"রজনী" বইটির ভুমিকা থেকে নেয়াঃ প্রকৃতপক্ষে রজনী উপন্যাসে প্রেম কী, রূপ কী, সৌন্দর্য কী, দুঃখ কী, শারীরিক প্রেম কী, ঈশ্বর কী ইত্যাদি নানা বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। আবার এ-সব প্রসঙ্গের কীভাবে মীমাংসা করা যেতে পারে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র। গঠনশৈলী, চরিত্রায়ন ও বিষয়বস্তুর দিক থেকে বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস-সমগ্রের মধ্যে রজনীর স্থান তাই বিশিষ্ট। বঙ্কিমমানস উপলব্ধির জন্যেও উপন্যাসটি সহায়ক হতে পারে নিঃসন্দেহে। এ ছাড়া উত্তরকালের ঔপন্যাসিকগণও এই উপন্যাসের কাছে ঋণী। জাগতিক জীবনের সঙ্গে প্রণয়ের যে দ্বন্দ্ব শরৎসাহিত্যের প্রধান প্রসঙ্গ, তাঁরও সূত্রপাত রজনী উপন্যাসে। অন্তর্গত প্রেম জেগে উঠলে তা যে কত বিচিত্রপথগামী হতে পারে, শরৎসাহিত্যে তার সমৃদ্ধ পরিচয় মেলে। রজনী উপন্যাসের লবঙ্গলতাই হচ্ছে সেই চরিত্র, যা শরৎচন্দ্রকে হয়তাে এরকমটাই ভাবতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু লবঙ্গলতা যেখানে থামিয়া গিয়াছে রাজলক্ষ্মী, সাবিত্রী, অচলা সেইখানে থামে নাই। শরৎচন্দ্র আত্মজাগ্রত এই নারীকে তাঁর উপন্যাসে স্থান দিলেও সমাজে তাদের ঠাই হয়নি। এখানেই শরৎচন্দ্রের ব্যর্থতা। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র এই সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। নীতিবিহর্গিত প্রেমের অপরাজেয় রূপকে তিনি সেকালের সামাজিক প্রেক্ষাপটে সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন। রজনী এ-দিক থেকেও বাংলা সাহিত্যের একটি সফল উপন্যাস।
খুব ভালো লাগে
Read all reviews on the Boitoi app
খুব ভালো একটা বই
Grht
Very nice book!🥰
বেশ অসাধারণ একটি বই
Best Books
খুব ভালো