আভির চৌধুরী—একজন লম্বা, গম্ভীর, ভারী ধরনের পুরুষ। ইমন তাকে নিয়ে সামনের দিকে হাঁটছে, আর পাপিয়া পেছনে মেয়েকে নিয়ে আসছে। বাড়িতে ঢোকার পরপরই পাপিয়া মেয়েটিকে রুমে পাঠিয়ে দিল। ইমনকে বলল, “আভিরকে রুমটা দেখিয়ে দে। আমি ঠান্ডা কিছু আনছি।” আভির কাঁধের ব্যাগ নামিয়ে বিছানায় চিৎ হয়ে পড়ল। দীর্ঘ যাত্রায় তার শরীর জর্জরিত। তবু সে খুঁতখুঁতে স্বভাবের মানুষ—ফ্রেশ না হয়ে সে কখনোই আরামে বসে না। একটা তোয়ালে হাতে নিয়ে সে রুম থেকে বেরিয়ে এল। আর তখনই চোখে পড়ল মেয়েটিকে। বারান্দায় জ্বলছে ম্লান হলুদ বাতি। সাদা রঙের থ্রি-পিস গায়ে জড়ানো কিশোরী মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ। আভির সাতাশ বছরের জীবনে বহু ধরনের মেয়ে দেখেছে—থ্রি-পিস, ওয়েস্টার্ন, শাড়ি-পরা। কিন্তু এই প্রথম কোনো কিশোরী রূপী মেয়েকে তার এতটা আবেদনময়ী মনে হলো। বুকের গভীরে একধরনের অস্থিরতা অনুভব করল সে। নিজেই বুঝতে পারল, কিছু একটা হচ্ছে। অস্ফুট গলায় জিজ্ঞেস করল, “নাম কী তোমার, মেয়ে?” এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো—সে যেন নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছে। নাদুসনুদুস মেয়েটা একটু ভয় পেয়েছে বুঝি? চেহারায় এখনো একটা শিশুসুলভ ছাপ রয়ে গেছে তার। জীবনে প্রথমবার, এতটা কাছ থেকে কোনো পুরুষের মুখোমুখি হলো সে। অস্থিরতা বাড়ল, কমল না। তবু নিজের চঞ্চলতার জোরে মেয়েটি রিনরিন করে উত্তর দিল, “দোলন ইসলাম পুষ্প।”
বরাবরের মতো সুন্দর হয়েছে আপু। গল্প আর বাস্তবতার মিশেলে দারুণ লেখনি। আর গল্পের মাধ্যমে মেয়েদের নিজের পরিচয় গড়ে তোলার ম্যাসেজটি দারুন ছিলো। শুভ কামনা রইলো।
Read all reviews on the Boitoi app
অনেক অনেক সুন্দর হইছে আপু 🖤 এক কথায় অসাধারণ একটা গল্প 🤍
খুব ভালো লাগলো পড়ে।