—"শুনুন না!" মেহরিনের আদুরে কণ্ঠে হেসে ফেলে শেহরাজ, —"বলুন না!" মেহরিন ভ্রু কুঁচকে তাকায়, —"হাসছেন কেনো? আমি একটা সিরিয়াস কথা বলতে চাইছি!" শেহরাজ আঁটসাঁট বেঁধে মাথা নামিয়ে আনলো মেহরিনের দিকে, গুরুতর কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলল, —"জ্বি বলুন। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছি, ম্যাডাম!" মেহরিন এবার শেহরাজের কলারে নখ খুটতে খুটতে বলে, —"একটু চোখটা বন্ধ করুন!" স্ত্রীর কাছেই বাধ্য শেহরাজ। একবার বলাতেই চোখ বুঁজে ফেলল। অপেক্ষায় রইলো। একটু নীরবতা... তারপর হঠাৎ শেহরাজের ঠোঁটে পড়ে এক নরম, মিষ্টি, দুষ্টু চুমু। আলতো, কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো। শেহরাজ একটু থমকে গেল, চোখ খুলে তাকাল মেহরিনের দিকে। তার চোখে জ্বলজ্বল করছে একটা অবাক আনন্দ। —"এটা কী হলো এখন?" তার গলায় ভেজা, দুষ্টু তিরস্কার। মেহরিন হাসে, সেই চেনা ক্লান্ত-স্নিগ্ধ হাসি আবার ফিরে আসে ঠোঁটে, —"এতদিন তো পেলাম না কিছু... এখন পুষিয়ে নিচ্ছি! বাবুর জন্য আদর দেননি আপনি আমায়। ভীষণ অন্যায় হয়েছে আমার সাথে!" শেহরাজ ভ্রু উঁচিয়ে হাসি আটকিয়ে ভীষণ দুঃখ নিয়ে বলল, —"উপস, আমার ইফরার সাথে তো আসলেই ভীষণ অন্যায় হয়েছে। তবে কী করা যায় এখন, হুম? আচ্ছা, বাসায় চলো, সব পুষিয়ে দেব!" মেহরিন ভ্রু কুঁচকে মুখ সিঁটকে বলল, —"মিথ্যে কথা! এখন ছেলেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন সবসময়। আমি জানি, হুহ!" শেহরাজ এবার হেসে ফেলল। সেই পুরোনো শেহরাজ, যার হাসিতে ভয়, যার চোখে অনির্বচনীয় মায়া, সে যেন ফিরে এসেছে মুহূর্তে। ইফরার এমন অভিমানী অভিযোগে তার দৃষ্টিতে মিশে গেলো একরাশ কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা আর অদ্ভুত এক অনুরাগ। সে একটানে মেহরিনের হাত ধরল। তারপর ধীরে ধীরে, খুব শান্ত স্বরে বলল, —"তুমি জানো, আমার রাজত্ব যদি কিছু দিয়ে শুরু হয়, তবে সেটা তুমি। আর আমার এই ছোট্ট সিংহাসনের রাণীও তুমিই থাকবে, আজীবন।"
অনেক সুন্দর হইছে! এক কথায় অসাধারণ।🥰💖
Read all reviews on the Boitoi app
অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। ফেসবুক থেকে গল্পটা সম্পর্কে জেনে পড়তে আসলাম। শেহরাজ আসলেই অসাধারণ একটা চরিত্র।🥰
❤️❤️