বাপের সাথে তুমুল ঝগড়া করেও বিয়ে ঠেকাতে পারেনি তেজ। ফলস্বরূপ, ইউনিভার্সিটির পড়াশোনা শেষ করার আগেই অচেনা একটা মেয়ে তার গলায় ঝুলে পড়লো। শুধু কি তাই? বাসর ঘরে সামনে এলো অন্য এক তথ্য: বধূর বয়স তার থেকে তিন বছর বেশি। আপত্তি করার মতো আরও অনেক কারণ ছিল তেজের হাতে, কিন্তু নববধূর অতুলনীয় রূপের কাছে মূর্তি হয়ে যায় সে। অপ্সরার লজ্জা মাখানো নিষ্পলক চোখের কোটরে খুঁজে রবিঠাকুরের লেখা দুটো লাইন— “প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস— তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।” বিয়ের সূচনা ঝামেলা দিয়ে হলেও নতুন জীবন একটু একটু করে উপভোগ করছিল তেজ, কিন্তু হঠাৎ তার সাথে অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটতে শুরু করে। এর মধ্যে একদিন অজানা নম্বর থেকে আসে রহস্যময় এক মেসেজ— “সর্বানশের সবে শুরু মৃত্যু এসে ডাকবে গুরু। বুকের প্রেম বিষ হবে অতীত এসে ঘুম ভাঙাবে।”