তৃতীয় বিশ্বের জ্ঞান উৎপাদন ও বিতরণের অবস্থা বোঝার জন্য 'বন্দী মনন' তথা বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্বের ধারণাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও বিতর্কের বিষয় হিসেবে বিবেচিত। গত শতকের মাঝামাঝি এই দাসত্বের স্বরূপ চিহ্নিত হলেও, এটি আজও একটি সমস্যারূপে বিদ্যমান রয়েছে—যা আরও গভীর আলোচনা, বিতর্ক ও পঠনপাঠনের দাবি রাখে। এছাড়া, এটি দুটি বড় সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত: (১) পশ্চিমা বন্দী মননের বুদ্ধিজীবী প্রভাব এবং (২) ইউরোপকেন্দ্রিক একাডেমিক নির্ভরতাকে অতিক্রম করতে না পারা। মূলত, এই দুটি বিষয়ের ওপরই আলোকপাত করা হয়েছে এ বইয়ে। এ বইয়ের ভাষা ও চিন্তার সুর মূলত নিজস্ব জ্ঞান-পদ্ধতি আবিষ্কার এবং পাশ্চাত্যের প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে এনে তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীদের আত্মনির্ভরশীল ও স্বাধীন চিন্তার পথে উদ্বুদ্ধ করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।