জীবনের বইয়ের পৃষ্ঠার ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকে গল্প। কোনো গল্পে কালি ছড়িয়ে লেখা নষ্ট হয়ে যায়, আবার কোনো গল্পে কালিই পড়ে না। অবনীর গল্পটা কেমন? সদ্য বিবাহিতা অবনী তার জীবনের নতুন অধ্যায়ের পৃষ্ঠার ভাঁজে কেমন গল্প খুঁজে পায়?
"জীবনটাতো গল্প নয়।কিন্তু জীবনকে গল্প ভাবতে ভালো লাগে।এই বইটাই হয়তো সেরকমই একটা গল্প। অতিরঞ্জিত কোনো উপাখ্যান নয়,কিছু সরল বাস্তবতা। রাদিফের মতো জীবনসঙ্গী হয়তো অলীক কল্পনা কিন্তু তবুও ভাবতে ভালো লাগে। তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে লেখিকার বয়ানে এরকম অসাধারণ চরিত্র। ক্ষুদ্রের মাঝে কি অতুলনীয় বার্তা তার। এভাবেই এ মানুষগুলোকে তুলে ধরেন আপনার লেখনিতে আর আপনি থাকুন আমাদের হৃৃদয়ে। জাযাকিল্লহু খইরন আপু!"
জীবনটাতো গল্প নয়।কিন্তু জীবনকে গল্প ভাবতে ভালো লাগে।এই বইটাই হয়তো সেরকমই একটা গল্প। অতিরঞ্জিত কোনো উপাখ্যান নয়,কিছু সরল বাস্তবতা। রাদিফের মতো জীবনসঙ্গী হয়তো অলীক কল্পনা কিন্তু তবুও ভাবতে ভালো লাগে। তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে লেখিকার বয়ানে এরকম অসাধারণ চরিত্র। ক্ষুদ্রের মাঝে কি অতুলনীয় বার্তা তার। এভাবেই এ মানুষগুলোকে তুলে ধরেন আপনার লেখনিতে আর আপনি থাকুন আমাদের হৃৃদয়ে। জাযাকিল্লহু খইরন আপু!
Read all reviews on the Boitoi app
বর্তমানের বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি ছিল গল্পটা। আমাদের দেশের বেশিরভাগ বউ শ্বাশুড়ির চিত্র এটি। রাদিফ একজন মেরুদণ্ড শক্ত পুরুষ। তাকে আমার ভীষণ ভালো লাগেছে। সে বউএর জন্য মা' কে অসম্মানিত করে নি। আবার বউকেও তার সম্মান দিয়েছে, যেটা মৌএর বাবা পারেনি বা করেও নি। তবে একটা জিনিস চরম বাস্তবতার সাথে মিল ছিল" পরের জন্য কুয়ো খুড়লে নিজেকেই সেখানে পড়ছে হয়।"ঠিক রাবেয়ার হয়েছে একই অবস্থা। তার মায়ের জন্য হয়ত তার এউ ভোগ। যাই হোক, লেখিকা আপু ভীষণ সুন্দর গল্প লিখেছেন। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল আপুর জন্য।❤️❤️
পাঠ প্রতিক্রিয়া পৃষ্ঠার ভাঁজে পটভূমি: গল্পের মুখ্য দুই চরিত্র রাদিফ, অবনি। যারা পবিত্র বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সর্বোচ্চ সুখী দম্পতি ছিল মোটে দুটো দিন। নৈতিক অধঃপতিত সমাজের চিরাচরিত সেই যৌতুকের বিরুদ্ধে যাওয়ায় সংসার ঝামেলায় পতিত হয় দম্পতি। যৌতুকের জন্য শাশুড়ির কঠোর,অমানবিক আচরণই মূলত গল্পের মূল সংঘাত সৃষ্টি করে। দিনকে দিন এই আচরণের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় যেটা পাঠকের খারাপ লাগার সাথে ভুক্তভোগির জন্য মনে অপার মায়াও সৃষ্টি করে! সমাজের একটা বাস্তব সমস্যার প্রভাব দেখিয়েছে এই