"কত হাঙ্গামা করে বিয়ে করলাম। নিজেরা নিজেরা যত খুশি গল্প কর। দয়া করে আমার বউটাকে ছেড়ে দে। আমরা নিজেরা নিজেরা একটু আলাপ করি। ভালো করে পরিচিত হই।” অর্পিতা অয়নের ঘরে একটা বালিশ নিতে এসেছিল। অয়ন তখনই কথাগুলো একনাগাড়ে বোনকে বলল। অর্পিতা মুখ ভেঙচিয়ে বলল, “ঢঙের কথা। তোর বউকে পেতে দেরি আছে। আজ রাতে আমি মা, বউদি, বউদির মা সবাই একসাথে ঘুমাব। মানে সারারাত জেগে জেগে গল্প করব।” অয়ন বোনের হাত থেকে বালিশটা জোর করে কেড়ে নিল। বলল, “এইরাতে তোরা যত খুশি গল্প কর। আমি কিছুই বলব না। কিন্তু রাত বারোটার পরে যেন আমার বউকে আমি ঘরে পাই।” “ছিঃ… তুই বিয়ে করতে না করতেই বেহায়া হয়ে গেছিস, দাদা।” “আশ্চর্য... এখানে বেহায়ার কী দেখলি তুই? বউটা আমার অথচ আমিই তোদের জ্বালায় বউয়ের সাথে একান্ত সময় কাটাতে পারছি না। দুদণ্ড বসে গল্প করতে পারছি না। এই দিন দেখার জন্য কী বিয়ে করেছিলাম আমি?” “তাহলে বিয়ে এখন না করলেই পারতি।” “তুই আমার বোন না, ঘষেটি বেগম। শোন অর্পি, আমি এখনো বলছি, তোরা যদি আমার বউকে সারারাত আটকে রাখার চেষ্টা করিস, আমি কিন্তু কিছুতেই মানব না। তোদের মাঝখান থেকে তুলে নিয়ে আসব আমার বউকে।” “সুন্দরী বউ পেয়ে তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে, দাদা। লজ্জা শরমের ছিটেফোঁটাও তোর মাঝে নেই।” বউ পাগল ছেলেটা শেষপর্যন্ত কী নিজের বউকে কাছে পেয়েছিল?
Nice story
Read all reviews on the Boitoi app