হৃদয়ের বিশাল জায়গাজুড়ে ওরা ভালোবাসার চারাগাছ লাগিয়েছিল। বিয়ের পরে ভালোবাসাও পরম যত্নে বেড়ে উঠছিল সেখানটায়। সহসা দেখা গেল, সেই ভালোবাসার গাছগুলোকে ছাপিয়ে বিরহের আগাছা বেশিরভাগ জায়গা দোর্দণ্ড প্রতাপে দখল করে নিয়েছে। বাড়-বাড়ন্ত বিরহের এমনই প্রভাব, ভালোবাসাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে আড়াল করে ফেলেছে। একসময় ওরা উপলব্ধি করল, ওদের হৃদয়ে ভালোবাসার গাছগুলো মরে গিয়ে বুঝি কেবল বিরহের চাষাবাদ হয়েছে। যৌথ হৃদয় কী করে যেন রূপান্তরিত হয়ে গেছে বিরহ ভূমিতে। গল্পটা এক জোড়া দম্পতির, বহ্নি আর প্রতীক। ভুল করে ভুল ট্রেনে উঠে পড়া বহ্নির জীবনে দৈবক্রমে আসে প্রতীক। ভালোবেসে বিয়ে করে ওরা। স্বপ্নময় ক্যানভাসে ভালোবাসার রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়েছিল ঘরটা। ওদের টোনাটুনির সংসারে বেশ তো উদ্ভাসিত পূর্ণিমা ঝলমল করছিল, হঠাৎ গ্রহণকাল শুরু হলো কেন, কবে থেকে! ভালোবাসা একই আছে, তবু কোথাও যেন তাল কেটে গেছে! এক ছাদের নিচে পাশাপাশি, কাছাকাছি, তবুও যেন আলোকবর্ষ দূরত্ব। এভাবে কি এক ছাদের নিচে থাকা যায়! তবে কি এই শেষ! বিচ্ছেদ কড়া নাড়ে প্রবলভাবে, এতে সাড়া দিয়ে দুজনের পথ দু'দিকে চলে যাবে নাকি বিরহ ভূমিতে আবারও ভালোবাসার চাষাবাদ শুরু হবে? জানতে হলে পড়ুন, 'বিরহ ভূমি'।
চমৎকার চমৎকার চমৎকার! দাম্পত্য জীবনের একদম ফিল্টারহীন ইমোশান গুলা এই গল্পে দেখানো হয়েছে! প্রতীক ও বহ্নি ভুল ট্রেনে উঠে পড়ুক এইভাবে সবসময়! তাহলে তারা বারংবার নিজেদের এইভাবেই খুজে নিবে! সংসার টা আবার ঝলমলে রঙিন হয়ে যাবে ❤️🥺
Read all reviews on the Boitoi app
খুব ভালো লেগেছে, একদম বাস্তব কিছু ঘটনা,যেটা বেশিরভাগ দম্পতির সাথে ঘটে থাকে।তবে পার্থক্য হলো গল্পে খুব সহজেই এবং নাটকীয়ভাবে ব্যাপারটা মিটমাট হয়ে গেলেও বাস্তবটা বড় কঠিন।
#অনুভূতি_কথন ই- বই: বিরহ ভূমি লেখক: নুসরাত জাহান লিজা প্ল্যাটফর্ম: বইটই শুরুতেই বলছি পাঠক হিসেবে আমি বেশ খুঁতখুঁতে স্বভাবের । আমার কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে আমি অস্বাস্থ্যকর, অস্বস্তিকর যা-তা লেখা কেন যেন কখনোই পড়তে পারিনা। তাই সবসময় বেশ ঘাঁটাঘাঁটি করেই বই অথবা ইবুক কিনি। এক্ষেত্রে অবশ্য মাঝে মাঝে একজনকে খুব জ্বালাই। আমার জ্বালানো সহ্য করার জন্য তাঁকে বিশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। যাহোক, একটু লেখককে নিয়ে বলি। লিজা আপু হলেন এমন একজন মানুষ যার লেখা কোনো বই বা ইবই এলে আমি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে কিনতে পারবো। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। আমি পারবো। তাহলে একবার ভাবুন একটা মানুষের লেখোশৈলী কতটা চমৎকার, মনোমুগ্ধকর হলে একটা পাঠক এভাবে বলতে পারেন? সত্যি বলতে আপুর লেখা থেকে শুরু করে গল্প বিন্যাস, শব্দ সাঁজানোসহ প্রত্যেকটা বিষয় দুর্দান্ত । এছাড়া মানুষ হিসেবেও তিনি আমার খুবই প্রিয় একজন। লেখককে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই এরকম সুন্দর,চমৎকার গল্পগুলো শ্রম দিয়ে পাঠকদের উপহার দেয়ার জন্যে। আপুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা এবং সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি। আচ্ছা, এবার নাহয় একটু ইবুকে আসা যাক। “বিরহ ভূমি” নামটা