ভালোবাসার মুখোশে লুকিয়ে থাকা বিষণ্ন এক বাস্তবতার উপাখ্যান "সময়" জীবনে সব গল্প শেষ হয় না। কিছু গল্প চুপচাপ থেকে যায় হৃদয়ের গহীনে, স্মৃতির অতলে একটা প্রহেলিকার মতো। বিয়ের তিন বছর পর যখন তাদের একমাত্র চাওয়া ছিল একটি সন্তান, চিকিৎসা জানিয়ে দেয় নির্মম এক সত্য - শারফারাজ কখনো বাবা হতে পারবে না। নিজের অক্ষমতাকে মেনে নিয়ে, প্রিয়তমা স্ত্রীকে সে-ই পথ করে দেয় বিদেশে চলে যাওয়ার। কারণ, একটা মেয়ের পূর্ণতা আসে মাতৃত্বে, যা সে পূরণ করতে অক্ষম। বিদেশে চলে যায় বিদিশা, সবাই ভাবে, ডিগ্রি নিয়ে ফিরবে সে। কিন্তু তারা দুজনই কেবল জানত, এই চলে যাওয়াই চিরবিদায়। তারপর শুরু হয় শারফারাজের নিঃসঙ্গতার দীর্ঘ প্রহর। একাকী ফাঁকা ফ্ল্যাট, জানালায় জমে থাকা স্মৃতির কুয়াশা, আর অন্তহীন এক আত্মগ্লানির ভার। ঠিক তখনই, হঠাৎ করেই জীবন বিধ্বস্ত দরজার কড়া নাড়ে আশ্রয়প্রার্থী এক তরুণী। যে ছিলো তার দুঃসময়ের নীরব আশ্রয়, মানসিক সান্ত্বনা। একটু একটু করে সে হয়ে ওঠে জীবনের অংশ, একজন সহচর, যে বুঝত ভেতরের টানাপোড়েন, না বলা সব ক্ষত। সে ছিল না চাওয়ার কেউ, কিন্তু থেকে গিয়েছিল প্রয়োজন হয়ে। একদিন জীবনের এক কঠিন দুর্যোগে পড়ে ভেঙে পড়েছিল সেই আশ্রয়প্রার্থী, চেয়েছিল একটু নীরবতা, আর এক গ্লাস ওয়াইন। ব্যথা ভুলে থাকার জন্য নয়, শুধু একটু থামতে, নিঃশ্বাস নিতে। সে জানত না এক জোড়া ওয়াইনের গ্লাসে গলে যেতে পারে বাস্তবতা, ভুলে যেতে পারে হিসেব-নিকেশ, নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে হৃদয়। সে তো শুধু একটু আশ্রয় চেয়েছিল, একটু নির্ভরতা। কিন্তু পরদিন সকালে, যখন হুঁশ ফিরে আসে, তখন টুকরো টুকরো স্মৃতির মতো সবটা মনে পড়ে যায় তার। সে শারফারাজকে ভরসা করেছিলো, বিশ্বাস করেছিলো একটা নিরাপদ আশ্রয়ের দরজায় কড়া নেড়েছিলো কেবল। কিন্তু সেই রাত— ভরসার দেয়ালে যে দাগ কেটে যায়, তা মুছে ফেলা যায় না কোনো অনুতাপে, কোনো ব্যাখ্যায়। বিশ্বাস ভেঙে যায়। সম্পর্ক ছিন্ন হয়। দুজনই ভেবেছিল, এখানেই সব শেষ। কিন্তু জীবন শেষ হওয়ার আগে সব গল্প শেষ হয় না। একটা ফোনকল। একটা হাসপাতাল। একটা স্ক্রিন। একটা নির্দয় সত্য— “Fetus: Viable. Estimated 6 weeks.” হিসেবের বাইরের এই ঘটনাই একে একে ফিরিয়ে আনে অতীতের হারিয়ে যাওয়া পাজলের টুকরোগুলো। আর তখনই প্রশ্ন জেগে ওঠে— তাহলে কি সমস্ত রিপোর্টই মিথ্যে ছিল? শারফারাজের ‘অক্ষমতা’ আসলে কারও পরিকল্পিত ছলনা ছিল? বিদিশার চলে যাওয়া কি আত্মত্যাগ, না কি সবটাই ছিল এক ঠান্ডা মাথার প্রতারণা? সব কিছুর উত্তর জানাতে পড়তে হবে আমার নতুন ইবুক "সময়"।
গল্পটা সুন্দর কিন্তু আমার কিছু প্রশ্ন আছে এগুলো ক্লিয়ার করা উচিত যেমন - ১. বাঁধনকে বিদিশা এত আনইজি ফীল কেন করতেছিল ? ২. মালদ্বীপ এর এয়ারপোর্ট এ কাকে দেখছিল ? ৩. মালদ্বীপ বিদিশার বার্থডে তে কে কেক পাঠাছিলো? ৪. কি কারণে সরফরাজকে ফেক রিপোর্ট দেখায় ভেঙ্গে চলে গেল ?
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটি ভীষণ ভালো লেগেছে..... নাটকীয় তায় ভরা আমাদের জীবন..... কখনো কখনো সঠিক মানুষকে ভুল সময়েই সামনে এনে দাড় করায়....