বউয়ের লাশ দাফন না করেই নীল চৌধুরী নতুন মাল জুটিয়ে ফেলেছে— নিজেকে নিয়ে এমন কুৎসিত বাক্য আচমকা মাথায় কেন এলো? কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে টের পেলাম, এই প্রশ্নের হঠাৎ আগমন অস্বাভাবিক নয়। কারণ বউয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার বদলে এই ভরদুপুরে আমি অন্য মেয়ের সাথে জোরজবরদস্তি করছি; তাকে দুই হাতের শক্ত বাঁধনে বন্দী করে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রেখেছি। এখানে থেমে গেলে হয়তো নিজেরই চিন্তায় নেতিবাচক কিছু আসতো না। কিন্তু আমি অচেনা এক মেয়েকে জোরপূর্বক কাঁধে ফেলে এবার হাঁটতে শুরু করলাম। আজ কোনোভাবেই এই মেয়ের আমার হাত থেকে নিস্তার নেই। ও ছটফট করছে; অজানা আমাকে হয়তো ভয়ও পাচ্ছে। যা ইচ্ছে হয় করুক, কিন্তু আমি ওকে ছাড়ছি না। একটু আগে অবচেতন মনে আমি যে আলিঙ্গনে ওকে আবদ্ধ করেছিলাম, সেই আলিঙ্গনের মিঠে রেশ এখনো আমাকে বলছে, “নীল, এই মেয়েটি তোর বড়োই আপন। ওকে পালিয়ে যেতে দিস না; ভালোবাসায় মুড়িয়ে নে তোর বুকে।”