সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় ফাহাদ বৃষ্টিকে বলল, "তোমার কি সিড়ি ভাঙতে কষ্ট হচ্ছে?" বৃষ্টি না সূচক মাথা নাড়ালো। মনে মনে ভাবলো, "আমার কষ্ট হচ্ছে বললে কি উনি আমাকে কোলে তুলে নিয়ে যাবে নাকি!" ফাহাদ আবারও জিজ্ঞেস করলো, "আর ইউ সিউর? কষ্ট হচ্ছে না?" বৃষ্টি রাগান্বিত হয়ে বলল, "বললে কী হবে? আপনি কি আমায় কোলে তুলে উপরে তুলবেন? না তো। তাহলে বারবার জিজ্ঞেস করার কী আছে! আর এখানে তো কেউ নেই, তাহলে তুমি তুমি করে বলারই বা কী আছে?" ফাহাদ হঠাৎ করে বৃষ্টিকে কোলে তুলে নিলো। বৃষ্টি অবাক হয়ে বড় বড় চোখ করে ফাহাদের দিকে তাকিয়ে বলল, "এসব কী হচ্ছে! কী করছেন আপনি? নামান আমাকে প্লিজ। সবাই দেখলে কী ভাববে?" ফাহাদ বলল, "কেউ কিচ্ছু ভাববে না। বরং তুমি যদি এখন চেঁচামেচি করো, তাহলেই সবাই সন্দেহ করবে। ভাববে আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা আছে। তাই নিজের মুখটা বন্ধ রাখো। আর নিজের বউকে তুমি করে বলায় কোনো অপরাধ নেই। আমি চাইলেই এখন তোমাকে..." বৃষ্টি ফাহাদের শার্টের কলার চেপে ধরে অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে মনে বলছে, "এ আমি ওনার কোন রূপ দেখছি! উনি এতটা জেদি, তাতো জানতাম না। কথাটা বলতে দেরি কোলে তুলে নিতে এক মুহূর্তও দেরি করলো না। পেছনে ভাইয়ারা আছে, দেখলে কী ভাববে, ইশশ!!" বর্ষার এই মরশুমে বইটইতে আসছে এমনই এক মিষ্টি ভালোবাসার গল্প "বৃষ্টি তোমার ঠিকানা।"