গল্পে। আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকা ঘটনার প্রতিচ্ছবিই যেন! তবে আমাদের কিছু স্ত্রী সঙ্গীদের দূর্ভাগ্য যে তাদের জীবনসঙ্গী রাদিফের মতো মেরুদণ্ড সম্পন্ন, দৃঢ়চেতা হয়না। এমনকি অনেক পুরুষ এমনও আছে যারা এখন এই জঘন্য যৌতুক প্রথাকে নির্দ্বিধায় স্বাভাবিক করে নিয়েছে! চরিত্র কথা : রাদিফ: ব্যক্তিত্ববান, শিষ্টাচার সম্পূর্ণ, সহনশীল একজন পুরুষ! শাশুড়ি নামের মহিলার ব্যবহার এতই বিরক্তিকর ছিল যে আমার মাঝে কিছু সময়ের চাওয়া এমন ছিল যে, রাদিফ তার মায়ের সাথে উশৃংখলভাবে হোটপাট শুরু করুক... তবে ব্যাটা আমাকে হতাশ করেছে! সে রাত পার করে দিন, দিন পার করে রাত এভাবে শুধু বুঝিয়ে গেছে। এক মুহূর্তের জন্য ও আঁচর তুলে মায়ের উপর কথা বলেনি। যদিও বা গল্পটা পরিসরে খুবই ছোট, কিন্তু তারপরেও এই ছোটগল্পেই কম সময়েই চরিত্রটাকে ভীষণ গভীর করে ফুটিয়ে তুলেছে লেখিকা। অবনি: এই মেয়েকে পড়তে গিয়ে মনে হয় পুরোটাই নিজেকে পড়ছি! তার অনুভূতি, উৎকণ্ঠা সবকিছু খুব প্রাকৃতিকভাবে ফুটে উঠেছে। নিজস্ব মতামত: আপুর যে কটা গল্প পড়া হয়েছে সব কটাতেই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুধু পড়েই গিয়েছি। এটাও ওরকম ছিলো। পড়া শুরু করেই কিভাবে যেন শেষ হয়ে গেল বুঝলাম ই নাহ।ছোট ছিল বিধায় এক শোয়ায় শেষ করে ফেলেছি। পড়তে গিয়ে মাঝে কখনো উৎকণ্ঠিত হয়েছি আবার কখনো ওদের ভালো থাকার আশা দেখে সস্তি পেয়েছি। সবশেষে ওদের ভালো থাকা হোক এটাই চেয়েছি, লেখিকা হতাশ করেননি।
মাশা আল্লাহ,বারাকাল্লাহু ফিক। আপু লেখা সব সময় আমার ভালো লাগে। আপু মাশা আল্লাহ সুন্দর করে বাস্তবিক বিষয় গুলো তুলে ধরেন,ফ্যান্টাসিতে ভুগার মত বিষয় গুলো তেমন নেই আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে এ সমস্যা বিশাল আকার ধারন করেছে গল্প পড়লে বুঝতে পারবেন। গল্প যেহেতু বাস্তবতা নিয়ে লেখা তাই গল্প পড়ে ও বাস্তবতা দেখ মনে হচ্ছে "আমাদের মধ্যে যাদের এখনো বিয়ে হয়নি তাদের আল্লাহর কাছে বেশি বেশি করে দোয়া করা প্রয়োজন "আল্লাহ যেনো উত্তম জীবনসঙ্গী দান করেন সাথে উত্তম শশুড়-শাশুড়ি ভালো একটা পরিবার দেন"। গল্পের শুরুটা ঠিকঠাক ছিল কিন্তু শেষটা ঠাসস করে হয়ে গেল আরেকটু বড় করলে আরো ভাল লাগতো।
সুন্দর হয়েছে অনেক।
কি মিষ্টি আর আদুরে একটা গল্প পড়লাম, মা শা আল্লাহ! মা শা আল্লাহ! ছোট পরিসরে মিষ্টি একটা লেখা। এমন একটা বর থাকলে আর কিচ্ছু লাগে না। আল্লাহুম্মা বারিক লাহা, আপনার লেখায় ভরপুর বারাকাহ দিন আমার রব।
