“তুমি জানো?” আদভিন ফিসফিস করে বলল, “তোমার শরীরের প্রতিটি অংশ যেন তোমার নিজের গল্প বলে। তুমি কেবল একজন নারী নও, তুমি আমার কাছে এক আবেগের মহাসাগর।” আদভিনের কথায় তরুর চোখে জ্বলে উঠল এক অজানা তৃষ্ণা। সে নিঃশব্দে তার হাত নামিয়ে আনল আদভিনের গলার কাছে। উভয়ের মাঝখানে ছড়িয়ে পড়ল এক ধরণের উষ্ণতা—না বলা, অথচ গভীর। ধীরে ধীরে তারা বিছানার দিকে এগিয়ে গেল। আদভিন তার জামার বোতাম খুলছিল, তরু তার কাঁধ থেকে সরিয়ে দিচ্ছিল কাপড়। শরীর জেগে উঠছিল, কিন্তু তাতে কোনো তাড়াহুড়ো ছিল না, বরং যেন সময়ও থমকে গিয়েছিল। তরুর ত্বক কাঁপছিল আদভিনের স্পর্শে। আদভিনের চোখে ছিল এক অপার মুগ্ধতা, এক গভীর আকর্ষণ—যেন আগুনের পাশে রাখা একটি মোমবাতি নিজে থেকেই জ্বলে উঠছে। তারা তখন আর ভাষায় কথা বলছিল না, কথা বলছিল চোখ, স্পর্শ, নিঃশ্বাস। একে অপরের অস্তিত্বে মিশে যাচ্ছিল ধীরে ধীরে—যেন শরীরের সীমা পেরিয়ে আত্মাও এক হতে চাইছে। “আমি চাই, তোমার প্রতিটি অনুভবের অংশ হয়ে উঠতে। তোমার শরীর শুধু ইচ্ছের নয়, ভালোবাসার আশ্রয়,” আদভিন বলল কানাঘেঁষে। সেই রাতে তাদের মধ্যে শুরু হল এক নতুন যাত্রা—শুধু শরীরের নয়, হৃদয়ের গভীর এক মেলবন্ধনেরও।
Valo
Read all reviews on the Boitoi app