সেগুন কাঠের ভারী দরজার লকটা খুলতেই বিকট শব্দে বাজ পড়ল বাইরে। চমকে উঠল আদৃতা। হাত থেকে চাবির গোছাটা ঝট করে মেঝেতে পড়ে গেল। সকাল থেকেই অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছে। অনেকটা সময় ধরে অত্রিয়ার নম্বরে ট্রাই করে যাচ্ছে সে। কিন্তু কোনোভাবেই রিচ করতে পারেনি। পরে বাধ্য হয়ে এই ভর সন্ধ্যেবেলা নিজেই ড্রাইভ করে চলে এলো শহরতলির এই ছোটোখাটো বাংলোবাড়িতে। “অত্রিয়া! কোথায় তুমি? বাসায় আছো?” বৃষ্টির ঝমঝমানি ছাপিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করল আদৃতা। কিন্তু তার কণ্ঠ চিরে ফিসফিস আওয়াজ ছাড়া আর কিছু বের হলো না! ওদিকে ভেতর বাড়ি থেকে কোনো জবাবও ভেসে এলো না। আবারও বোনের নম্বরে ডায়াল করল সে। “ভাবী! কখন এসেছো তুমি? আমাকে ডাকোনি কেন?” সাঁই করে পেছনে ঘুরল তরুণী। শোবার ঘরের দরজায় ভ্রু কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছে ছয় ফুট লম্বা, ফর্সা, কোঁকড়া চুলো অসম্ভব হ্যান্ডসাম একজন সুপুরুষ। ওর বাদামি মনি দুটো ঝিকঝিক করছে। চট করে চোখ চলে গেল যুবকের ডান হাতের মুঠোয়। ওখানেই আলো জ্বলে উঠে ভাইব্রেট করছে অত্রিয়ার আইফোন ইলেভেন! আচমকা চিৎকার করে উঠল আদৃতা। “এই ছেলে, কী করেছো তুমি আমার বোনকে?”
"#ইবুক_রিভিউ ★কাহিনি সংক্ষেপঃ এ গল্পের প্রধান চরিত্র দুই বোন আদৃতা আর অত্রিয়া। যাদেরকে ঘিরে গল্পে টানাপোড়েন আর ভালোবাসার সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। ছোট থেকে আদৃতা ছিল অত্রিয়ার ছায়ার মতো। সবকিছুতেই আগলে রাখত, সাহায্য করত। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে সম্পর্কের ভেতরে ঢুকে পড়ে প্রতিযোগিতা, হিংসা, আবারও মিলিয়ে যাওয়া। অত্রিয়ার ভেতরের অস্থিরতা একসময় এতটাই বেড়ে যায় যে সে সবাইকে ছেড়ে আলাদা হয়ে যায়। আর আদৃতা? বোনকে হারিয়েও বারবার ওর অস্তিত্ব টের পায়, কল্পনায় তাকে আঁকড়ে ধরে রাখে। ★পাঠ্যনুভূতিঃ গল্পের শুরুটা পড়তে গিয়ে মনে হয়েছিল কিছুটা সাসপেন্স বা হরর টাইপ হবে। কিন্তু যত এগিয়েছে, ধীরে ধীরে পারিবারিক আর আবেগমাখা এক বাস্তব গল্প খুলে গেছে চোখের সামনে। দুই বোনের টানাপোড়েন, ভালোবাসা আর দূরত্ব সব মিলিয়ে পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই ভেতরে কেমন একটা ভার জমে যায়। আদৃতার চরিত্রটা আমার কাছে সবচেয়ে বাস্তব লেগেছে, কারণ ওর ভেতরের ভালোবাসা আর হিংসার মিশ্রণটাই জীবনের মতো। শেষ অব্দি মনে হয়েছে সব সম্পর্কই আসলে অপূর্ণতায় ভরা, কিন্তু ভালোবাসা থাকলেই সেই শূন্যতা খানিকটা হলেও পূর্ণ হয়ে যায়। লেখক সুস্মিতা জাফরের ঝরঝরে লেখনী বরাবরই আমাকে বেশ টানে এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। এমন চমৎকার লেখা আমরা আরো চাই। আমরা নিজেদের পাঠকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই।"
