মানুষ মানুষের সঙ্গে যে সব সম্পর্কে আবদ্ধ হয়, তাহাকে বলা হয় উৎপাদন-সম্পর্ক। উৎপাদনশক্তির অনুরূপই হয় উৎপাদন-সম্পর্ক। আদিম সমাজে পাথরই ছিল হাতিয়ার; পাথর দ্বারা একমাত্র শিকার করাই সম্ভব। কিন্তু শিকার করতে হলে যেতে হয় জঙ্গলে; একা যাওয়ার উপায় নেই, দল বাঁধিয়া সকলে মিলিয়া যেতে হয়। শিকার সহজলভ্য নয় এবং পাওয়া যায় কম, তাই সকলে সমানভাবে শিকারের অংশ নিত। উৎপাদনশক্তি মোটেই বিকাশলাভ করে নাই; আদিম মানুষের সম্পর্কের মধ্যে তাই কোনো অসমতা দেখা দেয় না; সকলকেই কাজ করে খেতে হয়। কিন্তু উৎপাদনশক্তির যখন আরও বিকাশ হয়, তামা-লোহা প্রভৃতির আবিষ্কার হয়, তখন খাদ্যের প্রাচুর্য দেখা দেয় এবং মানুষে অসমতাও সৃষ্টি হয়। কিছু লোক শুধু উৎপাদনের উপায় বা যন্ত্রাদির মালিক, তারা কাজ না করেও থাকতে পারে, কিন্তু অন্যরা হাড়ভাঙা খাটুনি খাটে। উৎপাদন সম্পর্ক বদলাইয়া যায় এবং সমাজে শ্রেণীর সৃষ্টি হয়।