ইমা আজ বাবার পিছু পিছু বাসা থেকে বের হয়ে গেল। ক্যাম্পাসে পৌঁছে সোজা ক্লাসরুমে ঢুকলো। একটানা তিনটে ক্লাস করে বের হয়ে এলো ফ্রেন্ডদের সাথে। রুটিন অনুযায়ী দুপুরে একটা ক্লাস আছে। মাঝে ঘণ্টা খানেক বিরতি। ইমা ভাবল, শেষ ক্লাসটা আজ আর করবে না। বান্ধবীদের সঙ্গে ফুচকা ও ঝালমুড়ি খেতে খেতে কিছুক্ষণ গল্প করল। তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। রাস্তায় সেদিন প্রচণ্ড জ্যাম। বাড়ি ফিরতে প্রায় দুপুর গড়িয়ে গেল। ক্লান্ত, অবসন্ন শরীরটা টেনে লিফটে উঠেছে। লিফট বন্ধ হবে ঠিক তখন কেউ হাত বাড়াল ফাঁকে। বলিষ্ঠ পুরুষালি একটা হাত। হাতে বেশ দামি ঘড়ি। লোকটা ঢুকলো। ইমার চোখ পড়ল তার পলিশ করা চকচকে কালো জুতো জোড়ায়। তারপর আড়চোখে আস্তে আস্তে কালো প্যান্ট, নীল শার্ট পরিহিত পুরুষটির মুখের একপাশ দেখল। দেখামাত্রই ওর কলিজার পানি আধা হয়ে গেল। মনে মনে ভাবল, "আরে, ইনি তো কালকের সেই পেট ভর্তি ইগোওয়ালা শান!" গতকাল বাসার টি-শার্টে যতটা সুদর্শন লাগছিল, আজ এই পরিপাটি ফর্মাল স্টাইলে তার চেয়েও বেশি সুন্দর লাগছে। "হুঁ! সুন্দর বলেই তো দেমাকে বাঁচে না।" মনে মনে ভেংচি কাটল ইমা। তারপর হাঁপ ছাড়ল। বেশ জোরেই হলো শব্দটা। শান মোবাইল ছেড়ে থমকালো যেন। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের দরজা খুলে গেছে। তিনতলায় এসে থেমেছে। শান বেরিয়ে ঘুরে দেখল। ইমা সঙ্গে সঙ্গে সোজা হয়ে যায়। আনত হয় মুখ। শান বলে, "তিনটে আম পঁচা ছিল। আর বাকি গুলো টক। যেন তেন টক নয়, আমার মনে হয় পৃথিবীতে খুঁজলেও এমন টক আম দুটো খুঁজে পাওয়া যাবে না।" লজ্জায় ইমার মুখ, কান লাল হয়ে ওঠে। বিব্রত গলায় বলে, "আচ্ছা, আম্মুকে বলব!" লিফটের দরজা বন্ধ হতে শান থামিয়ে দেয়, "আম্মুকে এসব বলবে কেন? আমি কি বলতে বলেছি?" "না, ভাইয়া!" "ভাইয়া ডাকবে না!" "জি, ভাইয়া!" "আবার ডেকেছ!" "স.সরি!" ইমার কান্না পাচ্ছে। এই লোক লিফট দাঁড় করিয়ে এভাবে ধমকাচ্ছে কেন? পৃথিবীতে সকল মানব জাতি একদিক থেকে তো ভাই বোন। তাহলে তাকে ডাকলে কী এমন পাপ হয়ে গেল! "আমাদের বাসায় আর আম নিয়ে আসবে না।" নিরস গলায় বলল শান। ইমা বলল, "ঠিক আছে!" কিন্তু মনে মনে বলল, "আপনার বাসার ত্রিসীমানায় আম কেন, নিজের পা ফেলতেও জীবনেও আর যাব না। এবার লিফটের দরজা ছাড়েন।" ওর মনের কথা যেন শুনলো শান। লিফটের দরজা ছেড়ে দূরে দাঁড়াল। এমন সময় শানদের বাসার দরজা খুলে গেল। লিফটের দরজাও বন্ধ হবে হবে। ইমা শুনল শানের ছোট বোনের গলা, "কার সঙ্গে কথা বলছিলে, ভাইয়া?" "পাঁচতলার ইমাপুর সঙ্গে।" মেয়েটা ফিক করে হেসে দিলো শানের ওমন বিদ্রুপ শুনে। তারপর ইমাকে শুনিয়ে বেশ জোরে শান বলল, "বলল আবার আম দিয়ে যাবে। এবার না কি ওদের আম গাছে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে!" সারার খিলখিল হাসি মিলিয়ে গেল লিফট ওপরে উঠতে। লজ্জায় ইমার চোখে পানি এসে গেল। অপমানে জ্বলতে লাগল।
Ok type.
Read all reviews on the Boitoi app
ইমা শান নিহান খান মানেই আলাদা টান, আলাদা অনুভূতি, আলাদা ভালোবাসা।
খুব ভালো লেগেছে
মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর হয়েছে
নতুন গল্প চরিত্র সবকিছুই মানুষের পছন্দ হতে সমায় লাগে।কিন্তু এখানে নতুনের কিছু নেই। যে আছে সে বহু আগেই হৃদয় দখল করে নিয়েছে।আমাদের শান।এখানে একজন উরনচন্ডি ভালোবাসার মানুষ ইমার অসহায়ত্বও প্রকাশ পেয়েছে তার মায়ের কাছে,শানের কাছে ও তার নিজের কাছে।তার শানের সকল অহংকার শেষ হয় এসে আমাদের ইমার কাছে।বাকি পড়লেই বুঝতে পারবেন।❤️❤️❤️❤️
নিকোলাস কে চিট করা হবে এই ভয়ে কাউকে ভালো লাগে না,,শানকে কিন্তু মন্দ লাগে নি❣️🫢
অনেক সুন্দর হয়েছে গল্পটা ।
শান ইমা আমার পছন্দের জুটি। বহুকাল পরেও শানের সেই অ্যাটিটিউড এই শান বসমময় মোহে ফেলে। আচারের মতো গল্প টক ঝাল মিষ্টি। লেখিকা আপুর লেখনশৈলী চমৎকার তা নতুন করে বলার নেই।মন ভালো করে দেওয়ার মতো মিষ্টি শা ইমা আমার খুব সুন্দর সময় কেটেছে।
বইটা সুন্দর ছিল আপু শান-ইমা অনেক পছন্দের জুটি।নতুনভাবে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু এই শান নিহান খান আস্ত একটা অহংকারী,খবিশ বেটা।ইমা যেন টাইট দেয় আচ্ছাকরে😒😏