প্রেম কি চিন্তাভাবনা করে হয়! হিসেব কষে, থিওরি মিলিয়ে প্রেম কি এই ভুবনের কেউ করতে পেরেছে! প্রেম হয় কোনো এক সন্ধিক্ষণে, চুপিসারে। তবে উমা ব্যতিক্রম। সে প্রমাণ করতে চায় যে সে বাকি মানুষের মতো অথর্ব নয়। বেয়ারা রুদ্র সিংহ রায়ের প্রেমে সে কখনোই পড়বে না। তার মোহ উমাকে আকৃষ্ট করবে না। না, কখনোই, কভি নেহি। আদৌ কি পারবে সে? নাকি কোনো এক সন্ধিক্ষণে সেও ধরণী বাকি মানুষদের মতো প্রেম নামক কলার খোঁসা পা পিছলাবে? তাও যে সে মানুষের নয়, বেয়ারা, অশৈল্য রুদ্র সিংহ রায়ের।
কয়েকদিন ধরে কয়েকটি ইবুক কিনে পড়লাম।খুব একটা ভালো লাগে নি। কিন্তু মৈথির এই ইবুক টি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার লেখা তো বরাবরই সুন্দর। সব গুলো ইবুকই বেশ সুন্দর। সমাপ্ত হয়ে ও হলো না। 2য় পার্ট আসলে ভালো হবে।। শুভকামনা সব সময়।।।।।
Read all reviews on the Boitoi app
দারুন হয়েছে। দুজনের ঝগড়া, খুনসুটি, ভালোবাসা বেশ উপভোগ করেছি।
অসম্ভব সুন্দর। প্রতিবাদী উমা আর বেয়ারা রুদ্র🤍
ভীষণ সুন্দর একটা গল্প। ভালো লেগেছে। সে সময়কার মেয়েদের মধ্যে কেউ কেউ নিশ্চয়ই উমা ছিলো। আবার সেই উমাদের মধ্যে হয়তো কারও কপালে এমন রুদ্র অসুরও জুটেছে। রুদ্র অসুর আর উমা সুন্দরী কে ভালো লেগেছে। তবে গল্পের ওপেন এন্ডিং ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে না। গল্পে শুধুই উমা আর রুদ্রের মনস্তাত্বিক দিকটা দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হলো লক্ষীদেবী আর অভিনব সিংহ রহস্য গুলাও খোলাসা করা উচিত ছিলো। রুদ্রের মা আর বাবার প্রতি তেতো ভাবটা কমানো উচিত ছিলো। শ্যামলবাবুর অভিমানী মেয়েটারও বাবার ভালোবাসা দেখানো উচিত। মেয়ের বিচ্ছেদে বাবার হৃদয় দহনটা যে শরীরে ছাপ ফেলেছে এটা তাকে জানানো দরকার ছিলো। হয়তো এতে গল্পটা আরেকটু বড় হতো। তবুও গল্পের নামের একটা স্বার্থকতা আসতো। কোনো এক সন্ধিক্ষণে - রুদ্র তার উমার শরীর না আত্মার মোহে পড়েছিলো, বাবা তার মেয়েকে রাগ আর নিয়মানুবর্তিতার আড়ালে কতটা যত্নে আর নিরাপদে রেখেছিলো, অভিনব আর লক্ষীর চারদেয়ালের অভিমান ভেঙ্গে যাওয়া, বাবা মার সাথে রুদ্রের এমন আচরনের ভ্রান্তি ভুলে অনুশোচনায় ভোগা দেখা যেতো, অনিরুদ্ধ বোকাপুরুষের সিদ্বুর বাবা হওয়াও দেখা যেতো। সব - এই সব জটলা গুলো খুলে যেতো।
উমারানি আর অসুর রুদ্রের গল্পটা সুন্দর ছিল।প্রথমে তো তাদের মারামারি,কামড়াকামড়িতে হাসতে হাসতেই কাহিল আমি।উমার দুইটা গাভী বান্ধবী, রুদ্রের ছাগল বন্ধুরা অনেক মজার ছিল। অভিনব বাবু,লক্ষ্মী দেবীকেও ভালো লেগেছে। তাদের রহস্যটা খোলসা হলো না। পরের পার্ট শীঘ্রই দিও,আপু আর বানান ভুল ছিল কিছু।বানানের বিষযটা খেয়াল রাখবে।বানান ভুল পড়তে বিরক্তি এনে দেয়। সবমিলিয়ে সুন্দর ছিল।সুন্দরী🫶অসুর
ভীষণ ভালো লাগলো। রুদ্র উমার দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া থেকে শুরু করে তাদের প্রণয় অবধি জার্নি টা ভীষণ সুন্দর ছিল। কিন্তু এই কাহিনীর সমাপ্তি যে এখানে নয়। এখনো অনেক কিছু জানা বাকি আছে। অনেক অমীমাংসিত রহস্য এবং রুদ্র উমার পরবর্তী পথচলা টা ঠিক কেমন হবে সেটা জানার প্রবল আগ্রহ মনে রয়ে গেল। আশা রাখি এই উত্তর গুলো ও শীঘ্রই পাওয়া যাবে।
অসাধারণ গল্প। ওদের মারামারির মুহূর্ত গুলো আমার সবচে ভাল লেগেছে। I love the idea that it wasn't the ending of their story but starting of their journey.
