কবিতার সুনির্দিষ্ট কোন সজ্ঞা হয় না। অনেক পুরোধা কবি স্বীকার করেন- মনের ভাব কোন নির্দ্ধারিত ভাষা ও ব্যাকরণ মেনে চলে না। দেখা, শোনা, জানা ও বোঝার অভিজ্ঞতা থেকে মনে দাগ কাটা বিষয়গুলোই হয়ে ওঠে কবিতার অনুঘটক ও উপাদান। কখনও এসবেক ছাড়িয়ে যায়- কল্পনার রথ। যাকে উৎসর্গীত এই কাব্য- কথা ছিলো তার, এই কাব্যগ্রন্থে যুগলবন্দী হবার। শুরুতে দু'চারটা লেখা দিলেও পরে তার পথ চলা থেমে গেছে। সবার সব পরিকল্পনা সবসময় বাস্তবায়িত হয় না- এরই নাম ভবিতব্য! তবুও একটা কবিতায় জড়িয়ে রেখেছি তারে; এই কাব্যগ্রন্থের প্রেরণা সে যে ! লেখকের মতোই পাঠকও কবিতা বিষয়ে বিভিন্ন রুচির ধারক ও বাহক। যখন কেউ ফোন করে বা মেসেজ লিখে বইমেলায় ডাকে- অটোগ্রাফ সহ হাতে বই তুলে দিতে, তখন লেখার সকল প্রতিকূলতার কথা ভুলে যাই। এমন পাঠক দু'চারজন হলেও কবিতা লেখা স্বার্থক বলে মনে হয়। সুহৃদ পাঠকের ভালো লাগবে এই কাব্য - আশা করি।