সর্পাঘাতে মরণ হইবো তোর ছেলের,' গম্ভীর কণ্ঠে বলে ওঠে মৃত্যুঞ্জয়। তার চোখ এখনো বোজা। মুখ একদম শান্ত। কথাটা শুনে কেঁপে ওঠে অরুণা। মুখে কাপড় চাপা দিয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে। ভয়ানক কিছুর আশঙ্কায় অস্থির হয়ে জানতে চায় উপায়। মৃত্যুঞ্জয় কিছু বলে না। চোখ খুলে আশপাশে তাকায়। তার দৃষ্টিতে একরাশ শূন্যতা। উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করে সে। হাতের ঘটি থেকে মন্ত্রপুত জল ছিটিয়ে দেয় রাজবাড়ির আনাচে-কানাচে। অরুণা তার পিছু পিছু হাঁটতে থাকে। হাঁটতে থাকে বাড়ির সব বৌঝিরাও। কানাঘুষা চলে তাদের মধ্যে। 'কোন উপায় ত থাকবে!' কান্নার দমকে কথা বলতে পারছে না অরুণা। ছেলের ভবিষ্যৎ মৃত্যুর খবর তাকে অস্থির করে তুলছে। 'তোর ছেলে জোড়া সাপ বধ করেছে। আর যে সে সাপ নয়, বাস্তুসাপ!' মৃত্যুঞ্জয় থামে কিছুক্ষণ। তারপর আবার হাঁটতে থাকে। সে নিজেও ক্রুদ্ধ। একটা বাচ্চা ছেলে এত বিষধর দুটো সাপ মেরে ফেলল! সাপের বিষ থেকে নানা ওষুধ আর মাদুলি বানায় মৃত্যুঞ্জয়। এটা তাদের পৈতৃক পেশা। সাথে লোকের ভাগ্যও দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পারে মৃত্যুঞ্জয়। ছোটবেলা থেকে সাপের সাথেই তার কাজকারবার, তবু শঙ্খচূড় ধরতে গেলে বুক কাঁপে তার। আর এই দশ বছরের ছেলে কি না দু দুটো সাপ এক হাতে মেরে ফেলল! কিছুটা আত্মসম্মানেও লাগে তার।
"মুনীরার লেখা পছন্দ করি প্রথম থেকেই। তবে লেখকের অন্যান্য বই বা গল্পের চেয়ে এই গল্পগুলো কেন জানি না আমাকে ততটা টানেনি। মনে হয়েছে লেখক তাঁর পুরো মনোযোগ দিয়ে গল্পগুলো লেখেননি। পরের লেখা আশা করি আবার ধারালো হয়ে উঠবে॥"
মুনীরার লেখা পছন্দ করি প্রথম থেকেই। তবে লেখকের অন্যান্য বই বা গল্পের চেয়ে এই গল্পগুলো কেন জানি না আমাকে ততটা টানেনি। মনে হয়েছে লেখক তাঁর পুরো মনোযোগ দিয়ে গল্পগুলো লেখেননি। পরের লেখা আশা করি আবার ধারালো হয়ে উঠবে॥
Read all reviews on the Boitoi app
ছোট ছোট গল্পগুলো বেশ ভালো লাগলো। সূচিপত্রে গল্পের নাম থাকলে ভালো হতো।