রাসুলের ওফাতের পূর্বে তাকে মুসলিম সেনাদলের সেনাপতির দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর নবিজির ওফাতের পর যখন উসামা ইবনে জায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর নেতৃত্বাধীন দলটি যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মদিনা ত্যাগ করল, পথমধ্যে তারা তাদের শত্রুপক্ষ অর্থাৎ রোমান সৈন্যদের কারণে বেশ কিছু বিপদের সম্মুখীন হলো। তখন সৈন্যদলে থাকা কিছু সাহাবিদের মধ্যে উসামার নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। কারণ, উসামার বয়স ছিল মাত্র ১৫ কিংবা ১৭ বছর। সৈন্যশিবিরে অনেক বয়স্ক সাহাবি থাকতেও কেন এই কিশোরকে নেতৃত্বের ভার দেওয়া হলো, এ নিয়ে কতিপয় সাহাবিদের মনে প্রশ্ন জাগলেও তৎকালীন খলিফা হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর মনে কোনো প্রশ্ন বা সন্দেহ আসেনি। কারণ, তিনি বিশ্বাস করতেন রাসুলুল্লাহ যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা-ই সঠিক এবং শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত। আপনি কি এই যুগে এসেও চিন্তা করতে পারেন, সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া কিশোরের হাতে বিশাল এক দলের নেতৃত্ব? আর তা-ও এটা যেনতেন কোনো দল না, স্বয়ং নবিজির সাহাবিরাসহ যারা যাচ্ছে—সেই সময়কার সবচেয়ে শক্তিশালী দলের মোকাবিলা করতে! এটাই ছিল তৎকালীন মুসলিম সমাজে যুবকদের মর্যাদা।