হঠাৎ কি মনে হল ফরিদ সাহেবের, কে জানে। ফাঁড়ির কাছে রিকশা যেতে বেশি বাকি ছিল না। কিন্তু মোটরসাইকেলটাকে রিকশার পাশে চলে আসতে দেখেই কিনা, সে চলন্ত রিকশা থেকে লাফ দিল। তারপর বিশাল শরীরটা নিয়ে ড্রেনে পড়ল। কোলে তখনো ব্রিফকেসটা ধরা। মোটরসাইকেলটা ব্রেক করতেই বেশ কিছুটা পথ ছিটকে গেল। রিকশাটা এই সুযোগে পাড়াপার। আর ফরিদ সাহেব ড্রেন থেকে হাঁচড়ে-পাঁচড়ে উঠে পাশের বাড়ির খোলা গেটটায় ঢুকে গেল। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এই রাত দশটায় এই বাড়ির গেট খোলা দেখেই সে এই গেটের সামনেই রিকশা থেকে লাফ দিয়েছে।