দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক পরিণতি পাওয়ার আগেই স্বপ্নভঙ্গ হয় শাবার। বিয়ের আগের দিন বিয়ে ভেঙে দিয়ে প্রেমিক পুরুষটি বিয়ে করে নেয় মায়ের পছন্দের পাত্রীকে। মধ্যবিত্ত পরিবার আর মেয়েটি হয় বদনামের ভাগীদার। ঠিক এমন সময় ওর হাত ধরে বখাটে মাস্তান হিসেনে পরিচয় পাওয়া রাওয়াদ। বিয়ে করে বউয়ের মর্যাদা দেয় শাবাকে। কিন্তু অনার্স শেষ করা শাবা মানতে পারে না স্বল্প শিক্ষিত রাওয়াদকে। বউয়ের মন জয় করার চেষ্টা করেও সফল হয় না রাওয়াদ। এমন সময় একদিন প্রকাশ হয় রাওয়াদের সত্য। শাবার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায় যেন। ধীরে ধীরে বিশ্রী অতীতটা সামনে চলে আসে, যেই অতীতের সাথে রাওয়াদ জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। কী হয় শেষ পর্যন্ত? রাওয়াদের সত্য জানার পরে কি শাবা তাকে ছেড়ে চলে যায়? নাকি নতুন করে স্বামী রূপী রাওয়াদের মায়ায় জড়িয়ে যায়? কে কাকে সংগোপনে ভালোবাসে? গোপন ভালোবাসা কি গোপনই থাকে আজীবন, নাকি স্বার্থক ভালোবাসায় রূপান্তর হয়?
"গল্পটি পড়তে গিয়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। লেখাটা ঝরঝরে, সাবলীল এবং টানটান আবহ তৈরি করেছে। শাবা-রাওয়াদের রসায়ন সত্যিই আকর্ষণীয়, তবে রাওয়াদের অপরাধ এড়িয়ে যাওয়া যায় না। অমি চরিত্রটা দুর্বল আর কাপুরুষ মনে হয়েছে। অন্যদিকে শাবার শাশুড়ি ও ননদ চরিত্রগুলো গল্পে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। সব মিলিয়ে গল্পটি শুধু পড়ার আনন্দই দেয়নি, বরং ভাবনার খোরাকও জুগিয়েছে, যা একটি সফল লেখার আসল পরিচয়।"
Khub valo laglo
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটি পড়তে গিয়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। লেখাটা ঝরঝরে, সাবলীল এবং টানটান আবহ তৈরি করেছে। শাবা-রাওয়াদের রসায়ন সত্যিই আকর্ষণীয়, তবে রাওয়াদের অপরাধ এড়িয়ে যাওয়া যায় না। অমি চরিত্রটা দুর্বল আর কাপুরুষ মনে হয়েছে। অন্যদিকে শাবার শাশুড়ি ও ননদ চরিত্রগুলো গল্পে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। সব মিলিয়ে গল্পটি শুধু পড়ার আনন্দই দেয়নি, বরং ভাবনার খোরাকও জুগিয়েছে, যা একটি সফল লেখার আসল পরিচয়।
অসম্ভব সুন্দর ইবুকটা। আমার অনেক ভালো লেগেছে ❤️❤️
ভালো লেগেছে❤️
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি তোমায়.. আমার মন যখনই ইমোশনাল হয়,যখনই আমি প্রেমময় অনুভূতিতে আন্দোলিত হই তখনই রবী ঠাকুর আমার আশ্রয় হয়।তেমনি সামাজিক প্রেক্ষাপটে রোমান্টিক ঘরানার উপন্যাস পড়তে গেলেই মাথায় আসে ফারহানা আপুর নাম।আপুর লেখার সূচনা লগ্ন থেকেই সাথে আছি পাঠক রূপে তাই হয়তো সাহিত্যের বিচারে দাবি যত বেশি তেমনি আপুর লেখাকে পড়ার সময় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকে।গল্পের শুরু একটি প্রেমের বিয়ের বিয়োগাত্মক পরিণতির মধ্যে দিয়ে,যেখানে প্রেমিক পুরুষের বিয়ের পূর্ব মুহুর্তের কাপুরুষোচিত আচরণের দরুণ মেয়েটি সমাজ, পরিবার,আত্বীয় স্বজনের কাছে লাঞ্চনার স্বীকার হতে থাকে।