চিত্রেশকাকু হিমাঙ্কর বাবার বন্ধু। কাকু হিমাঙ্ক আর তার বন্ধুদের নিয়ে পৃথিবীর নানা দেশ ঘুরে বেড়ান আর ছবি আঁকেন। এবার সকলে চললেন গুজরাটের থর মরুভূমির দেশে। একদিকে বালির মরুভূমি, আর একদিকে লবণাক্ত জলের উত্তাল আরবসাগর। হিমাঙ্ক, মৈনাক, রঙ্গন, অরিত্র এবং আহেলির সঙ্গে এয়ারপোর্টে মিট করলেন আদিনাথ শিকদার। ওরা সকলে তাঁকে ‘দাদু’ বলেই ডাকে। আদিনাথদাদু আসলে মৎস্যকন্যার মতো এক লবণকন্যার সন্ধানে চলেছেন আরবসাগরে। এক নাবিক আকিল চারদিকে একবার তাকিয়ে জরিপ করে নিয়ে ফিসফিস করে দাদুকে বলল, ‘রুক্মাবতী নদীর দূরের মোহনায় পাকজলে থইথই করতে থাকে ওখানকার সাগর। বোটে ফিরে আসার মুখে একদিন রাতের জ্যোৎস্নায় রুক্মাবতীর দূরের স্রোতে তিনি দেখলেন ঢেউয়ের মাথার উপর শরীর ভাসিয়ে সাঁতার কাটছে রুপোর মতো সাদা রঙের এক সুন্দরী কিশোরী মেয়ে।’ দাদু বললেন, ‘জানো চিত্রেশ, সে বোটের কাছে আর ঘেঁষতে এল না। ফুট পঞ্চাশেক দূরে জলের উপর চিতসাঁতারের ভঙ্গিতে ভেসে বেড়াতে লাগল। তার শরীরের উপর পড়েছে দুধসাদা জ্যোৎস্না। যেন এক বারো-তেরোর রুপোর প্রতিমা বিসর্জনের আগে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে এক্ষুনি! রুপোর জরির মতো শাড়ি জড়ানো গায়ে।’ এই কি আরবসাগরের সেই অধরা লবণকন্যা? এ বই তারই গা ছমছমে রহস্যময় কাহিনি।