“চাঁদ পছন্দ?” “ভীষণ।” “এভাবে চাঁদ দেখা হয়?” “হুম। আমার রুমের জানালা দিয়েই চাঁদের আলো আসে। একদম জানালার পাশে গিয়ে শুয়ে শুয়েই চাঁদ দেখা যায়। রাতের আকাশের চাঁদ আর...” “রবীন্দ্র সংগীত...” মেহনুরের আগেই বলে উঠল রাদ। “বাহ! মিলে গেল! আপনারও পছন্দ?” উচ্ছ্বাস নিয়ে জানতে চাইল মেহনুর। “আমার তো চাঁদের চেয়ে আপনাকে বেশি পছন্দ। প্রতিরাতে আমার ছোট্ট কুটিরে আলো ছড়াবেন?” সমস্ত উচ্ছ্বাস এক নিমিষেই মিলিয়ে গেল। হাসি মুখটা অতি আশ্চর্যে সব রকম ভঙ্গিমা যেন ভুলে গেল। ভাসা ভাসা চোখে তাকিয়ে রইল রাদের দিকে। হৃৎস্পন্দন বেড়ে গিয়েছে। কান দুটো দিয়ে যেন গরম ধোঁয়াও বেরোচ্ছে। হাত কাঁপতে থাকায় চায়ের কাপটা হাত থেকে রাদ নিজেই নিয়ে নিল। সে নিজেও মুগ্ধ চোখে চেয়ে রয়েছে উত্তরের আশায়। মেহনুর আমতা আমতা করে বলল, “আ...আপনি আমাকে এমন বলবেন না।” “কেন?” “এম...এমনি।” “তোতলাচ্ছেন কেন?” ঢোক গিলল মেহনুর। নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টায় বলল, “কই? যা যান তো আপনি।” “কোথায় যাব? রেখে দেবেন না কাছে?” অসহায় দেখালো মেহনুরকে। মিনতির স্বরে বলল, “প্লিজ যান না।” “আপনার কিছু হচ্ছে?” “কী হব হবে?” “আপনি কি ঘাবড়ে গেলে তোতলান?”
"প্রেম বৃত্তান্ত" আমার পড়া প্রথম এবং বেষ্ট একটি ই-বুক। বরাবরের মতোই মাহি আপুর লেখনী ছিলো চমৎকার। ই-বুকটি আমার ভিষন ভালো লেগেছে। একটু মন খারাপও হয়েছিলো, কারণ মনে হয়েছিলো গল্পটি যদি আর একটু বড় হতো। সবশেষে বলবো মাহি আপু মানেই বেষ্ট এবং আপুর মতো তার লেখা ও বেষ্ট🤎
Read all reviews on the Boitoi app
এটা ছিলো আমার প্রথম পড়া তোমার কোন গল্প এবং এটা অসম্ভব সুন্দর ছিলো...কত সুন্দর করে লিখছো 🥹
অসম্ভব সুন্দর একটা ই-বুক পড়লাম তাও আবার এক বসায় এইটা মনে হয় আমার প্রথম ই-বুক ছিল যা আমি এক বসায় পড়ে উঠলাম। আমার আবার ধৈর্য কম মোবাইল দেখে দেখে উপন্যাস পড়ার বাট এইটা আমি রাখতেই পারিনি এতো সুন্দর একটা গল্প ছিল এইটা🥰 মাহি আপুর গল্পের প্রেমে তো আমি কবেই পড়ছি। উনার লেখার হাত এত সুন্দর বলার বাহিরে।গল্প টা শেষ হওয়ার পর একটু মন খারাপ হলো আর আফসোস হচ্ছে এত তাড়াতাড়ি শেষ না হলেও পারত। আরকটু বড় হলে অসুবিধা কি বলো তো আপু। যায় বলি না কেন গল্প টা সামাজিক গল্প হলেও লেখার ধরণ আর প্রতেক টা লাইন অসম্ভব সুন্দর। তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসা মাহি আপু এতে সুন্দর এটা ই-বুক আনার জন্য। ভালোবাসা নিও আপাই🥰😘