মেয়েটিকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে পাড়ার তথাকথিত বড়ভাই,যার ছত্রছায়ায় এলাকার ভালো মন্দ সুনিশ্চিত হয়।একাডেমিক লাইনের সর্বোচ্চ পীঠস্থান থেকে পড়ুয়া একটি মেয়ের অর্ধশিক্ষিত এক গুন্ডাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে দ্বিধা হয়।মেয়েটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা এলাকার বড়ভাইটির পেছনে স্বার্থ নেই তো কোনো? অভিমানী এই মেয়েটি যেনো আমাদের লেখিকা আপুর প্রতিচ্ছবি,যে অভিমান করে লেখার থেকে, পাঠকের থেকে মাঝে মাঝেই হারিয়ে যায়। গল্পটি দারুণ রকম রোমান্টিক যা পড়তে গিয়ে আমার কান দিয়ে ধোঁয়া ছুটেছে তবে কাহিনীর প্রয়োজনে যা ছিলো একদমই প্রযোজ্য। এবার আসি সমালোচনায়,আপুর লেখা নিয়ে সিলিং সম এক্সপেকটেশন তাই হয়তো বিচারকের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই গল্পটাকে বিচার করছি।গল্পের শুরুটা অনেকটাই নিপার কুন্দফুলের মালার সাথে মিলে গেলেও পুরো গল্পের প্লট ভিন্ন।গল্পের ১৭ পর্বের শেষ আর ১৮ পর্বের কিছু অংশ পড়তে পড়তে মনে হয়েছে লেখক গল্পের দুইজন চরিত্রের কথোপকথন সাজাতে গিয়ে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছে। তবে ই বুক হিসেবে বইটি পড়তে গিয়ে আনরোমান্টিক আমিও রোমাঞ্চকর অনুভূতির সাগরে নিমজ্জিত হয়েছি।একজন লেখকের স্বার্থকতা হয়তো এটাতেই প্রমাণিত হয়েছে। So its a must read book for all romantic book lovers.
গল্পটি দারুণ লেগেছে..... গল্পের আতশবাজি ছিলো রাওয়াদ চরিত্রটি.... একজন পাগলাটে এবং ধৈর্যশীল প্রেমিক পুরুষ যে শেষ বাজিতে তার মনের রানীকে জয় করেই ছাড়ে.....গল্পটি ভীষণ ভীষণ সুন্দর হয়েছে আপু.... ❤❤
আবারও চমৎকার সুন্দর একটা ছোট উপন্যাস পড়লাম! যেখানে এক ডেসপারেট প্রেমিকরুপী যুবক এর প্রেমসত্তা কে দেখলাম! গল্পটা পড়ে প্রথম যেই লাইন মাথায় এসেছে তাহলো "everything is fair in love and war " ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার জন্য সব করা যায় আসলে! রাওয়াদ তার শাবার জন্যও ঠিক তাই ই করেছে! যদিও পন্থাটা অযৌক্তিক! কিন্তু শাবার প্রতি তার অবসেশান কে শাবাও শেষ পর্যন্ত deny করতে পারে নি! আমার তো মনে ভালোবাসলে ঠিক এইভাবেই ভালোবাসা উচিত! প্রথমে মনে হয়েছিল রাওয়াদ শাবা কে অন্যায় ভাবে পেয়েছে, পরবর্তীতে বুঝলাম শাবা যদি অনির হতো সে কখনোই সুখী হতে পারতনা অনির মায়ের জন্য! সেখানে রাওয়াদের মা রেহানা যেন পুতুলের মত তার ছেলের বউকে যত্ন করত! রেহেনার বোনদের মতো এমন খালা, মামী ও চাচী শ্বাশুড়িগুলো হয় সমাজের উচ্ছিষ্ট কিট! যারা নতুন বউদের জন্য সারাজীবনের ট্রমা! পরিশেষে বলবো, এক তরফা ভালোবাসার জয়ও মাঝে মাঝে ভীষণ জরুরি, নাহয় শাবাদের জীবনে রাওয়াদদের ভূমিকাগুলো কখনো ফুটে উঠে না! ফারহানা আপুকে ধন্যবাদ এমন বাস্তবতা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক গুলো নিজের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য! রাওয়াদ - শাবা সমসময় ভালো থাকুক🤎 ই বুকের নামটা স্বার্থক🤎
❤❤❤❤❤.....