পাঠ প্রতিক্রিয়া : পৃষ্ঠার ভাঁজে "পৃষ্ঠার ভাঁজে"গল্পটি পড়তে গিয়ে প্রথমেই লেখিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়। বাস্তবমুখী গল্প এভাবে উপস্থাপন করে দেওয়ার জন্য। ছোট গল্প হলেও একেবারে পরিপাটি ভাবে সাজানো, বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিলিয়ে লেখা হওয়ায় পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলে। ★গল্পে রাদিফ ও অবনীর বৈবাহিক জীবনের পথচলা ফুটে উঠেছে একেবারে স্বাভাবিক ও জীবন্তভাবে। শুরুর শান্ত পরিসর থেকে ধীরে ধীরে জীবনের জটিলতা-যৌতুক, পারিবারিক চাপ ও সম্পর্কের টানাপোড়েন-সবকিছুই বাস্তবের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। রাদিফের চরিত্রকে লেখিকা যেমন ভদ্র, সহজ-সরল অথচ দৃঢ় জীবনসঙ্গী হিসেবে তুলে ধরেছেন, তা পাঠকের মনে প্রশংসা জাগায়। অপরদিকে, অবনী চরিত্রটি ধৈর্য, সহনশীলতা ও ক্ষমাশীলতার দারুণ উদাহরণ । দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন সত্ত্বেও তাদের বোঝাপড়া ও মমত্ববোধই গল্পটিকে শক্ত করে তুলেছে। ★রাদিফ আর অবনীর সম্পর্কের টানাপোড়েন, পারিবারিক চাপ, যৌতুকের মতো কঠিন বাস্তব সবকিছুই গল্পে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। রাদিফ চরিত্রটা ভীষণ ভদ্র, সহজ-সরল অথচ দৃঢ় জীবনসঙ্গীর প্রতিচ্ছবি। আর অবনী ধৈর্যশীল, ক্ষমাশীল আর মমতাময়ী-যে সত্যিই এক নিখুঁত সঙ্গীর উদাহরণ। লেখার দুটি দিক আমার খুব ভালো লেগেছে- 1. অবনীর দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো গল্পটা বলা, যা কাহিনীকে আরও জীবন্ত করেছে। 2. তুলনার মাধ্যমে বাস্তবতার বর্ণনা, যেটা পড়তে গিয়ে মুগ্ধ হতে হয়। ★ রাদিফের মা চরিত্র সমাজের বাস্তব চিত্রকে সামনে এনেছে। এখানেই বোঝা যায় কেন এত অস্থিরতা আর ভাঙন ঘটে পরিবারে। গল্পটা সরল হলেও এর আবেগ খুব গভীর। পড়তে গিয়ে কখনো উদ্বিগ্ন হয়েছি, আবার কখনো চোখ ভিজে গিয়েছে। একজন পাঠিকা হিসেবে ছোট্ট একটি শব্দ চোখে পড়েছে, যে শব্দের জন্যই গল্প হয়ে উঠেছে হৃদয়স্পর্শী।তবে সেটা গল্পের মান বা আবেগকে নষ্ট করেনি। মোদ্দা কথা : পৃষ্ঠার ভাঁজে’ নিছক গল্প নয়, বরং আমাদের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।
গল্প টা দারুন লাগল । এক একটা লাইনের সৌন্দর্যের জন্য দু তিনবার করে পড়লাম। শাশুড়ীর আচরণ দেখে শেষ পর্যন্ত মনে হল :যেমন কর্ম তেমন ফল। রাদিফ চরিত্র টা চমৎকার। বাস্তবে এই রকম অবনীর জন্য একটা রাদিফ এর খুব দরকার, কিন্ত বাস্তবতা বড়ো নিষ্ঠুর। গল্প টা পড়ার সময় আমার এক জনের কথা মনে পরছিল কিন্ত তার কাহিনী পুরো শুরুর দিকে গল্পটার মতো হলে শেষটা এই রকম না । যাই হোক গল্প ভালো মন খারাপের সাথে সাথে মনটা ভালো করে দিল । শেষে গিয়ে আরও পড়তে মন চাইছিল। পার্শ্ব চরিত্র হিসাবে অয়ন আর রাবেয়া চরিত্র দুটো চমৎকার 🩷 মাঝে মাঝে কিছু টাইপ মিস্টেক আছে ।
Golpo ta khub valo laglo. Sundar uposthapon korechen..
