"মাসায়েলে কুরবানি", মূলত কুরবানী সম্পর্কিত ইসলামী মাসায়েলগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই এবং এতে কুরবানীর নেসাব, পশু কেনা, যবেহ করা, মাংস বণ্টন এবং চামড়ার ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন জরুরি মাসায়েল বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বইটির বৈশিষ্ট্য: ১. সহজবোধ্য ভাষা: বইটি এমনভাবে লেখা হয়েছে যাতে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ, যেমন - তালিবুল ইলম, ইমাম, খতিব, নারী-পুরুষ, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী - সকলে সমানভাবে উপকৃত হতে পারেন। ২. প্রয়োজনীয় মাসায়েলের অগ্রাধিকার: বাজারে প্রচলিত অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এই বইটিতে কুরবানীর অধিক প্রয়োজনীয় মাসায়েলগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ৩. নেসাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা: কুরবানীর নেসাব (সক্ষমতা) সম্পর্কে এতে একটি বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে, যা সাধারণত অন্যান্য বইয়ে অনুপস্থিত। ৪. সরাসরি অনুবাদ নয়: বইটি জামিয়া মাযাহেরুল উলুম সাহারানপুরের "মাসায়েলে কুরবানি" অবলম্বনে লেখা হলেও, এটি কোনো সরাসরি অনুবাদ গ্রন্থ নয়। বরং এটিকে একটি স্বতন্ত্র রচনা বলা যায়, কারণ এর বিন্যাস সম্পূর্ণ নতুনভাবে সাজানো হয়েছে এবং মূল বইয়ের আলোচনা থেকে অনেক ক্ষেত্রে কাটছাঁট করা হয়েছে। ৫. নির্ভরযোগ্য সূত্র: বইটি রচনার ক্ষেত্রে দারুল উলুম করাচির মুফতি সালমান যাহেদ সাহেবের "কুরবানি কে ফাজায়েল ওয়া আহকাম" এবং মুফতি মুবিনুর রহমান সাহেবের "কুরবানি শরিয়েত কে মুতাবেক কি জিয়ে" (৪র্থ সংস্করণ) কিতাবগুলোর পাশাপাশি মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকার পত্রিকা "মাসিক আল কাউসার" এর বিভিন্ন প্রবন্ধের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। ৬. দালিলিক আলোচনা পরিহার: এটি একটি ফিকহী ধাচের বই হওয়া সত্ত্বেও, এতে কোনো দালিলিক আলোচনা আনা হয়নি, বরং আলোচনাগুলো সরল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। সংক্ষেপে, এই বইটি কুরবানীর মাসায়েল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলের জন্য একটি ব্যবহারিক এবং সহজবোধ্য নির্দেশনা।