“তুমি জানো না, তোমাকে দেখলেই আমার মাথার সব চিন্তা ঝলসে যায়।” তানিশা এক পা এক পা করে পিছিয়ে যেতে থাকে। পিছাতে পিছাতে বিছানায় এসে পড়ে। আলভি এসে ঝুঁকে পড়ে তার ওপর। নাইটির ফিতেটা একটানে খুলে যায়। তানিশার বুকের খাঁজ, পেটের রেখা, উরুর গোলক তার চোখে বিদ্যুৎ খেলে দেয়। শুরু হয় এক তীব্র রাত। আলভির ঠোঁট গলায়, তারপর বুকের ভাঁজে। আঙুল উরুর ভেতরে। তানিশার কণ্ঠে রুদ্ধশ্বাস শব্দ। “আমি আজ তোমার সব সীমানা মুছে দিতে চাই,” বলে ওঠে আলভি। তারপর তার ঠোঁট নামতে থাকে পেট বরাবর নিচে। ঘরের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তানিশার শরীর বাঁক নেয়। সে কাঁপে, কাঁদে, হাসে সব একসাথে। কখনো আলভিকে আঁকড়ে ধরে, কখনো বালিশ চেপে রাখে মুখে। আলভি বলে, “তুমি জানো না তুমি কতটা বিস্ফোরক।” তারা বারবার করে আলাদা আলাদা ভঙ্গিমায়, আলাদা আবেশে এক হয়। একবার দেয়ালে ঠেসে, একবার চাদরের নিচে, আবার একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। রাত বাড়ে, শরীর ছাড়িয়ে মন পর্যন্ত পৌঁছে যায়। শেষে তানিশা বিছানায় পড়ে থাকে, নিঃশ্বাসহীন শরীর নিয়ে। আলভি তার পাশেই, হাত তার বুকের ওপর। “তোমার মতো শরীর আমি আগে ছুঁইনি।” তানিশা হাসে, কাঁপা কণ্ঠে বলে, “আর তোমার মতো কোন পুরুষ আমাকে জানেনি এত গভীরে।” রাতের শেষপ্রহরে তানিশা বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখে। শরীরে এক পাতলা চাদর, সিগারেটের ধোঁয়ায় তার চোখে এক ক্লান্তি আর দ্বিধার রেখা। পেছন থেকে আলভি এসে জড়িয়ে ধরে। গলার নিচে ঠোঁট ছোঁয়ায়, কিন্তু সে থামে। “তুমি ঠিক আছো?” তানিশা মাথা নাড়ে, “আমার মনে হচ্ছে আমার অতীত আমাদের বর্তমানকে কামড়ে ধরছে।” তানিশার কথা শেষ হওয়ার পর পর ঠিক তখনই দরজায় বেল। আলভি এগিয়ে গিয়ে দরজা খোলে। দরজার ওপারে অর্থাৎ আলভির সামনে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ। আলভির পিছনে পিছনে তানিশাও আসে। কালো শার্ট, ভেজা চুল, চোখে ধোঁয়া, তবে তীব্র আগ্রহ নেই; আছে অভিযোগ আর হারানোর ভয়। “তানিশা, এটাই কি তুমি এখন?” তানিশা আস্তে করে বলে, “রিয়াদ, তুমি চলে যাও।” রিয়াদ ঠোঁট চেপে ধরে, “তুমি জানো না, আমি এখনও তোমায় কীভাবে চাই, কীভাবে খুঁজি প্রতিরাতে।” আলভি সামনে এগিয়ে আসে। দুই পুরুষের চোখাচোখি শুধু কামনা নয়, এবার যেন এক দখলের দ্বন্দ্ব। তানিশা কাঁপতে কাঁপতে আলভির দিকে ফিরে যায়। রিয়াদ আর কিছু না বলে চলে যায়। কিন্তু রেখে যায় উত্তেজনার শিখা, জ্বলে ওঠে এক দাহন।