দেখে যে কারো মনে পারে এটা বোধহয় কোনো বিরহ বিরহ অতি দুঃখের গল্প। সত্যিই কী তাই? কী জানি, আপনারা পড়ে জেনে নিবেন নাহয়। তবে গল্পটা খুব সাধারণ। বলা যায়, সাধারণের মাঝেও অসাধারণ। যেটা করে তুলেছেন লেখক নিজেই, তাঁর কলম দ্বারা। মানব জীবনে সম্পর্ক হলো একটা চারাগাছের মতো। একটা চারাগাছের যেমন বেড়ে উঠতে প্রতিনিয়ত যত্নের প্রয়োজন হয়। ঠিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তেমন। ঝড়ে যেমন গাছ ভেঙে পড়ে ঠিক সেভাবেই অযত্নে থাকা সম্পর্কগুলো ক্রমেই জীবনকে লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে। অঘটন ঘটন পটিয়সী বহ্নি এবং নাক উঁচু প্রতীকের গল্পটা শুরু হয় একটা ভুল ট্রেনে। পরবর্তীতে তাঁদের বিবাহিত জীবনে দেখা দেয় নানা উত্থান পতন। গড়ে উঠে পাহাড়সম অভিমান। সকলের চোখে তাঁরা সেরা জুটি অথচ আড়ালে তাঁদের সম্পর্কে মরিচা পড়া। দুজনেই ভুল । তবে, কেউ যেন নিজের ভুলগুলো দেখতে পারছিল না। হয়তো আত্ম অহমে ঢেকে গিয়েছিল। তারপর? তারপর সম্পর্কে আসে বিরাট দূরত্ব। চোখের পলকে সবটা কেমন যেন লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলো। ওদের পড়তে পড়তে আমার খুব মন খারাপ হচ্ছিল। কিন্তু শেষটা আমাকে একটুও আশাহত করেনি। আপনাদেরও করবে না নিশ্চিত থাকুন। সব মিলিয়ে পুরোটা পড়ার পর একটা বিষাদমাখা শান্তি শান্তি আনন্দনানুভূতি হচ্ছে। ই - বইটার সাথে আমার খুব সুন্দর একটা সময় কাটলো। লেখককে আবারো জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা অবিরাম। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন হ্যাঁ। সকলকে আমার এলোমেলো অনুভূতি পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🌻
বহ্নি-প্রতীকের ভালোবাসার গল্প "বিরহ ভূমি"। গল্পটা ভালোবাসার হলেও উপস্থাপনা অন্যরকম ছিল। ভালো লেগেছে। ভালোবাসার জোরে ভালোবাসার মানুষের উপর কোনকিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না। সম্পর্ক সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পরস্পরের অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা জরুরী। আর ইগো তো অবশ্যই ঝেড়ে মুছে ফেলতে হবে।
পড়ে শেষ করলাম বিরহ ভূমি। খুব সুন্দর গল্প,আর একেবারে বাস্তবতার নিরিখে লেখা! ফ্ল্যাশব্যাকে ঘটনার বর্ণনার ধরণটাও ভালো লেগেছে। শ্রুতি চরিত্রটা গল্পে খুব অল্প সময়ের জন্য, কিন্তু তার মুখের কথাগুলোই সাবলীল সুখী বিবাহিত জীবনের সারবস্তু। প্রতীক-বহ্নি শেষ পর্যন্ত নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারলো, এটা আনন্দ দিয়েছে। শেষে একটা কথা, লেখক নিজের জীবন দেখার গভীরতা থেকে বিবাহিত জীবনের টানাপোড়েন আর বোধোদয় যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তার সামনের এই জীবনটা অনেক শান্তি, বোঝাপড়া আর ভালোবাসার হোক, এই দোয়া রইলো। অনেক অনেক শুভকামনা আর ভালোবাসা, নুসরাত জাহান লিজা।🥰🥰
ভীষণ সুন্দর একটা গল্প। সবকিছু একদম যেন জীবন্ত। প্রতিটা চরিত্রকে দারুণভাবে সাজিয়েছে। বরাবরই মতো এই ইবই টাও চমৎকার হয়েছে।
মাত্র পড়া শেষ করলাম!! পুরো গল্পটা এক শব্দে বলবো - ভীষণ জীবন্ত!!! কী যে ভালো লাগলো!! চমৎকার বাস্তবসম্মত ছিলো! সম্পর্কে আমরা জেদ ধরে রেখে নিজের দিকটাই দেখি শুধু। তাই কিছুটা দূরত্ব, কিছুটা বিরতি অনেক সময় নিজেদের আরও একবার চিনতে শেখায়।