উপন্যাসটির শেষ পৃষ্ঠায় পুঁথি সংস্কৃতির পুনর্জাগরণের এক চমকপ্রদ মুহূর্ত আসে। এর মাধ্যমে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়, যেখানে পুঁথির ঐতিহ্য আর আধুনিক সমাজের সংমিশ্রণ ঘটে। পুঁথির পাঠের মাধ্যমে প্রাচীন বাংলা সংস্কৃতির বেঁচে থাকা ও তার আধুনিক রূপের উদ্ভাবন চিত্রিত হয়। শামিমা, রাশেদ, লাবণী, তপন স্যারসহ অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে পুঁথি শুধুমাত্র শ্রুতিমুখর এক সংস্কৃতিরূপ নয়, বরং তা আবার একটি জীবন্ত সাংস্কৃতিক চর্চায় পরিণত হয়—যা নাট্যরূপ, শিক্ষা এবং সম্প্রদায়ের অংশ হয়ে ওঠে। শেষের দিকে, পুঁথি পাঠের এই আন্দোলন জাতীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হতে শুরু করে, এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর বিস্তারও ঘটে। স্থানীয়ভাবে শুরু হওয়া এই উদ্যোগটি এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে, যেখানে বিদেশি মঞ্চে, প্রবাসী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে পুঁথি সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ে। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পুঁথির সংরক্ষণ ও অডিও বই তৈরি, পুঁথি পাঠের গুরুত্ব এবং আকর্ষণ বৃদ্ধি করে। অবশেষে, উপন্যাসের মূল চরিত্ররা বুঝতে পারে যে, তারা শুধু একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনই নয়, একটি ঐতিহ্য পুনর্জাগরণের অংশ হয়ে উঠেছে। তাঁদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে পুঁথি সংস্কৃতি আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে, আর ভবিষ্যতে এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়বে। শেষ দৃশ্যে, শামিমা ও তার বন্ধুরা তাদের সংগ্রাম এবং অর্জনের সাফল্য উপলব্ধি করে, এবং তারা জানে যে, একদিন পুঁথির পাতা আবার খুলবে, এবং তার সুরে পৃথিবী বাজবে। এটি একটি শক্তিশালী সমাপ্তি, যেখানে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, এবং প্রজন্মের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন নির্মাণের বার্তা প্রদান করা হয়।