নোয়াখালীর এক সাধারণ মানুষ গফুর মিয়া, যিনি তার জীবনযাত্রার একঘেয়েমি কাটিয়ে নতুন কিছু খোঁজার আশায় বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু তার কল্পনাতেও ছিল না যে, তিনি এমন সব আজব দেশে পা রাখবেন, যেখানে মানুষের সমাজের বিচিত্র রূপ তার চোখের সামনে ধরা দেবে। ক্ষুদ্রগঞ্জের তুচ্ছ রেষারেষি, বিশালপুরের দানবীয় বিশৃঙ্খলা, ভাবুক নগরের তত্ত্বকথার হাট, শান্তিপুরের শীতল শৃঙ্খলা, আর হট্টগোল পাড়ার উন্মত্ত উচ্ছৃঙ্খলতা – প্রতিটি পর্যায়েই গফুরের অভিজ্ঞতা তাকে নতুন উপলব্ধির মুখোমুখি দাঁড় করায়। শেষ পর্যন্ত, গফুর যখন তার নিজের ঘরে ফিরে আসে, তখন সে বুঝতে পারে তার নিজের গ্রামই তার জন্য আসল জায়গা। কিন্তু এই যাত্রা তাকে বদলে দিয়েছে, তার দৃষ্টিভঙ্গি আর উপলব্ধির গভীরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তার আজব সফরের গল্প অন্যদের কাছে হয়তো পাগলের প্রলাপের মতো শোনায়, কিন্তু গফুর জানে, সে যা দেখেছে তা বাস্তব। এই বই সেই অনন্য যাত্রার কাহিনি, যা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করবে – মানুষের সত্যিকারের জায়গা কোথায়? যুক্তি আর আবেগের মধ্যে কোথায় পাওয়া যাবে জীবনের আসল মানে? এই গল্পের মাধ্যমে লেখক পাঠককে এক গভীর দর্শনের পথে নিয়ে যান, যেখানে জীবনের অর্থ খুঁজতে গিয়ে আমরা কতটা পথ পাড়ি দিতে পারি, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়।