মানুষের চোখের আড়ালে, মানুষের সাথেই সহাবস্থান করছে ফেরেশতা ও অপদেবতার মতো অতিপ্রাকৃত সত্ত্বারা, যারা আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে—ভালো কিংবা খারাপের জন্য। নীতির প্রশ্নে শিথিল, ভক্তিহীন, ধর্মবিরূপ, অথচ এক অনন্য জাদুবিদ্যাবিদ—জন কন্সট্যান্টিন। একইসাথে সে আশীর্বাদপুষ্ট এবং শাপগ্রস্ত; কারণ গোপন মহাজগতের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে তার আছে অদ্ভুত এক ক্ষমতা। একটি রহস্যময় আত্মহত্যার মামলায় কন্সট্যান্টিন জড়িয়ে পড়ে লস অ্যাঞ্জেলসের সন্দেহপ্রবণ, দৃঢ়চেতা এক মহিলা পুলিশ অফিসার অ্যাঞ্জেলা ডডসন-এর সাথে। আত্মহত্যাকারিণী ছিল অ্যাঞ্জেলার যমজ বোন। এই তদন্তের সূত্র ধরে তারা জড়িয়ে পড়ে একের পর এক অলৌকিক ও বিপর্যয় ডেকে আনার মতো ঘটনার ঘূর্ণিপাকে। এমনকি, নরকের মহাশক্তি লুসিফারও কন্সট্যান্টিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমে পড়ে—তার বিশেষ আত্মাটি কব্জা করার আশায়... স্বর্গ তাকে চায় না!! নরক তাকে ছাড়তে চায় না!! আর, পৃথিবীর তাকে দরকার!!! পাঠক, চলুন ঘুরে আসি জন কন্সট্যান্টিনের সাথে—স্বর্গ ও নরকের পর্দা ফাঁস করে, দুটোরই দরজার ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে!