সালেহ্ ভাই মানে আবু সালেহ্। পল্টনের ছড়াকার হিসেবে খ্যাত সাংবাদিক। সেই কৈশোর পেরুনো বয়স থেকেই রাজনীতির উত্তুঙ্গ স্রোতেও মিশে আছেন। তিনি ২০২১ সালে তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে জানতে চেয়েছেন, এ দেশের সাংবাদিক সমাজ ২৩ মে পালন করবেন কিনা। আমাদের দেশে সাংবাদিকেরা অনেক দিবসই পালন করেন না। পেশার মর্যাদা, স্বাধীনতা, রুটি-রুজির সংগ্রাম ও নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত অনেক দিবস ও ঘটনা তাদের মনে রাখা হয়ে ওঠে না। আসলে শ্রমিক তো। খেটে খাওয়া লোকদের এত কথা মনে রাখার অবকাশ কোথায়? আমাদের এই পেশার পূর্বসূরীরা বেশির ভাগই ছিলেন প্রগতিশীল। সমাজতান্ত্রিক ভাবাদর্শে বিশ্বাসী। তারা নিজেদেরকে শ্রমিক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত রাখতে পছন্দ করতেন। ফর্সা কাপড়ের অহমিকা ভুলে দাবি করতেন, আমরা সাংবাদিকরাও শ্রমজীবী, ওয়ার্কিং ক্লাসের অন্তর্ভুক্ত। এজন্য তারা সাংবাদিকদের এসোসিয়েশন না করে ট্রেড ইউনিয়ন করে গেছেন। সাংবাদিকদের পারিশ্রমিককে বেতন নয়, মজুরি নামে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তারা। মজুর হিসেবে বাড়তি কাজ করলে সাংবাদিকেরা পায় ওভার টাইম ভাতা। পে-স্কেলের বদলে সাংবাদিকদের জন্য শিল্পের অন্য শ্রমিকদের মতোই মজুরি রোয়েদাদ নির্ধারণের দায়িত্ব গ্রহণে তারা সরকারকে বাধ্য করে গেছেন।