ভাবুন তো? এমন এক পৃথিবীর কথা, যেখানে উদ্ভিদ আর মানুষের বন্ধু নয়—বরং চরম শত্রু! এই যে অনায়াসে, বিনা পরিশ্রমে উদ্ভিদদের কাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পেয়ে আসছি, সেই পৃথিবীতে তা যেন এক রূপকথার গল্প! আজকের নীরব, অনুভূতিসম্পন্ন এই ‘মানব-মিত্র’ উদ্ভিদরা আর একতরফা দাতা হয়ে থাকতে চায় না। তারা বুঝে গেছে—মানবজাতিই তাদের ও গোটা প্রকৃতির প্রধান শত্রু! তাই পৃথিবী থেকে মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে, উদ্ভিদরা নিজেদের মধ্যে এনেছে নানাবিধ প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক জেনেটিকাল মডিফিকেশন। সেই পৃথিবীতে মানুষ এখন একটি বিপন্ন প্রজাতি। মাত্র হাতে গোনা কিছু মানুষ টিকে আছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বলেই হয়তো জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভুলে এক হয়ে গড়ে তুলেছে কিছু সেটেলমেন্ট। তেমনই একটি—সেটেলমেন্ট ৩৭। কেমন হবে সেই সময়ের জীবনের গল্প? মানুষ কি তখন লোভ-লালসা দূরে সরিয়ে নিজেদের এবং পৃথিবীকে রক্ষা করতে একসাথে কাজ করবে? মনুষ্যত্ব আর ভালোবাসা কি টিকে থাকবে সেই বিপন্ন সমাজে? নাকি, সেই সময়েও কিছু মানুষের লক্ষ্য থাকবে—যেকোনো মূল্যে ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে পা রাখা?