পৃষ্ঠার ভাঁজে পাঠ প্রতিক্রিয়া আরম্ভেই বলে যায়, লেখিকাকে কৃতজ্ঞতা। বিশেষ কিছু পড়ার পথ মেলে দেওয়ায়। শুরু কী করে করা যায় এই ক্ষেত্রে কিছুটা হযবরল পাকিয়ে যাচ্ছে, আমি যথা সম্ভব চেষ্টা করবো তবুও। ই-বুকে এমন গল্প গুলোর ঠিকানা হোক চমৎকার ভাবে, আজেবাজে কোনো লেখার বদলে। শি ইজ মেকিং প্রোগ্রেস ইন হার রাইটিং ডে বাই ডে। ক্ষুদ্র গল্প হলে কী হবে যদি পরিপাটি ভাবে সাজিয়ে তুলতে পারার ক্ষমতা রাখে। ছিমছাম প্রকৃতির অল্প বিস্তর বর্ণনায় বৃহৎ পরিসরের বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে লেখা। এক নব দম্পতির নব্য পথযাত্রা যা কখনো হোঁচট খাওয়ায় কখনো শিরদাঁড়ায় শিরশির করে ঘাম ঝরিয়ে সোজা অর্থাৎ স্ট্রেট হয়ে হেঁটে যেতে শেখায়। মেয়েটি এত দারুন লেখে, দিনের পর দিন পরিশ্রমের মাধ্যমে নতুনত্ব আবিষ্কার করার প্রচেষ্টায় থাকে নিজের লেখায়। আমি বোঝে পেলাম, সেই উষ্ণতা হতে সে আরও পরিপক্কতা এনেছে পৃষ্ঠার ভাঁজে। প্লট বর্ণনায়: রাদিফ এবং অবনী দুজনে পারিবারিক ভাবে এক পবিত্র বন্ধনে নিজেদের আবিষ্কার করে। শুরু হয়েছিল বেশ শান্ত শীতল পরিবেশ নিয়ে, মনে হচ্ছিল সুখী দম্পতি হতে তাদের আর আটকায় কে? যদি তারা একে অপরকে এত সুন্দর ভাবে টেনে ধরে রাখতে জানে। কিন্তু ভাবনা ঠিক ততটুকু পর্যন্ত ঐ ভুল ছিল। তারপর হতেই প্রকৃত যানজট শুরু হয় যা ঠেকরে বের হয়, যা মূলত বলা যায় জীবনের যানজট। শুরুটা ভারী আরাম কেদারায় বসে থাকার মতো হলেও, তারপর আর স্থির থাকা যায় না। উঠে দাঁড়াও এবং পায়চারি করো, এটিই মূলত কথা পরবর্তী ঘটনার সাপেক্ষে। পুরোটা সময় জুড়ে অস্থিতিশীলতা বজায় রয়ে গেলেও রাদিফ এবং অবনীর সম্পর্কের জোরদার টান মুগ্ধতাময় ছিল। প্রকৃত অর্থে জীবন সঙ্গীর মেরুদন্ড যদি টানটান না হয় তবে হেরে যাওয়া নিশ্চিত। হাজারো ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে উঠে দিনশেষে একটা ছাউনীতে নিজেকে আবিষ্কার করার মতো সৌভাগ্য অল্প সংখ্যক নারীর হয়। ছাউনী কিন্তু প্রকৃত অর্থে আপনার ঐ যে টানটান মেরুদন্ডের মালিক জীবনসঙ্গী হয়ে থাকে, বৈবাহিক জীবনের ক্ষেত্রে। রাদিফ এমন একজন মেরুদন্ডের পুরুষ। যে মা এবং স্ত্রীর উভয়ের মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে। একটা ব্যাপার বলতেই হয়, বিনতে ফিরোজ শুনো মেয়ে, তোমার পুরুষ চরিত্র গুলো এত চমৎকার হতে হয় কেন? ওয়ান বাই ওয়ান সবগুলো জেন্টেলম্যান হয়ে এসে ধরা দেয় তোমার কলমে। এক ইতমিনান অসাধারণ ছিল, এবার রাদিফ। যৌতুক প্রথা কতটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে জানে তা এই গল্পের মূল উদ্দেশ্য। মোরাল অফ দ্যা স্টোরি। রাদিফ: একদম সাদামাটা একটি চরিত্র। চঞ্চলতা জানে, সম্পর্কের জটিলতা বোঝে এবং বজায় রাখতে পারে, সুপুরুষ জীবনসঙ্গী, নম্র ভদ্র কায়ায় সজ্জিত এক আদুরে চরিত্র। চরিত্রটার রাগ গুলোও বলতে গেলে ভীষণ রকমের আদুরে ছিল। আমার মনে হতো আমি অতিরিক্ত চিন্তিত মূহূর্তেও তার রাগ দেখে লাজুক লাজুক হেসে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত সে তার ওয়াদা কে যেভাবে আগলিয়ে রেখেছে সত্য ঐ প্রসংসনীয়। আমি ভেবে দেখলাম, কী সব গম্ভীর, অবসেসড প্রেমিক পুরুষ কিংবা স্বামী? তার চেয়ে বরং এই সাদামাটা, অল্পতেই