"মানে হলো, মুক্তি! জীবন একটাই, সা'দ। একজীবনে আমি আর এত ব্যর্থতার ভার বয়ে বেড়ানোর জোর পাচ্ছি না। আমি হেরে গেছি, সা'দ। সম্পূর্ণ হেরে গেছি। তুমি-ই আমাকে হারিয়ে দিয়েছ। আমার বাকিটা জীবন এখন এই ব্যর্থতার হিসেব গুনতে গুনতে শেষ হয়ে যাবে।" "তুমি কি পাগল-টাগল হয়ে গেছো? না কি মাল-টাল কিছু খেয়ে ফেলেছ? এসব কী কথা বলছ?" "আমি স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে কথা বলছি, সা'দ। আমার মুক্তি চাই।" সা'দের অবাক হওয়ার মাত্র এতটাই বাড়ল যে, কিছু সময়ের জন্য তার কানে তালা লেগে গেল। এরপর হতবাক দৃষ্টি দিয়ে বলল, "কিন্তু কেন!" "এতক্ষণ অনেক বকবক করেছি, সা'দ। এখন আমার খুব টায়ার্ড লাগছে। আমি বাসায় ফিরে ঘুমাব। তুমি যাও... কোথায় যাচ্ছিলে? আমি আর তোমার বিরক্তির কারণ হচ্ছি না।" জাবিনের কথা শেষ হওয়া মাত্রই তার নরম গাল চেপে ধরল সা'দ। দাঁতে দাঁত চেপে বলল, "ক'টা টাকা আমার পিছনে খরচ করেছ বলে খুব বেশি কথা শিখে গেছো? মাত্র কয়েকটা মাস আমার বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিয়েছ বলে নিজেকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে ভাবা শুরু করেছ? কী ভেবেছ তুমি আমাকে? আমি অকর্মা? আমি অকৃতজ্ঞ? আমি সন্তান নামের কলঙ্ক? এটাই প্রমাণ করতে চাও? এসবই তোমার সব কথার সারকথা? ফাইন... তাহলে তুমিও শোনে রাখো, কাজী সাইফান সা'দ আর যা-ই হোক, কারও দয়ায় বেঁচে থাকার পুরুষ নয়। প্রয়োজনে গলায় দড়ি দেব, ছুরি বসাব, নদীর জলে ডুবে মরব, তা-ও তোমার কাছে আর একটা টাকাও চাইব না।"