বেয়ারা অসুর আর তার অন্নপূর্ণা প্রতিমা অর্ধাঙ্গীর গল্প!! মাত্রই শেষ করলাম ইবুক। অনলাইনে চলাকালীন ই পড়তে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। লুতুপুতু প্রেমের বদলে এমন ধুন্ধুমার দেখতে মন্দ লাগে নি! তবে অল্পতেই শেষ হয়ে গেলো লাগলো গল্পটা..... রায় বাড়ির রহস্যের পেছনে কি আছে জানা হলো নাহ!! যুদ্ধে আপাতত বিরতি দেয়া এই অদ্ভূতুরে দম্পতির ভবিষ্যৎ কেমন হবে? এই এক আগ্রহ রয়ে গেলো ঠিকই!! সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে পড়তে, কাহিনি গতিশীল আর ঝরঝরে! অল্প কয়েকটা বানান ভুল ছিলো, ওইটুকু নজর আন্দাজ করাই যায়!!
শেষ হয়েও যেন হইলো না শেষ। এক কাহিনি শেষ হলো তো মনে হলো শেষ নয় যেন অপরপ্রান্তে অন্য কাহিনি অপেক্ষা করছে। ফানি কাপল, ফানি ফ্রেন্ডশিপ সবকিছুর জন্য মৈথি আপুর লেখা সেরা। সিরিয়াস মোমেন্টও এমন হাসির লাইন এড করা হয়েছে যে সিরিয়াসলি পড়তে গেলেও হাসি আসবে। উমা রুদ্রর টাইম প্লিজ স্পেশাল যুদ্ধ ভীষণ ভাবে উপভোগ করেছি। হাসতে হাসতে গাল ব্যাথা হওয়ার যোগাড়! রুদ্রকে যেমন বোঝা দুষ্কর তেমন রুদ্রর বাবা অনুভব চৌধুরীকেও বুঝতে পারা কঠিন। বাপ ছেলে দুজনকে পড়তে গিয়েই মনে হয়েছে নারকেলের মতো। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, দেশের অবস্থান নিয়ে শিক্ষনীয় ম্যাসেজও ছিলো। উমা-রুদ্রর খুনশুটি, ঝগড়াঝাটি, তাদের নিজ নিজ বন্ধুদের সাথে আড্ডা সব মিলিয়ে "কোনো এক সন্ধিক্ষণে" বইটার সাথে চমৎকার সময় কেটেছে। আপুর স্টোরি টেলিং বিশেষ ভাবে আমার পছন্দের। বিশেষ করে ফানি লাইন, আলাদা রকমের ফানি ওয়ার্ড দিয়ে উপস্থাপন করাটা। আশা করা যায় "কোনো এক সন্ধিক্ষণ" বইটার সাথে পাঠকদেরও সুন্দর সময় কাটবে। পরবর্তী ই-বুকের অপেক্ষায় রইলাম আপু। ভালোবাসা নিবেন 🤍
বেয়ারা পুরুষ আর একটা সাধারণ স্বপ্নদেখা মেয়ের প্রেমের পড়ার গল্প পড়লাম। খুনসুটি, ঝগড়া শেষে প্রেমে পড়া। সে প্রেমটা আত্মিক। পুরো গল্প জুড়ে হেসেছি, চিন্তিত হয়েছি আবার কোথাও একটা বিষন্নতাও অনুভূত হয়েছে। লক্ষ্মী কি সত্যি অভিনবকে ঠকিয়েছিলো। খুব জানতে ইচ্ছে করছিলো। রায় নিবাসের প্রতিটা প্রাণের মধ্যে লক্ষ্মীর দৃষ্টিকোণ ছিলো ভিন্ন। অথচ ও নাকি কাউকে ঠকিয়েছে। অসুর রুদ্রকে বোঝা সত্যি কঠিন। সে আর উমার মধ্যে আত্মিক প্রেমটার ভবিষ্যত জানার কৌতুহল হচ্ছে। আপু এটা এখানেই যেন শেষ না হয়।