মিনহাজ খুশিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আঞ্জুকে দেখবে বলে। কীভাবে দেখবে? লাবিবটা যে ভীষণ অভদ্র। গুণ্ডামি রগে রগে। এরে কে সামলাবে? তখুনি মনে পড়ে অদ্রিশিখর ইদ্রিশের কথা। ছেলেটা বেশ কিছুদিন যাবত ললিতার ঠিকানার জন্য মিনহাজকে ঘন ঘন ফোন দিচ্ছে, দেখাও করেছে। ভীষণ জিদ্দি ছেলে। এ-ই পারবে লাবিবের লাগাম ধরতে। ললিতার জন্য একটা দ্বিতীয় লাবিবই চাই। নইলে বাপের মতো মেয়েটাও যা বেয়াড়া হয়েছে, বাপকে পেয়ে নানাভাইকেই ভুলে গেছে। চাই চাই, আরেকটি লাবিব চাই। আর সে কেউ না, ইদ্রিশই লাবিবের কার্বনকপি। অদ্রিশিখর ইদ্রিশের হাত ধরে দীর্ঘ চার মাস পর একমাত্র কন্যার সোনার সংসারে জীবনে এই প্রথম পা রাখে মিনহাজ। —আমি আপনার হাত ধরেছিলাম বলে খারাপ মেয়ে হয়েছি আপনার চোখে। আপনি আমার চিবুক ছুঁলেন কেন? এ কথার জবাব নেই অদ্রিশিখর ইদ্রিশের কাছে। ভেতর ঘরে সবাই ওদের বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে পড়েছে। ললিতাকে জোর করে পাঠানো হয়েছে ইদ্রিশকে নিয়ে ললিতার ঘরের ব্যালকনিতে বসে কথা বলতে। ব্যালকনিতে পা রেখেই ইদ্রিশ ললিতাকে নিজের কাছে টেনে নেয় খুব ঘনিষ্ঠভাবে। ললিতা বলছে "চিবুক ছুঁলেন কেন", অথচ সম্পূর্ণ ললিতাটাই ইদ্রিশের বাহুর বেষ্টনীতে বন্দী। পছন্দের পাত্রীটা এই কয় মাসে দূরত্বের নামে জ্বালিয়েছে ভীষণ। ইদ্রিশ অল্পতে ছাড়বে না তাকে, বাসা থেকে বেরোবার মুহূর্তে ঠিক করে এসেছে। তাইতো প্রথম সুযোগেই শক্ত দুই হাতের বেড়িতে বেঁধে ফেললো ললিতাকে। কানে কানে বলল, —শুধুই কী চিবুক ছুঁলাম, আর কিছু ছুঁইনি? লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে ললিতার হুঁশ হয় সে কোথায়! ছটফটিয়ে ওঠে ছাড়া পেতে।
দারুণ দারুণ দারুণ। আসলেই এক বসায় শেষ করা ছারা উপায় নেই।আরেকটু পড়ার লোভ হচ্ছে।
Read all reviews on the Boitoi app
ভালোবাসি একাকে। একার আচ্ছন্ম পৃথিবীতে ডুবে যেতে।ভালোবাসার এক ফেইরিটেইলে। যা হয়তো সম্ভব নয় আবার অসম্ভব নয় মানবদূয়ারে।লেখিকার সাথে কুহেলিকায় সফর করতে একারশহরে স্বাগতম 🌷
এ যেন দুই প্রজন্মের প্রেম গাঁথা উপন্যাস। দুই প্রজন্মকে সুন্দর অনুভূতিতে উপস্থাপন করার প্রয়াস।অপেক্ষায় থাকবো ললিতা ও ইদ্রিশ এর যুগলবন্দী প্রেমের উপাখ্যান এর জন্য। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে এবং ভালোবাসা অবিরাম আমাদের একুবিবিকে 💙🤍💙❤️
মনে হচ্ছে শুরু না হতে হতেই শেষ। ইস আরেকটু বেশি হতো যদি।তবে হ্যা একটানে পড়ে ফেলার মতো।
খুব মিস্টি একটা গল্প। মিস্টি ভালোবাসার গল্প। মন ছুয়ে যায়। লাবিব-আঞ্জুমান, ইদ্রিশ-ললিতা জুটি। ভালোবাসায় কে কাকে টপকে।যায় জানতে হলে মিস্টি এই প্রেমের গল্প টা পড়তে।হবে। একাপা।দারুন ভাবে লিখেছেন। শন্দের গাথুনি গুলো মন ছুয়ে যায়। লেখিকা আপার জন্য শুভকামনা আর ভালোবাসা।
খুব সুন্দর লেখা। একবসায় পড়ে উঠলাম
খুব গোছানো মিষ্টি একটা গল্প। একটানা পড়ে শেষ। প্রেমে পড়ার কোনও সঠিক বয়স নেই, কিন্তু প্রেম সুন্দর। তার থেকেও সুন্দর সেই প্রেম ধরে রাখতে পারা। সময় যেভাবেই যাক না কেন প্রেম তো অটুট ছিলো। লাবিব,ইদ্রিশ, আঞ্জুমান, ললিতা কে ঘিরে সেকালকে একাল আয়না দেখালো। বরং এমন প্রেমে পাগলামি জীবনে রঙিন ফোড়ন পড়ার মতো, আর শেষ টায় অতপর কিছু তো হলো। এক কথায় দিল খুশ।।
ললিতা আর ইদ্রিশ তো বটে আসল ধামাকা তো দেখাচ্ছে লাবিব সরকার। হুউ এমন ড্যাশিং মাস্তান যদি জীবনে থাকে জীবন মনে সুখময় হয়ে যাবে। এক কথায় দারুণ লাবিব মাস্তান এর জীবন কথন তথা তার মেয়ের কাহিনী!!
চমৎকার ,,, ভালোলাগার অনুভূতি রয়ে গেলো শেষ হয়েও শেষ হলো না ♥️♥️♥️♥️♥️♥️
মা শা আল্লাহ্!!! খুব খুব খুব খুশিই... এত্তো আলাদা __! উফ্ দারুণ ___!!! বরিবরের মতই অসম্ভব সুন্দর ও আকর্ষণীয়....! একদম ভিন্ন প্লটের, ভিন্ন স্বাদের। অনেক আকাঙ্ক্ষিত এই ই-বুকটি এবং অনেক অনেক আনন্দিত আমি। যতটা ভেবেছিলাম,সেই ভাবনারও বাইরে সুন্দর হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ! পড়তে পড়তে এক ঘোরে চলে গিয়েছিলাম... কখন শেষ হয়েছে টেরই পাইনি...।। ভালোবাসা -- একটি অনুভূতি।আর এর অনুভব মানুষ ভেদে ভিন্ন।এতো মিষ্টি অনুভূতি...! সামাজিক বাঁধা...!? সে তো আসবেই। উতরে যাবেন কীভাবে হাল না ছেড়ে..!? ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি... আবারও প্রমাণিত। প্রতিটি চরিত্র দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছে। লেখিকা আপু তাঁর লেখার মাধ্যমে কাহিনীর সৌন্দর্য্যও দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।। আর হ্যাঁ,,পয়সা কিন্তু উসুল...! উপন্যাস হিসেবে মূল্য অনেক কম ছিল।