিত্বে মিশে জীবন বন্দনা শেখাবে, মুগ্ধতায় মন ছুঁয়ে যাবে।
অসম বয়সী জুটি নিয়ে এক অদ্ভুত সুন্দর গল্প.... পবিত্র সম্পর্কের বন্ধন এ বয়স আর পরিস্থিতি কোনো বাধা হয় না, তা আরও একবার ফুটে উঠলো। নিজেদের বোঝাপড়া টাই সবচে জরুরি। দুঁদে ব্যারিস্টার আকমল আর তার পুচকে বউ নীলজল এর এক মিষ্টি প্রেম উপাখ্যান এ আপনাদের স্বাগতম।
জাস্ট অসাধারণ লিখনি.... ভালোবাসা বুঝি এমনিই হয়!!!
অসাধারণ !!! অল্প বয়সে নিয়তির কাছে ঠকে গিয়ে জীবনের পথ চলা ... কিশোরী বউ নিয়ে সাংসারিক টানাপোড়ন ভীষন সুন্দর ♥️♥️♥️