মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরোনো কিশোর রিফাত হঠাৎই আটকে যায় এক রহস্যময় মায়াবীর মোহজালে, একজন নারী, যে কিনা বয়সে তার চেয়ে আড়াই বছরের বড়। তবুও রিফাতের কোমল হৃদয় তা মানতে অস্বীকৃত। তার কিশোর প্রেম হার মানে না বয়সের ফারাকের কাছে। তাকে ঘিরে গড়ে উঠতে থাকে এক নিঃশব্দ অনুভবের জগত, যেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি অপেক্ষা শুধুই সেই রমণীর জন্য। এদিকে রিফাতের সহপাঠিনী নিশি তার জীবনে প্রেমের আলো জ্বালাতে চায়, কিন্তু রিফাতের হৃদয়ের দরজা তখন শুধুই এক নারীর জন্য খোলা। এক এমন প্রণয়িনী, যে রিফাতের সমগ্র জগৎটাকেই দখলে নিয়েছে নিঃশব্দে। রিফাতের ভেতরে যে প্রেমের আলো সেদিন জ্বলে উঠেছিল, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুধু বেড়েই চলেছে। হয়েছে দগ্ধ, হয়েছে দুর্বার। রিফাত কী করেছিল? সে কি সাহস করে জানিয়েছিল তার সেই অনুভবের কথা? আর যদি জানিয়েই থাকে, তবে সেই হৃদয়ের আহ্বান কি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল, না কি তা হারিয়ে গেছে জীবনের বাস্তবতার অন্ধকার গহ্বরে? এই প্রেম, দ্বিধা, আত্মসংঘাত আর একতরফা ভালোবাসার বিষাদগাঁথা জানতে হলে পড়তে হবে ভালোবাসার আগুনে পোড়া এক অনুচ্চারিত কাহিনি— “অন্তর্দাহ।” এক এমন গল্প, যেখানে হৃদয়ের ভাষা মুখে নয়, প্রকাশ পায় মৌনতায়, অপেক্ষায়, আর না বলা সব চিরন্তন প্রশ্নে।