বিয়ের আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে ট্যুরে চলে যাওয়া ব্যাপারটা একটু কেমন যেনো। খানিকটা রোমাঞ্চকরও বটে৷ সচরাচর এমন পরিস্থিতিতে লোকে টেনশনে থাকে৷ এদিকে মেহনুর এই সময়কে বেছে নিয়েছে নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে৷ রোমান্টিক জনরার ইবুকটি গতানুগতিক ধাচের। তবে ভালো লেগেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরের জার্নি৷ সময়টা এখন বর্ষাকাল৷ ঘরে বসে টাঙ্গুয়ার হাওরের বর্ণনা পড়তে মজাই লাগছিল৷ গল্পের শেষের অংশে এসে রাদের আচরণে বেশ মেজাজ খারাপ হয়েছে৷ তার প্রতি মেহনুরের দূর্বলতা জানার পর রাদের যেন মাটিতে পা পড়তেছে না৷ এত ভাব দেখে আমারই রাগ ধরে গেছে। হঠাৎ রাদের এই রদবদলের যৌক্তিক কারণও ছিল অবশ্য। যাই হোক, সব মিলিয়ে বর্ষাকালের ঝুম বৃষ্টিতে ভালোই সময় কেটেছে।
অনেক সুন্দর ছিলো পুরো গল্পটা 🥹🖤
হাওরের লিলুয়া বাতাসের মতোই মিষ্টি, স্নিগ্ধ একটা গল্প যেন। অস্থির প্রকৃতির নূর, শান্ত দীঘির মতো রাদ আর তাদের প্রেম বৃত্তান্ত স্মৃতির পাতায় একটা মনোমুগ্ধকর অংশ হয়ে থেকে যাবে। পড়ার সময় আমি যেন একটা ঘোরে ছিলাম, কখনো নূরের চঞ্চলতায়, কখনো রাদের বিচক্ষণতায়, কখনো সিলেটের সৌন্দর্যে তো কখনো লেখিকার সুন্দর লেখনশৈলীতে। গল্পের রাদ চরিত্রটা খুবই বাজে ভাবে মন কেড়ে নিয়েছে। রাদের সীমিত প্রশ্রয়, স্নেহ, বিচক্ষণতা, নুরকে আগলে রাখা সবটাই ছিলো হৃদয়ছোঁয়া। রাদের কথাগুলো যেন ছিলো মায়ায় ঘেরা যেই মায়ায় বুদ হয়ে দীর্ঘ একটা সময় নিরবে নিভৃতে পাড়ি দেওয়া যায়। বোকা নুরের কথা আর কী বলবো। আমার প্রিয় হুটহাট রানী তার কাছে কোন কিছু নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার সময় নেই। তবে ভাবা উচিত, ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সব সময় ভাগ্য সহায় হয় না আর বিপদ বলে কয়ে আসে না, সবাই জীবনে রাদ পায় না। এই যে বাড়ি থেকে পালিয়ে ভ্রমণে চলে যাওয়াটা একদমই উচিত হয় নি। তবে এক্ষেত্রে নুরের বাবা মায়ের ও কিছুটা দোষ ছিলো। সব সময় সন্তানদের উপর সব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। এতে ভালো করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়। পরিশেষে আমার হাওয়া মিঠাই গল্পটা শেষ হলেও মনে মিষ্টতা, মুগ্ধতার রেষ এখনো লেগে আছে। কুট্টুস গল্পটা! রাদ! নুর! প্রেম বৃত্তান্ত! গন্তব্যহীন ছুটে চলা! আর আর আর শব্দহীন অগোছালো অনুভূতি!
অন্য রকম সুন্দর।ভালো লাগতে বাধ্য। লেখিকা সর্ম্পকে কিছু বলার নাই। কারণ সে অনন্য❤️ শুভকামনা ও ভালোবাসা❤️❤️
খুব সুন্দর একটা গল্প।