ভাইয়ার জন্য যে পাত্রী সিলেক্ট হলো, তাকে আমার ভালো লেগে গেল। আমার মনে হলো, ওই মেয়েটাকে না বিয়ে করতে পারলে আমি মরে যাব। না, না, মরে যাব না; মরে যাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। আমি পাগল হয়ে যাব। ঠিক পাগলও না, আমি বোধহয় থেমে যাব। জগৎ সংসার বিবর্ণ হয়ে যাবে। মেয়েটার নাম কথা। কথাকে সামনাসামনি দেখিনি, ছবিতে দেখেছি। কটকটে লাল রঙের শার্ট, হাতে সিলভার কালারের ব্রেসলেট, মাথায় সানগ্লাস! গভীর চোখ দুটোতে খানিকটা রুক্ষতা। আবার আমার দেখার ভুলও হতে পারে! ক্যামেরাম্যান হয়তো সুন্দর চোখ দুটো রিলে আনতে পারেনি। এই গল্প কথার। তবে কথার গল্পে অল্পস্বল্প অন্যরাও থাকবে। এই গল্পের একটা নাম দেওয়া দরকার। কী নাম দেওয়া যায়...? কথাকে দেখার পর আমার মাথায় দুটো লাইন এলো। গানের লাইন। তোমার নামের রোদ্দুরে, আমি ডুবেছি সমুদ্দুরে...!
"আমি বোধহয় আজকেই প্রথম লেখিকার লেখা পড়ছি।আর প্রথম কোনো বই কিনে পড়ছি কোনো অ্যাপ থেকে তাই লেখিকার সৌভাগ্য ও বলা চলে।গল্প খুবই সুন্দর হয়েছে। বাস্তব টাও সহজের জীবনের মত সহজ হলে ভালো হত খুব।পুরোটা পড়ে শেষ করে তবেই স্বস্তি পেলাম।"
Outstanding writing ❤️🤘❤️
Read all reviews on the Boitoi app
আমি বোধহয় আজকেই প্রথম লেখিকার লেখা পড়ছি।আর প্রথম কোনো বই কিনে পড়ছি কোনো অ্যাপ থেকে তাই লেখিকার সৌভাগ্য ও বলা চলে।গল্প খুবই সুন্দর হয়েছে। বাস্তব টাও সহজের জীবনের মত সহজ হলে ভালো হত খুব।পুরোটা পড়ে শেষ করে তবেই স্বস্তি পেলাম।
খুব সুন্দর একটা গল্প। পড়তে ভালো লেগেছে। এক বসায় পড়ে শেষ করলাম।
ভীষণ সুন্দর, মজার এবং সাবলীলভাবে লেখা এই গল্পটি পড়তে গিয়ে একবারও মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ হয়নি। লেখকের কলম বরাবরের মতোই মুগ্ধ করেছে। ভাষার সরলতা, চরিত্রায়নের নিপুণতা আর কাহিনির গতি একেবারেই মনকাড়া। চরিত্রগুলোর মধ্যে সহজ, শোভন, নাবিলা, কথা ও তমা,প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গায় আলাদা গুরুত্ব বহন করে। তাদের উপস্থিতি গল্পকে পূর্ণতা দিয়েছে। বিশেষ করে “কথার বাবা-খালা”র মতো মানুষদের প্রতিচ্ছবি সমাজের এক বাস্তব রূপকেই তুলে ধরেছে। আমরা আমাদের চারপাশেই এমন অনেক মানুষকে দেখতে পাই, যারা সমাজে অযাচিত চাপ বা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে এক ধরনের অস্বস্তির সৃষ্টি করে। কিন্তু সেই সঙ্গে সহজের খালা-খালুর মতো হৃদয়বান, আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল মানুষও আমাদের সমাজে আছে, যারা মানবিকতা দিয়ে ভারসাম্য তৈরি করে। লেখক খুব সূক্ষ্মভাবে এই দ্বৈত রূপকেই ফুটিয়ে তুলেছেন, যা গল্পটিকে বাস্তবের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। সব চরিত্রের মধ্যে শোভন চরিত্রটিই সবচেয়ে বেশি মনে দাগ কেটেছে। তার ব্যবহার, চিন্তাভাবনা,হাস্যরস এবং পরিপক্বতা গল্পটিকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। শেষটা ছিল যথাযথভাবে গোছানো। পাঠক হিসেবে মনে হয়নি যে কিছু বাদ পড়ে গেছে বা হঠাৎ করে কেটে গেছে। বরং সমাপ্তি গল্পটিকে একধরনের পূর্ণতা দিয়েছে। আর সেই সমাপ্তির ভেতরেও রয়েছে একরাশ আশাবাদ।
আমার ভীষণ প্রিয় একজন লেখিকা আপনি। আর বরাবরের মতন আপনার অন্য সব বইগুলোর মতন এই বইটিও আমার মন ছুঁয়ে গেছে। অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো।
উপন্যাসটি খুব ভালো লেগেছে। গল্পে যে পারিবারিক বন্ধন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, সেটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে একটি উপভোগ্য উপন্যাস।
ভালো লেগেছে।
বেশ ভাল লাগলো পড়তে। গভীর কিছু নয় তবুও মন ছুঁয়ে দেয়া গল্প।
আমি সব সময় বলি মন খারাপ হলে আমি নিপার বই পড়ি,হয় হার্ড কাভার পড়ি না হয় ইবুক পড়ি।নিপার আগে হুমায়ুন স্যারেরটা পড়তাম,স্যারের মৃত্যুর পর নিপার লেখা আমার মন খারাপের সঙ্গি। গল্পের শুরুতে দেখা যায় ভাইয়ের কন্যা খুঁজতে গিয়ে নিজেই কন্যার ছবির প্রেমে পড়ে গল্পের প্রোটাগনিস্ট, প্রেম বিহীন এই ছেলেটির জীবনে কথা নামের প্লাবন যেন তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে বিয়ে হলো,হলো দুটি মানুষের বন্ধন কিন্তু আমরা বাইরের আউটলুকের প্রেমে পড়লেও দুজনের মনস্তাত্তিক বিষয়গুলো যখন সামনে আসে তখন তা হয়ে যায় ফাটলের কারণ।পৃথিবীতে পরিবার হচ্ছে একটি চারাগাছরূপী শিশুর আশ্রয়স্থল।কিন্তু সেই পরিবার যদি হয় হিংস্র তাহলে তৈরী হয় ইনসিকুউরিটি,পজিসিভ ডিসঅর্ডারের মতো নানা সমস্যার।দুটি পরিবারের মধ্যের বিভেদ যেন দুটি জগৎকে নির্দেশ করে।দারুণ এই বইটি পড়ে ভালো লেগেছে।
আমি গ্যাস্ট্রাইটিস এর রোগী, বারো মাস পেট ব্যথা থাকে। কিন্ত এই গল্প পড়ে এতো হাসলাম, পেটের ব্যাথা তার কাছে লাপাত্তা। খুব খুব ভালো লেগেছে।