টুকির ডাকনাম টুকি। এই নামের কোনো অর্থ নেই। কোনো অর্থ ভেবেও এই নাম রাখা হয়নি। কারণ টুকির জন্মের সময় তার রাখার মতো অবস্থায় ছিল না কেউ। কারণ টুকির জন্মের পরেই তার মায়ের হার্ট অ্যাটাক হয়। সে আর ফিরে আসেনি। মায়ের মৃত্যু নিয়ে সবাই এত ব্যস্ত হয়ে ছিল, টুকির নামটাই রাখা হলো না। জন্মের তৃতীয় দিনে টুকি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল, তখন নানুমণি তাকে দেখে বললেন, "আমার টুকটুকি!" টুকটুকি থেকে টুকি হয়ে গেছে। মা মারা যাওয়ায় টুকির বাবা ভীষণ কষ্ট পেলেন। এত কষ্ট পেলেন যে তিনি দেশান্তরি হয়ে গেলেন। আজ এ দেশ, কাল ও দেশ করে যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াতে শুরু করলেন। দায়িত্বের মধ্যে টুকির জন্য প্রতি মাসে কিছু টাকা ব্যাংকে জমা হয়। এটুকুই অনেক। তবে টুকির ভালো নামটা মা রেখে গিয়েছিলেন। সেঁজুতি সারোয়ার। বাবার নামের অংশ মিলিয়ে মায়ের ডায়েরিতে লিখে গিয়েছিলেন। তাই এই নামটা নিয়ে ঝামেলা হয়নি। তবে কেউ তাকে সেঁজুতি ডাকেনি কখনো। নামটা কি সুন্দর! সেঁজুতি মানে সাঁঝবাতি। সন্ধ্যাপ্রদীপ। টুকির খুব ইচ্ছে হয় কেউ তাকে সেঁজুতি বলে ডাকুক। কিন্তু ভাঙা কপাল, কেউ তাকে এই নামে ডাকলোই না। "তোমার খোলা হাওয়ায়" টুকটুকি আর তৌকিরের গল্প। তবে এটা ঠিক প্রেমের গল্প নয়, কাছে আসার গল্প! অথবা পাঠকের মনে হতে পারে এটাও প্রেমের গল্প!
ছোট কিন্তু খুব মিষ্টি একটি গল্প। যতবার পড়ি, ততবারই মন ভালো হয়ে যায়।
Read all reviews on the Boitoi app
ছোট্ট, সহজ, সুন্দর একটা কাছে আসার গল্প। খুবই ভালো লেগেছে।
ছোট্ট কিন্তু মায়াভরা।