হেসে যাওয়া, মাঝে মধ্যে উদ্ভট কথা বলে অপর পাশের জনকেও হাসতে বাধ্য করা, বোঝা যায় না তবে প্রচন্ড বোঝদার ছেলেটি প্রকৃত অর্থে চমৎকার প্রেমিক পুরুষ। প্রজাতির সংসার বোধ হয় তাদের নিয়েই প্রোজ্জ্বলিত হয়। রাদিফরাই প্রকৃত হাইয়ার স্ট্যান্ডার্ড। অবনী: বোকাসোকা ছিঁচকাদুনে আরেকটি আদুরে চরিত্র। রাদিফ থেকে অল্প বোঝদার হলেও নারী চরিত্রে চমৎকার ছিল সে। তার ধৈর্য দেখে অবাক হয়ে যাওয়ার মতো। অন্য কোনো চরিত্র হলে এত ধৈর্য তার কুলাতে পারতো বলো মনে হয় না। মেয়েটার কান্না গুলো তাই বড়ই আদরমাখা ছিল। প্রকৃত অর্থে বউ চরিত্রে এমন থাকা সুন্দর। মেয়েটার বিশেষ গুন ছিল, সে ক্ষমা করতে জানে এবং নিজের ভুল সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত হয়ে যায়। তারা প্রকৃত অর্থে এক পারফেক্ট কাপলের উদাহরণ। শেষ মন্তব্য: রাদিফের মা চরিত্রটি অহরহই চোখে পড়ার মতো এক বাঙালি চরিত্র। এমন চরিত্র গুলোর জন্যে সমাজে আজ এত বিশৃঙ্খলা। এত বিচ্ছেদ, এত অস্থিরতা। কিন্তু কথায় রয়েছে, কর্মফল ভোগ করতে হয়। সেটি যেভাবেই হোক। তুমি যা দিবে, তোমার কাছে তা ঐ ফেরত আসবে। দিনশেষে আমাদের সবার উচিত প্রকৃত অর্থে একজন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠাতে পারা নিজেকে, শুধুই মানুষ সম্বোধনে আঁটকে না রয়ে যেয়ে। নিজেকে আগে মানুষ হিসেবে গড়তে না পারলে, সে কখনোই মা, বাবা, ভাই, বোন, সন্তান, শ্বশুর, শাশুড়ি ইত্যাদি চরিত্র গুলোয় নিজকে সঠিক ভাবে বসাতে পারে বলে মনে হয় না। অবনীর সাংসারিক জীবনের কিছু কঠোর সত্যের মুখোমুখি হওয়ার সময় আমার নিজের অনুভূতি গুলোই ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিল যেন। এনজাইটি ফিল হচ্ছিল। কিন্তু সেই অস্থিরতার ঔষধ হয়ে এসে ধরা দিয়েছে রাদিফ সবসময়। নারী হয়ে একটি নারী চরিত্র কে এমন ভাবে অনুভব করে যাচ্ছিলাম, কখনো কখনো চোখ জ্বালাপোড়া করে উঠছিল। পৃষ্ঠার ভাঁজে ক্ষুদ্র গল্পটির দুটো অতি পছন্দের পয়েন্ট বলছি যা লেখায় ভীষণ ভালো লেগেছে। ১. অবনীর দিক হতে যেভাবে পুরো গল্পটি বলা হয়েছে, কোনো রকম ভুলভ্রান্তি বিহীন। আমার এমন গল্প গুলো ভালো লাগে খুব যেখানে কাউকে টেলার হিসেবে রাখা হয় এবং তার দর্শনে পুরো বিস্তৃতি লেখা হয়। এতে সংলাপ কম হলেও আমার তেমন একটা খারাপ লাগে না। ২. কিছু ব্যাপার রয়েছে না, কোনো কোনো বাক্যে পরিস্থিতি লেখার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো ব্যাপারের সঙ্গে তুলনা করে লেখা, অদ্ভুত অদ্ভুত ভাবে মিলে যায় এমন তুলনা। এই ক্ষেত্রে লেখিকার পারদর্শীতা বেশ ছিল। ভালো লেগেছে ব্যাপারটা। সর্বশেষ কথা হচ্ছে, গল্পটি ভীষণ সাদামাটা কিন্তু গল্পটি আমাদের। তাই সাদামাটা হলেও অভূতপূর্ব। আমি ভীষণ খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পড়েছি, যদি কোনো ভুল ধরতে পারি এই ভেবে। কিন্তু আশাহত হয়েছি, সঙ্গে আনন্দিত। আমাকে আশাহত করার জন্যে চমৎকার এক ধন্যবাদ রেখে গেলাম তোমার জন্যে, লেখিকা মহাশয়া। তবে ছোট্ট একটা ভুল যা হয়তো চোখে বেশি বাঁধবে বাকিদের, কিন্তু অবহেলা করাই যায়। লেখা কৌতুক - হবে যৌতুক, ভুল বানান যদি ইচ্ছেকৃত হয়ে থাকে তো অন্য ব্যাপার। ব্যাপারটা চোখে বাঁধবে কারণ হচ্ছে, পুরো প্লট যে এর উপরেই নির্ভরশীল।