তার শুভ্র নির্মল মুখখানিতে জল টইটম্বুর চোখদুটি যেন বর্ষার প্রথম বর্ষণধারার ন্যায়, যা পাথুরে হৃদয়ের প্রাচীর ভেঙে ভালো লাগার কোমল অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়। উষ্ণ ধোঁয়া ওঠা কফির চুমুকে হারিয়ে যায় সব মন খারাপের সকল গল্প। অথবা, হঠাৎ এক ভারী বর্ষণের মাঝে ধরা দেয় অধিকার নামক শক্ত এক বন্ধন। স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য বুকে পুষে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে পা রেখেছিল প্রান্ত। ব্যস্ততম সেই শহরের ভিড়ে নিয়তির জোরে তার পরিচয় হয় দিয়াহর সঙ্গে। সরল বন্ধুত্বের সম্পর্ক অল্প কিছুদূর গড়ালেই জটিল এক মোড় নেয়। ভালো বন্ধু থেকে দুজন হয়ে ওঠে দুজনের চক্ষুশূল। তবে তিক্ততার আড়ালে তাদের মনের মাঝে কি অন্যকিছু ছিল? যা তাদের দুজনের অজানা ছিল? মেলবোর্নের বৃষ্টি যেন হঠাৎই বন্ধুর ন্যায় ওদের জীবনে এসেছিল। বৃষ্টির বিন্দু বিন্দু স্বচ্ছ জল প্রান্ত ও দিয়াহর মনের গহীনে লুকানো কষ্টগুলো যেন ধুয়ে মুছে দিয়েছিল। তারপর? দু'জনের গল্পের গতি বদলে ফের কি বন্ধুত্ব হয়েছিল দুজনের? মেলবোর্নের বৃষ্টি কি ভেজাতে পেরেছিল দুটো মন? খুলতে পেরেছিল এমন এক দ্বার, যার ওপারে লুকানো ছিল অন্য এক অনুভূতি?
প্রথমেই বলি আমি একজন সাইলেন্ট রিডার কখনই তেমন রিভিউ দেই না বাট এটা পরে রিভিউ না দিয়ে পারলাম না। উফফফফফ এত্তো ভালো লাগলো এই বই টা পরে। উপসংহারে সন্ধি মিলে পড়ার পরে প্রান্তর কাহিনি জানার জন্য অনেক আগ্রহী ছিলাম। এই ই-বুক টা যে ওর কাহিনি ছিলো তা জানতাম না। না জেনেই কিনে পরা শুরু করলাম আর তারপর আম সারপ্রাইজড 😭 নাফিপু এত্তো জোশ লিখসো এটার রেশ আমার অনেকদিন থাকবে। এক বসায় পুরোটা পরা শেষ করলাম তবুও যেনো মন ভরলোনা মনে হচ্ছে আরো পড়তে পারলে ভাল্লাগতো 🥹🫶
Read all reviews on the Boitoi app
অনিন্দ্য কবীরের প্রেমে পড়ছিলাম! আর এখন তার ভাই প্রান্ত কবিরেরও প্রেমে পড়ে গেলাম! দুই ভাই ই ভালোবাসা দিতে কোনো কার্পন্যবোধ করে না! আহা! তবে প্রান্ত আর দিয়াহ এর পাশাপাশি রোজালি আর প্রফেসর আর্চিও সেই লেভেল এর ছক্কা মেরে দিসে! স্পেশালি আর্চি! ওহ মাই গড হোয়াট এ হ্যান্ডসাম এন্ড ডেসপারেট অলসো হট প্রফেসর হি ইজ! 🥵! প্রান্ত ও দিয়াহর কেমিস্ট্রির সাথে আর্চি ও রোজালিও বেস্ট কেমিস্ট্রি দেখিয়েছে আমাদের! আই লাভ মেলবোর্ন অ্যান্ড রেইন লাইক প্রান্ত অ্যান্ড দিয়াহ লাভড ইচ আদার💙
সেই প্রথমদিন কিনছি তবে না পড়ে রেখে দিছিলাম। আজকে সকাল থেকে অবসর সময় পড়ে এখন শেষ হলো। এক কথাই দারুণ একটা গল্প। বিদেশী প্লট নিয়ে লেখা গল্প আমার ভীষণ পছন্দ। অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে।
গতকাল এবং আজ, প্রায় দুইদিন লাগিয়ে গল্পটা শেষ করলাম। শেষ করার পরেই স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। কি অনুভূতি লিখবো বুঝতে পারছি না। কোন শব্দগুলো যথার্থ হবে তাও মাথায় আসছে না। আচ্ছা আমি কি এই মুহূর্তে কোনো বাংলাদেশী রাইটার এর লেখনী পড়লাম? উহু, তা তো মনে হচ্ছে না। আমার কেনো জানিনা, ইংরেজ লাইক, কেইগো হিগাশিনো, শেক্সপিয়ার এর অনুবাদক লেখা গুলোর মতোন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনো লেখকের পড়াই মনে হচ্ছে। মানে কেও কি করে বিদেশি প্লট গুলো এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারে? লাইক সিরিয়াসলি? ওই দেশের সংস্কৃতি, মেয়েদের বেশভূষা, চালচলন দিয়ে এতো সুন্দর একটা প্লট উপস্থাপন করতেও তো সাহস লাগে। যেটা এই লেখিকা এতো সুন্দর করে কিভাবে আনাড়ি হাতে উপস্থাপন করলো তাও ভাবার বিষয়।উঁহু, আমি মোটেও বাড়িয়ে বলছি না, একটি বাংলাদেশের ছেলের ভীনদেশী মেয়ের প্রেম যুগোল কাহিনীর এতো সুন্দর ছিমছাম বর্ননা ইতো পূর্বে আমি কখনোই পড়ি নি। আমি যদি প্রফেশনাল রিভিউয়ার হতাম হয়তো সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো উপস্থাপন করতাম। কিন্তু তা হতে না পারারও আফসোস টা রয়ে গেলো। রোজ এবং আর্চিকে খুব ইউনিক লেগেছে আমার। ওদের নিয়ে পরবর্তীতে আবারও দেখা পেলে মন্দ হতো না। আর প্রান্তর কথা কি বলবো? ওকে পড়লেই আমাদের ফ্রেন্ডসার্কেলের মধ্যে ঠিক সবথেকে ভন্ড বাউন্ডুলে কথাটার কথাই মনে পরে। ইশশ, এতো মিষ্টি ও ছিমছাম গল্প। আপনারা যারা বিদেশি প্লটের গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই এটা পড়ে দেখতে পারেন। আমার পূর্ণ বিশ্বাস, আপনারা নিরাশ হবেন না।
Such a refreshing story
অসাধারণ একটা বই।বই পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেছে
নাফিসা আপুর গল্প মানেই আমার কাছে সবসময় বিশেষ কিছু।আর আপুর এই গল্পটা একটা রোমান্টিক গল্প। অসাধারণ ছিল গল্পটা।জানিনা কী বলব।খুব সুন্দর করে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি না আমি।তবে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে গল্পটা।একদম মন ছুঁয়ে গেছে আমার।আর প্রান্ত দিয়াহ এই দুই ক্যারেক্টার তো ভীষণ মিষ্টি ছিলই।তবে বেচারা ব্রুনো আর আর্চি ক্যারেক্টার দুটো আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।আর শেষে ওদের এত সুন্দর মিল দেখে তো আমারই পেটের ভেতর প্রজাতি উড়ছে মনে হচ্ছে 🤭।আর কিছু বলব না।সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি গল্প ছিল