সকাল হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাস্তায় ঝাড়ু দিচ্ছে। কলাবাগান মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে শারমিনের চোখ আটকে গেল একটি ডাস্টবিনে—সেখানে একটি কাক বসে আছে। কেবল একটি? আশ্চর্য! এখানে তো অনেক কাক থাকার কথা; বাকি কাকগুলো কোথায়? ওদের কি এখনো ঘুম ভাঙেনি? শারমিনের ভাবনাগুলো এলোমেলো হয়ে যায়। কীসব যে ভাবছে সে! হঠাৎ মনে হলো—একটি কাক কি অশুভ? নাকি শালিক? ছোটবেলায় শুনেছিল, এক শালিক দেখলে অশুভ; তখন মনে মনে একটি ছড়া আওড়াত, শালিক শালিক নমস্কার দুটি শালিক চমৎকার পা দুটি তার কালো, দিনটি আমার ভালো! কিন্তু আজ একটি কাক দেখে কেন যেন অস্বস্তি লাগছে। কী তবে কিছু অশুভ ঘটতে চলেছে তার জীবনে? হয়তো… উড়বে যে পারাবত, ভাঙা তার ডানা, কত দূর যাবে, জানে না সীমানা। চোখ তার দেখেছে আগুনের দিন, শোধ করে দিয়েছে অনলের ঋণ… এই কবিতার লাইনগুলো যেন শারমিনের বুকের মধ্যে ধ্বনিত হতে থাকে। কিছু কি আসলেই বদলে যাচ্ছে?