শিমুল গাছের ছায়ায়, নদীর ধারে আধডোবা এক নারীর শরীর—ফুলবানু। তার পিঠ উদোম, চুলগুলো ছড়িয়ে আছে চারদিকে, যেন জলের স্রোতে ভেসে বেড়ানো কোনো দুর্বোধ্য গল্প। মনে হচ্ছে, হয়তো শেকড়ে আটকে গেছে তার নিথর দেহ। এখন ফাল্গুন, শিমুল ফুল জলে ভেসে বেড়াচ্ছে—কখনো জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে, কখনো বা আটকে পড়ছে নিরব ঘূর্ণিতে। পাড়ের মানুষজন জমে উঠেছে, কারো চোখে বিস্ময়, কারো চোখে আতঙ্ক—পুলিশ এখনো আসেনি। রুহুলের মনে পড়ে, কবি সাহেব গতরাতে বলেছিলেন কবিতার নাম—“নিমজ্জিত জলপুষ্প”। সেই নামই যেন এখন এক বাস্তব রূপে ধরা দিয়েছে ফুলবানুর শরীরে। সে এখন আর শুধু নারী নয়, এক গভীর রূপক—নিমজ্জিত জলপুষ্প। এই উপন্যাসে জলের গহনে হারিয়ে যাওয়া এক নারীর রহস্যঘেরা গল্পে মিলবে প্রেম, মৃত্যু, কবিতা আর প্রশ্ন—নির্বাক করে দেওয়ার মতো সব প্রশ্ন।