#ইবুক_রিভিউ ★কাহিনি সংক্ষেপঃ এ গল্পের প্রধান চরিত্র দুই বোন আদৃতা আর অত্রিয়া। যাদেরকে ঘিরে গল্পে টানাপোড়েন আর ভালোবাসার সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। ছোট থেকে আদৃতা ছিল অত্রিয়ার ছায়ার মতো। সবকিছুতেই আগলে রাখত, সাহায্য করত। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে সম্পর্কের ভেতরে ঢুকে পড়ে প্রতিযোগিতা, হিংসা, আবারও মিলিয়ে যাওয়া। অত্রিয়ার ভেতরের অস্থিরতা একসময় এতটাই বেড়ে যায় যে সে সবাইকে ছেড়ে আলাদা হয়ে যায়। আর আদৃতা? বোনকে হারিয়েও বারবার ওর অস্তিত্ব টের পায়, কল্পনায় তাকে আঁকড়ে ধরে রাখে। ★পাঠ্যনুভূতিঃ গল্পের শুরুটা পড়তে গিয়ে মনে হয়েছিল কিছুটা সাসপেন্স বা হরর টাইপ হবে। কিন্তু যত এগিয়েছে, ধীরে ধীরে পারিবারিক আর আবেগমাখা এক বাস্তব গল্প খুলে গেছে চোখের সামনে। দুই বোনের টানাপোড়েন, ভালোবাসা আর দূরত্ব সব মিলিয়ে পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই ভেতরে কেমন একটা ভার জমে যায়। আদৃতার চরিত্রটা আমার কাছে সবচেয়ে বাস্তব লেগেছে, কারণ ওর ভেতরের ভালোবাসা আর হিংসার মিশ্রণটাই জীবনের মতো। শেষ অব্দি মনে হয়েছে সব সম্পর্কই আসলে অপূর্ণতায় ভরা, কিন্তু ভালোবাসা থাকলেই সেই শূন্যতা খানিকটা হলেও পূর্ণ হয়ে যায়। লেখক সুস্মিতা জাফরের ঝরঝরে লেখনী বরাবরই আমাকে বেশ টানে এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। এমন চমৎকার লেখা আমরা আরো চাই। আমরা নিজেদের পাঠকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই।
Read all reviews on the Boitoi app
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ গল্প টার প্রথম পর্ব পড়ে প্রথমে মনে হয়েছিল নিশ্চয়ই কোনো হরর বা থ্রিলার কোনো গল্প। যেখানে ভিকটিম আদৃতার বোন অত্রিয়া। যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু আস্তে আস্তে পুরো গল্প টা পড়ার পর বুঝলাম না এটা তো কোনো পারিবারিক আর রোমান্টিক জনরার গল্প। দু বোনের ভালোবাসার গল্প। এক বোনের জন্য ওপর বোনের প্রতি প্রবল ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, আর্তনাদ ফুটিয়ে তুলা হয়েছে গল্পটিতে। ভালো ছিল গল্প টি। আদৃতার চরিত্র টি ভালো লেগেছে বেশি।
অস্পষ্ট নিনাদ" একটি হৃদয়ছোঁয়া লেখা, যা পাঠকের মনে দীর্ঘক্ষণ থেকে যায়। ভীষণ মন খারাপ করা অথচ গভীরভাবে ভালো লাগার মতো একটি গল্প বলা চলে। আদৃতা আর অত্রিয়া,দুই বোনের গল্প অস্পষ্ট নিনাদ পড়তে গিয়ে প্রথমে মনে হয়েছিল এটা হয়তো আর দশটা সাধারণ পারিবারিক কাহিনি। সহজভাবে শুরু হওয়া গল্পের ভাঁজে ভাঁজে যেন ছিলো চেনা সুখ-দুঃখ, দৈনন্দিনতার টুকরো ছবি। কিন্তু যত গভীরে গিয়েছি, ততই অনুভব করেছি এক অদ্ভুত শূন্যতা, দম বন্ধ করা হাহাকার। লেখক খুব নিপুণভাবে সম্পর্কের আবহ, মান-অভিমান আর অদেখা কষ্টগুলো শব্দের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে