থমথমে পরিবেশ। দলে দলে ছেলেরা এদিক-সেদিক ঘুরছে। সবার চোখ অস্থির। কেউ কেউ আবার জটলা পাকিয়ে নিচু গলায় শলা-পরামর্শে ব্যস্ত। হঠাৎ এসে পড়লে কেউ বুঝবে না, কিন্তু তীক্ষ্ণ চোখে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে এখানে স্পষ্টত দুটি দলে ভাগ হয়ে আছে ছেলেরা। চোখ-কান খোলা রাখলে, নিজ ধান্দায়, নিজ জীবনে চোখ রেখে শহুরে নাগরিকরাও সরু চোখে তাকিয়ে বুঝে ফেলবে যে এখানে সরকারের পক্ষের শক্তি এবং সরকারবিরোধী দল রয়েছে। না, আরেকটি দল আছে, পুলিশ। তবে তারা কার পক্ষে দাঁড়াবে, তা সুশীলদের পক্ষে বুঝে ওঠা রকেট সায়েন্সের মতো শক্ত ব্যাপার হলেও বাকিরা এটি চোখের পলকেই বুঝে ফেলার সক্ষমতা নিয়ে বাঁচে। শহরে মেয়র নির্বাচন চলছে। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা সব মিলিয়ে কয়েক হাজারের বেশি নয়। বিকেল সন্ধ্যার গা ছুঁয়ে দেওয়ার আগেই ভোট গণনা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ভিতরে কোনো ক্যাড়াব্যাড়া লেগে গেছে সম্ভবত। রাত নটা বাজে অথচ এই কেন্দ্রে এখনো ফলাফল জানানো হয়নি। বিষয়টি যথেষ্ট উত্তেজনার যোগান দিচ্ছে দুপক্ষেই। নানান কথা-গুজব ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত। কারো ভাষ্য, কিছু ব্যালট বাক্স পাওয়া যাচ্ছে না; কেউ বলছে, বারবার ভোট গণনায় ভুল করছে ভিতরের আহাম্মকগুলো; কেউ বলছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কে বিজয়ী হবে সেটা নির্ধারিত হয়নি বলেই এখনো ফলাফল আসেনি। তবে কেউই নিশ্চিত জানে না, কেন দেরি হচ্ছে। ভিতরে যেসব এজেন্ট আছে তারা ফোন ব্যবহার করতে পারছে না। তাই অনিশ্চিত সকলেই।