দুই নারী, এক পুরুষ। আর মাঝখানে অসংখ্য টানাপোড়েন। পরিস্থিতির স্বীকার হয়েই নীরা মাঝবয়সী একজনের দ্বিতীয় বউ হয়ে প্রবেশ করে কুরাইশী বাড়িতে। সেই বাড়িতে ওকে সাদরে গ্রহণ করার জন্য কেউই ছিল না। অভ্যর্থনার বদলে মিলল অপমান। ওর পাশে এসে দাঁড়াল দু'জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তাদেরকে পাশে পেয়ে শুরু হলো নীরার বেঁচে থাকার লড়াই, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, মাথা তুলে দাঁড়ানোর লড়াই। ভেতরে ভেতরে ভেঙে চুরমার হয়ে গেলেও সে নিজের মর্যাদা ধরে রাখতে লড়াইয়ে নামে। প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়ে নীরা পৌঁছে যায় সাফল্যের চূড়ায়। কিন্তু যার হাত ধরে ও প্রবেশ করেছিল কুরাইশী বাড়িতে, সেই মানুষটা কি ওর হবে? ওকে আপন করে নেবে? ওর স্বপ্ন পূরণের সারথি হবে? নীরা কি তার হৃদয় আসনে ঠাঁই পাবে?
অসাধারণ একটি গল্প "হারিয়ে যাবার আগে",,, কাছে না এসে না ছুঁয়ে ও যে এমন চমৎকার হৃদয়ের সেতুবন্ধন তৈরি হতে পারে তা এই গল্প টা না পড়লে হয়তো মিস্ করতাম,,,গ্ৰামের কিছু অশ্লীল লোকের বিকৃত মনোভাবের শিকার হয়ে এক অষ্টাদশী কিশোরী জীবন যুদ্ধে শুধু তার বৃদ্ধ শশুড়_শাশুড়ি আর বড় ননদ কে সাথে পেয়েছে, জুনাইদ কোরেশী কখনোই তাকে পারিবারিক বা সামাজিক স্বীকৃতি দেয়নি, উপরোন্ত দিয়েছে প্রতি পদে পদে লাঞ্চনার গ্লানি,, পরিশেষে সেই কিশোরী নীরা জীবন যুদ্ধে সফল এক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ হিসেবে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়েছে, পেয়েছে মনের প্রশান্তি, আর পুরো গল্প টাই জুড়ে লেখিকার অসাধারণ প্রতিভার বিচরণ,,, পরিশেষে বলতে চাই আপনি লেখিকা হিসেবে দূর্দান্ত আর আমরা পাঠক হিসেবে পরিতৃপ্ত,,,, শুভকামনা রইলো
Read all reviews on the Boitoi app
অসম্ভব সুন্দর একটা গল্প, যার বর্ণনা এক কথায় করা যাবেনা,।এতো মার্জিত ভাষা,মন ছুয়ে গেছে,।প্রত্যেকটি লাইন জুড়ে ভালোলাগার আবেশ।লেখক কতটা যত্নে ভালোবেসে লেখেছে সেটা গল্প পড়লেই অনুভব করা যায়। তবে গল্পটা খুবই ছোট, আরেকটু বড়ো করা যেতো, একটা অমীমাংসিত ভালোবাসা, এমন পরিস্থিতি আর জায়গায় শেষ করেছো যেন শেষ হয়েও হইলোনা শেষ।