বোন দুইজনের অনুভূতি, তাদের জীবনযাপনের ভিন্ন টানাপোড়েন, সবই এমনভাবে বোনা হয়েছে যে পাঠকের মনে একরকম অস্বস্তিকর ভার চাপিয়ে দেয়। মনে হয়েছে, সুখের আড়ালেই যেন লুকিয়ে থাকে অদৃশ্য কান্না, অজস্র না বলা কথা। গল্প এগোতে এগোতে সেই কান্নার ঢেউ পাঠকের ভেতরেও এসে লাগে। শেষটায় এসে নিজের জীবনের খাতার শেষ অঙ্কটার সাথে গল্পের যোগফল যেন চমৎকারভাবে মিলে গেছে। সেই মেলবন্ধন মনে একদিকে তৃপ্তি এনে দেয়, আবার অন্যদিকে অদ্ভুত মনখারাপের ছায়া ফেলে। গল্পটা শেষ করার পর মনে হয়েছে, সব হিসেব মিলে গেলেও থেকে যায় না বলা কষ্ট, না-পাওয়া ভালোবাসার শূন্যতা।
A well written beautiful story by writer sushmita zafar. The characters are relatable and writing style is great. Overall its an excellent read and i would recommend to readers.( somehow character adrita made a quiet little place in my heart…credit goes to the writer)
"অস্পষ্ট নিনাদ" গল্পে যে করোনা একটা বড় ভূমিকা রাখবে, তা শুরুতে একদমই বোঝা যায়নি। অথচ গল্পের শুরুটা পড়ে মনে হয়েছিল একটা থ্রিলার গল্প পড়া শুরু করেছি! আদৃতা ও অত্রিয়া, দুই সহোদরার সম্পর্ক খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। পিঠাপিঠি ভাইবোনদের মধ্যে ঝগড়া, হিংসা, একজনের যা আছে অন্যজনেরও ঠিক একই জিনিষ লাগবে, এধরণের প্রবণতা বেশ কমন। ছোটবেলায়, বিশেষ করে স্কুলে, ওদের চিন্তাভাবনা আমার কাছে বেশ ম্যাচিয়ুর্ড বলে মনে হয়েছে। যা বয়সের তুলনায় অস্বাভাবিক। আবার পরবর্তী কালে ওদের কার্যকলাপে, ওদের ম্যাচুরিটি লেভেল নিয়ে হতাশ হয়েছি। গল্পটার ব্যাপ্তি বেশ বড়। শুরু নব্বইয়ের দশকে, গল্প চলতে চলতে ২০২০ এর করোনার সময়কেও পাড়ি দিয়েছে। করোনা কঠিন সময় কথা অল্পের মধ্যে বেশ ভালো ভাবে উঠে এসেছে। বিশেষ করে বেঁচে থাকার জন্যে নীতি নৈতিকতার বিসর্জন দেওয়ার মতো খারাপ বিষয় উঠে এসেছে। গল্পটা ভালো লেগেছে। তবে লেখাটা আরেকটু মোলায়েম, সুরোলিত হলে ভালো হতো। লেখাটা কেমন যেন কাঠ কাঠ লেগেছে, অনেকটা অফিসিয়াল রিপোর্ট পড়ার মতো!
শ্রেণিসংগ্রামের মতো একটা বহুল প্রচলিত উপাদানকে সূক্ষ্মভাবে কাজে লাগিয়ে লেখক গল্পটা লিখেছেন। ওপর থেকে প্রেমের উপন্যাস মনে হলেও আমার মনে বেশি করে দাগ কেটেছে এ ব্যাপারটিই।
করোনায় খুব কাছের মানুষ হারিয়েছি। শেষ দিকের বর্ণনাগুলোতে চোখ ভরে আসছিলো। শুভ কামনা লেখকের জন্য।
অস্পষ্ট নিনাদ শুধু একটি উপন্যাস নয়, এক জীবন্ত অনুভূতি। চরিত্রগুলো যেন চারপাশের মানুষের প্রতিচ্ছবি। ভালোবাসা, কষ্ট আর টানাপোড়েন মিশে গেছে মায়ায়।
কষ্টমিশ্রিত ভালোবাসার অনুভূতি বুঝি একেই বলে!
গল্পের শুরুতে বুঝতে পারিনি এটা একটা সামাজিক উপন্যাস, ভেবেছিলাম থ্রিলার। আপুর লেখার ফ্লো ভালো! একটানা পড়ে শেষ করেছি। লেখিকার জন্য শুভকামনা রইল