একাকী প্রবীণ নরেন্দ্র নারায়ণের জীবনে অবসরের পর আসে শূন্যতা ও নিঃসঙ্গতা। প্রবাসী সন্তানের দূরত্ব তাকে করে তোলে সংলাপহীন ও নির্জীব। একটি পার্কে প্রতিদিনের যাতায়াতে পরিচয় হয় অনিমেষ, সারোয়ার ও পিটারের সঙ্গে। তাদের কথোপকথনে ধীরে ধীরে নরেন্দ্রের ভেতরে জাগে জীবনের নতুন বোধ। বয়সজনিত দুর্বলতা থাকলেও মন ছুটে চলে নতুন করে বাঁচার খোঁজে। নবীন প্রবীণের একটা যুদ্ধ ও প্রত্যেকের অবস্থানের একটা মৌন লড়াই চলে, যা কখনও আড়ালে, কখনও প্রকাশ্যে। তারই মাঝে “নিকুঞ্জ নিকেতন” হয়ে ওঠে মানসিক আশ্রয় ও সহমর্মিতার প্রতীক। প্রবীণ বয়সে জীবনের মানে ও সম্পর্কের গুরুত্ব নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। একটি বাড়ি থেকে বৃদ্ধাশ্রমের পথচলার রসায়নই উপন্যাসের পটভূমি।