'বিশ্বাসের বয়ান' বইয়ের ভূমিকাঃ বিশ্বাস ও যুক্তি পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বাসের বয়ান গ্রন্থে তারই ধারাবাহিকতার প্রকাশ। সৃষ্টিতত্ত্ব, স্রষ্টার রহস্য বা আমরা কী, কেন, কোথায় আর কীভাবেই বা আমাদের জীবন ধারণ করব কিংবা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী, । কী আমাদের লক্ষ্য তা জানা আমাদের জন্য বাঞ্চনীয়। মানব-মন কৌতূহলী। কৌতূহল নিবারণের নিমিত্তেই বিজ্ঞান/প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী মানব-মনের কি বিকাশ ঘটেছে? বিজ্ঞান কত উন্নত হয়েছে কিন্তু আমাদের মানবিকতা সেই আদিম পর্যায়ে রয়ে গেছে। উন্নত বিজ্ঞান কি আমাদের পেরেছে উন্নত মনুষ্যত্ব সৃষ্টি করতে? পারেনি। উন্নত মনুষ্যত্বের জন্য উন্নত চেতনার দরকার, প্রয়ােজন মূল্যবােধ । এই মূল্যবােধ ও চেতনার প্রয়ােজন তাৎপর্য বুঝতে আমাদের দরকার একটি জিজ্ঞাসু দৃষ্টি, যে দৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের স্বকীয়তা, দায়িত্ববােধ, মানবিকতার তদুপরি একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার বিকাশ ঘটবে। অনেকেই ধারণা করেন বিশ্বাস সত্যের বিরােধী, বিশ্বাসের কাজ অসত্যকে অস্তিত্বশীল করা । তাই যদি হয়, তাহলে আপনি যুক্তি দিয়ে সত্যকে জানুন। আপনার যুক্তির মাধ্যমে যদি সত্যকে জানতে পারেন তাহলে এক অর্থে সেটাও আপনার বিশ্বাস । আপনি জানুন, পড়ুন । ইকরা বিস্মি রাব্বিকাল্লাজি... পড় তােমার প্রভুর নামে... আপনাকে পড়তে বলা হয়েছে। সত্যকে জানার জন্য, খুঁজুন, জানুন আবিষ্কার করুন নিজেকে। বইটিতে বিশ্বাস ও যুক্তি একই পরম্পরায় বেড়ে উঠেছে। একটির মাধ্যমে আরেকটি প্রমাণীয় । বিশ্বাসের বয়ান আমাদের সামনে এক নতুন দুয়ার উন্মােচন করবে । বিশ্বাস আপনাকে গুলিয়ে খাওয়ানাে হবে না, আপনি আপনার বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে নিজেই বুঝতে পারবেন কী, কেন এবং কীভাবে এর উত্তরগুলি। শ্রদ্ধেয় নূরুজ্জামান শুভ্র ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ এত সুন্দর বই উপহার দেবার জন্য । সত্য উন্মােচনে তার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক, এই দোয়া করি ।